প্রিয় মুসলমান ভাই এবং বোনেরা, আপনারা যারা আরাফার দিনের আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেব। সেই সাথে আরাফার দিনের আমল এবং তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এই পোস্টটা আপনারা অবশ্যই পড়বেন। আপনারা যদি এই পোস্ট পড়তে পারেন তাহলে আরাফার দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বুঝে নিয়ে সেই অনুযায়ী আমল এবং ইবাদত করতে পারবেন।
তাই একজন মুসলমান হিসেবে আপনারা অবশ্যই আরাফার দিনের আমল গুলো জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী আমল করবেন এবং এই আমলের যে ফজিলত রয়েছে তা অর্জন করবেন। তাই আপনাদের জন্য আল্লাহ পাকের নির্দেশনা অনুসারে যে মহিমান্বিত চারটি মাস রয়েছে সেই মাসের মধ্যে জিলহজ মাসের যেদিন আরাফার দিন পালন করা হয় সেই দিনের আমল গুলো করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমরা সকলেই জানি যে হিজরী সনের ভেতরে বারটি মাস রয়েছে এবং এই বারটি মাসের মধ্যে চারটি মাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই চারটি মাসের মধ্যে জিলহজ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জিলহজ মাসের যে বিশেষ দিনটিতে আরাফার দিন পালন করা হয় সেই দিনে আপনারা হয়তো আমল করতে চান অথবা আমল রয়েছে বলে সেগুলো পালন করে এর স্বভাব পেতে চান। আমরা সকলেই জানি যে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এবং নয় দিনে যে রোজা পালন করা হয় এবং রাতে যে এবাদত বন্ধই করা হয় এর বিষয়ে বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তাছাড়া এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন জিলহজ মাসের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহ পাকের কাছে অন্যান্য ইবাদতের চাইতে তুলনামূলক অনেক বেশি প্রিয় এবং প্রতিদিনের রোজা যে পালন করতে পারবে সেই রোজাদার ব্যক্তি প্রতি রাতের এই লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মত করে সোয়াব পাবেন। তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু জিলহজ মাসের আরাফার দিন সম্পর্কে জানতে এসেছেন তখন বলব 9 তারিখ হলো আরাফার দিন। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এটা জানতে পারি যে হাজিরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে যেদিন সম্ভবত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন সেটি হলো আরাফার দিন। এই বিশেষ দিনে আমরা যারা বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা রয়েছে তারা রোজা রাখতে পারি এবং যারা হাজী রয়েছেন তাদের জন্য রোজা না রাখলেও চলবে।
আরাফার দিনে রোজা রাখা প্রসঙ্গে রাসুল সাঃ বেশ আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেছেন এবং বিগত এক বছরের এবং সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন একজন রোজাদারদের যারা এই দিনে বিশেষভাবে রোজা পালন করবেন। অর্থাৎ আরাফার দিনের রোজা প্রসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের হাদিস এসেছে এবং এই হাদিস সম্পর্কে যদি আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই তাহলে আমন সম্পর্কে হয়তো আলোচনা করার সুযোগ পাবো না। তবে সংক্ষিপ্ত ভাবে আপনাদের কে জানাতে চাই যে আরাফার দিনটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত রহমতের হওয়ার কারণে অবশ্যই এই ফজিলত পূর্ণ দিনের যে বিশেষ ইবাদত বন্দেগী রয়েছে তাতে মনোনিবেশ করাটা আমাদের জন্য জরুরী।
এই বিশেষ দিনে একজন মুসলমান জিকির এবং তাসবীহ পাঠ করার পাশাপাশি মহান আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করতে পারেন। যেহেতু বিশেষ বিশেষ সময় রয়েছে দোয়া কবুল হওয়ার সেহেতু আমরা দোয়া কবুলের জন্য আরাফার দিন ব্যবহার করতে পারি এবং এই দিনে জিকির ও তাজবীদ করার পাশাপাশি সর্বোত্তম ইবাদত হিসেবে রোজা রাখতে পারি। এই দিনে রোজা রেখে আমরা আল্লাহ পাকের কাছে হাত তুললে আল্লাহপাক অবশ্যই আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না এবং আমাদের মনোবাসনা পূর্ণ করবেন।
তাছাড়া আরাফের দিন ব্যতীত জিলহজ মাসের নয় তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত আপনারা যখন প্রতি ফরজ নামাজের পর একবার করে তাকবীর পাঠ করবেন তখন সেটা ওয়াজিব ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। তাই আরাফার দিনের ইবাদত গুলো আপনারা সুষ্ঠুভাবে পালন করার চেষ্টা করুন এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে সকল আমলের কথা উল্লেখ করা হলো সেগুলো পালন করবেন।
Leave a Reply