আপনি কি ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য মনোনীত হয়েছেন? যদি বক্তব্য দেয়ার জন্য আপনাকে নির্বাচন করা হয় তাহলে আপনি সেই বক্তব্য কিভাবে দেবেন তা বিষয়ে অনেক সময় চিন্তিত হয়ে থাকেন এবং অনেক সময় আপনার ভয়ে হাত পা কাঁপতে থাকে। তবে ভয়ের বিষয়গুলো আপনারা যদি সকলে সামনে না করে আপনার ভেতরে ১৬ই ডিসেম্বর সম্পর্কে কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে অথবা কি অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে তা ব্যক্ত করেন তাহলে সেটা হবে ভালো।
তবে আপনারা ইন্টারনেট থেকে ১৬ই ডিসেম্বরের বক্তব্য কি হতে পারে এবং কিভাবে ১৬ই ডিসেম্বর এর বক্তব্য প্রদান করতে চান তা উল্লেখ করতে পারেন। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সুবিধার জন্য ১৬ই ডিসেম্বরের বক্তব্য কিভাবে প্রদান করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হল। ১৬ই ডিসেম্বর হল বাঙালির জাতীয় জীবনে এক মহান বিজয়ের দিন এবং এই বিজয়ের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন দেশের থেকে শত্রুদের বিতাড়িত করতে পেরেছি।
যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 7ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে এ দেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং পরবর্তীতে যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে সরকার গঠন এবং ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করার মাধ্যমে একটি সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে সকলের সামনে প্রকাশ করেছেন তখন থেকে এদেশের মানুষ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
অনেকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে এবং নিজেদের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে যেমন হারিয়েছেন পিতা-মাতা অথবা স্নেহের সন্তান ও ভাইকে তেমনিভাবে অনেকে হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে এবং পরিবারের প্রতি প্রত্যেকটি আত্মীয় স্বজনদের। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জীবনে বিজয়ের পতাকা এনে দিলেও আমরা হয়তো এর পেছনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এসেছি এবং রক্তকে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি তা হয়তো বর্তমানে সময়ের সন্তানেরা বুঝতে পারবে না।
তবে বিজয়ের এই বিষয়গুলো সকলের মাঝে উজ্জীবিত করতে হবে এবং আজকের এই বাংলাদেশের আগে যে এমন ছিল না সে বিষয়গুলো যদি আমরা সকলের সামনে ইতিহাস হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে পারি তাহলে দেখতে পারব যে এদেশের ইতিহাস এবং এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পেছনে কোন অবদানগুলো রেখেছে তার সম্পর্কে জানতে পারবে।
আপনাকে যখন ১৬ই ডিসেম্বর সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করার কথা বলা হবে তখন অবশ্যই আপনি এদেশের প্রতি পাকিস্তানিদের মনোভাব কি ছিল এবং তারা কিভাবে এ দেশকে শোষণ করতে চাইছিল সে বিষয়গুলো আস্তে আস্তে উপস্থাপন করার পাশাপাশি সাথেই মার্চের ভাষণ থেকে পরবর্তীতে কি কি ঘটেছে সেগুলো তুলে ধরতে পারেন।
আর প্রত্যেকটি ঘটনা সত্য বলে আপনারা এই ঘটনাগুলো বিভিন্ন জায়গায় পাবেন এবং সরকার গঠন থেকে শুরু করে শপথ গ্রহণ এবং পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রস্তুতি এবং দিনে দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়া বিষয়গুলো আপনারা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।
সর্বশেষ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এসকল বিষয় থেকে অব্যাহতি পেতে চাইলে তখন তার আত্মসমর্পণ করলো এবং রেস কোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে তারা এদেশ থেকে চলে যায় এবং আমরা মহান বিজয় অর্জন করি। তাই আপনারা এসবের বিষয়গুলো উপস্থাপন করার মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বরের বক্তব্য প্রদান করার মাধ্যমে সাফল্যকেই স্বাধীনতার মহান ইতিহাস এবং মহান ঘটনাগুলো তুলে ধরতে পারেন।
Leave a Reply