এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যে সকল শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রমে আবেদন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকে আবেদনের বিস্তারিত তথ্য এবং ভর্তির বিস্তারিত কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং যারা মানসম্মত কলেজগুলোতে ভর্তি হতে চান তাদের জিপিএ ফাইভ থাকার পরেও সর্বমোট নাম্বার বেশি হতে হবে। তাই আপনারা যারা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যগুলো জানতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট পড়ার পাশাপাশি কোন তথ্য যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করলে আমরা আপনাদেরকে বিষয়ে সহায়তা প্রদান করব। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর আপনাদেরকে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং অল্প কিছুদিনের ভিতরেই আপনাদের ফলাফল প্রকাশিত হলে এবং আপনার কাঙ্খিত কলেজে চান্স পেয়ে গেলে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে।
বিগত বছরগুলোতে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন মাধ্যম চালু করেছিল এবং কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি তথ্যের আপডেট আনা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ডাটাবেদে সংরক্ষণ রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। তাই কোন শিক্ষার্থী যদি অনলাইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ না করে তাহলে সে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে না এবং এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করতে পারলে তাকে এক বছর সময় নষ্ট করতে হবে। তাই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করবেন।
মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিষয়ক এর ওয়েবসাইট রয়েছে সেটার ঠিকানা হলো http://xiclassadmission.gov.bd/ । আপনারা এই ঠিকানায় প্রবেশ করার পরে সর্বপ্রথমে যে কাজটি করবেন সেটি হল আবেদনের ধাপে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ৮ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হবে এবং কয়েকদিন আবেদন চলমান থাকা অবস্থায় আপনাদেরকে আবেদন সম্পন্ন করে রাখতে হবে। এসএসসি পরীক্ষার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ কত নম্বর পেয়েছেন এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনাদেরকে সর্বমোট নাম্বার যখন একত্রিত করতে বলা হবে তখন সেটা করে আপনারা যাচাই করে দেখবেন নির্দিষ্ট কলেজগুলোতে ভর্তি হবার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনারা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সহায়তা গ্রহণ করলে তারা আপনাকে সঠিক পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনারা আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং অভিভাবকের বিস্তারিত তথ্য লাগবে। তাছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করা হবে বলে প্রত্যেককেই মোবাইল নাম্বার এমন ভাবে প্রদান করতে হবে এবং এমন একটি নাম্বার প্রদান করতে হবে যাতে করে প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনারা আপডেট থাকতে পারেন। আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে আপনাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে এবং আপনি যদি আপনার কাঙ্খিত কলেজে চান্স পেয়ে যান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে।ভর্তির সময় যখন আবেদন করবেন তখন সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ চয়েজ প্রদান করতে পারবেন।
প্রথম মেধা তালিকায় না হলে দ্বিতীয় মেধা তালিকা এবং দ্বিতীয় মেধা তালিকায় না হলে তৃতীয় মেধা তালিকার জন্য অপেক্ষা করে আপনারা ভর্তির জন্য চেষ্টা করে দেখবেন। কোন না কোন ভাবে আপনার যদি কাঙ্খিত কলেজ চলে আসে তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে যেমন আবেদন করতে হয়েছে তেমনি ভাবে নিশ্চয়ই প্রদান করে ভর্তির জন্য আপনি চূড়ান্ত হয়েছেন অথবা সেখানে ভর্তি হবেন বলে নিশ্চিত করতে হবে। সকলের যখন ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং কলেজগুলো বাছাই করে দেয়া হবে তখন একত্রিত ভাবে ছয় দিনের ভেতরে আপনাদেরকে এই ভর্তি কার্যক্রমে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এবং কাগজপত্র দিয়ে নিজ নিজ কলেজে গিয়ে ভর্তির বিষয়গুলো সম্পন্ন করে রাখতে হবে।
Leave a Reply