
যে সকল বাচ্চার বয়স ৭বছর চলছে তাদের এই বাড়তি বয়সের প্রয়োজন প্রচুর পরিমানে বাড়তি খাবার। বাবা-মা তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তার সন্তানকে সকল ধরনের খাবার দিতে এতে করে যেন কোন ধরনের পুষ্টির তার শরীরে কোমতি না থাকে। শুধুমাত্র যে এই বয়সে একজন শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে এমন নয় তারা মানসিক বৃদ্ধিও এই বয়সে হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই নিজের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং সুষম খাবারের মাধ্যমে তার খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।
কিন্তু এই সুষম তালিকা দিতে গিয়ে আমরা একটি জিনিস ভুলে যায় যে আমাদের ৭ বছরের শিশুর পাকস্থলীতে কোন কোন খাবার ভালোভাবে থাকবে এবং কোন খাবার প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। যার কারণে অনেক সময় দেখা যায় যে ৭ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের অনেক ধরনের পেটের ব্যথা সৃষ্টি হয়।। সবার প্রথমে অভিভাবক হিসেবে খুজে বের করতে হবে সেই ব্যথার কারণ এবং সেই ব্যথার কারণ খুঁজে পাওয়ার পরে অবশ্যই চিকিৎসার মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে সেই ব্যথা থেকে মুক্ত করার।
বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হওয়ার কয়েকটি কারণ
বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ এর মধ্যে মুখ্য কারণ হচ্ছে গ্যাস জনিত সমস্যা। যদি এই গ্যাস জনিত সমস্যার কারণে বাঁচ্চার পেটে ব্যথা হয় তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে তার খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। সম্পূর্ণ প্যাকেটজাত খাবার বর্জন করতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে তেল কম দিয়ে খাবার রান্না করে শিশুকে খাওয়াতে। এছাড়াও চেষ্টা করতে হবে এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে শিশুর বুকে ও পিঠে হাত মালিশ করতে, এতে করে তার পেট থেকে গ্যাস বের হয়ে যাবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও একটি বড় সমস্যা। সাধারণত শিশুরা ছোটবেলা থেকেই শাকসবজি খেতে অপছন্দ করে যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। যদিও পুষ্টিবিদ এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বাবা-মাকে প্রতিনিয়তই বলেন যে বেশি বেশি করে শাকসবজি খাওয়াতে তারপরেও শিশুরা সেই শাকসবজি খেতে নারাজ। তারা শুধু চায় বাজারের রকমারি প্যাকেটজাত খাবার খেতে এবং বাবা মাও তাদের সাথে না পেরে উঠতে এই অভ্যাসগুলো বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভোগে সেই শিশু এবং সেই কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণে তার পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে। এ সময় বাবা-মা হিসাবে তরল জাতীয় খাবার তাকে বেশি খাওয়াতে হবে এবং সাবুদানা ও মাতৃ দুধ বেশি বেশি খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে এবং নিয়মিত কিছু নিয়মের মাধ্যমে শিশুর কষ্ট কাঠিন্যতা দূর করা যায়।
শিশুর যে খাবারগুলোতে এলার্জি রয়েছে বা যেই দুধে এলার্জি আছে সেটা বর্জন করতে হবে। শিশুর পেটের ব্যাথার আরো একটি কারণ হচ্ছে এলার্জি। যে খাবারগুলোতে অ্যালার্জি আছে সেই খাবারই যদি আমরা অজান্তেই শিশুর কে খাওয়ায় তাহলে তার পেটে ব্যথা হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। পাকস্থলীতে নানান ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত কারণে শিশুর পাকস্থলীতে ইনফেকশন হতে পারে। এই ইনফেকশন জনিত কারণে শিশুর পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হতে পারে। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে প্রাকস্থলীতে যাতে ইনফেকশন না হয় এমন খাবার খাওয়াতে এবং নিয়মিত পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে।
যে বাচ্চাগুলো খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত ঢেকুর তুলে মূলত তার পাকস্থলী ভাল। তাই আপনি চাইলে নিজের সন্তানের ঢেকুর তোলানোর অভ্যাস করতে পারেন এটা অত্যন্ত ভালো একটি বিষয়। এছাড়াও বায়ু আটকে না রাখা অভ্যাস করাতে পারেন যার কারণে সেই শিশুর পেটে বায়ু আটকে থাকবে না এবং পেটে কোন ধরনের ব্যাথা হবে না।
আর কিছু ব্যায়াম আছে যেটা হাটু বাঁকানো মৃদু বেয়াম বলে যার মাধ্যমে নিয়মিত শিশুর পেট পরিষ্কার হতে সাহায্য করবে। অভিবাবক হিসাবে অবশ্যই এই জিনিসগুলো আপনাকে শিখিয়ে দিতে হবে শিশুকে এবং শিশু আপনার কাছ থেকে এগুলো সঠিকভাবে শিখতে পারবে।
Leave a Reply