আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২৩ জেলা ভিত্তিক

আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২২ জেলা ভিত্তিক আজকের সেহরির শেষ সময়

আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২৩ জেলা ভিত্তিক, সেহরির শেষ সময়, সেহরি খাওয়ার সময় হল অর্ধরাত্রির পর থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত। আর মুস্তাহাব হল, ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না হলে শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া। এখানে একটি কথা জরুরি ভিত্তিতে বলতে চায় যে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচিতে পূর্ব সতর্কতা মূলক তিন মিনিট বাড়ানো কমানো হয়েছে।

আজকের সেহরির শেষ সময়

একজন মুসলমান ব্যক্তির জন্য রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আর রোজা পালনের জন্য একজন মুসলিম ভাই ও বোনদের যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সেহরি খাওয়া। কেউ যদি মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় রোজা পালন করতে চাই তাহলে তাকে ঠিক সময় অনুযায়ী সেহরি খেয়ে রোজা পালন করতে হবে। একজন ব্যক্তিকে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকলে তার রোজা মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কবুল হয় না রোজা পালন করার জন্য সময় মতো সেহরি খেয়ে সেই অনুযায়ী রোজার জন্য নিয়ত করে রোজা পালন করতে হয়।

তাই সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের সুবিধার জন্য আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আজকের সেহরির শেষ সময়। এই বিষয়টি প্রত্যেকটি মুসলমানের জেনে রাখা জরুরী। কারণ এই বিষয়টি জেনে একজন মুসলমান ব্যক্তি রোজা পালনের জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি নিতে পারবে। চলুন তাহলে জানা যাক আজকের সেহরির শেষ সময় কখন সে সম্পর্কে।

ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী বলা হয়েছে কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি সেহরি এবং ইফতার করার ক্ষেত্রে বিলম্ব করে সেক্ষেত্রে তার রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। রোজা যেহেতু প্রতিটি নর নারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তাই আমাদের উচিত হবে সঠিক সময়ে সেহরি খেয়ে রোজা পালন করা। কারণ মহান আল্লাহতালা প্রতিটি ইবাদত করার জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে আর সেই নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে সকল ধরনের ইবাদত করতে হয়।

আর তাই রোজা পালন করার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয় রোজা পালন করার ক্ষেত্রে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সেহরি খাওয়া ইফতার করা এবং সময় মতো নামাজ পড়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই এক হাদিসে বলা হয়েছে খুব দীর্ঘ সময় ধরে সেহরি খাওয়া জায়েজ রয়েছে কিন্তু ইফতার করার ক্ষেত্রে তা উল্লেখ নেই। যত দ্রুত সম্ভব ইফতার করে নিতে হবে ইফতারের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অলসতা করা যাবে না।

২০২৩ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার

রোজাতারিখসেহরিইফতার
২৩ মার্চ ২০২৩০৪:৪৪৬:১১
২৪ মার্চ ২০২৩০৪:৪৩৬:১২
২৫ মার্চ ২০২৩০৪:৪১৬:১২
২৬ মার্চ ২০২৩০৪:৪০৬:১২
২৭ মার্চ ২০২৩০৪:৩৯৬:১৩
২৮ মার্চ ২০২৩০৪:৩৮৬:১৩
২৯ মার্চ ২০২৩০৪:৩৭৬:১৪
৩০ মার্চ ২০২৩০৪:৩৬৬:১৪
৩১ মার্চ ২০২৩০৪:৩৫৬:১৪
১০০১ এপ্রিল ২০২৩০৪:৩৪৬:১৫
রোজাতারিখসেহরিইফতার
১১০২ এপ্রিল ২০২৩০৪:৩৩৬:১৫
১২০৩ এপ্রিল ২০২৩০৪:৩২৬:১৬
১৩০৪ এপ্রিল ২০২৩০৪:৩১৬:১৬
১৪০৫ এপ্রিল ২০২৩০৪:৩০১৮:১৬
১৫০৬ এপ্রিল ২০২৩০৪:২৯৬:১৭
১৬০৭ এপ্রিল ২০২৩০৪:২৭৬:১৭
১৭০৮ এপ্রিল ২০২৩০৪:২৬৬:১৮
১৮০৯ এপ্রিল ২০২৩০৪:২৫৬:১৮
১৯১০ এপ্রিল ২০২৩০৪:২৪৬:১৮
২০১১ এপ্রিল ২০২৩০৪:২৩৬:১৯
রোজাতারিখসেহরিইফতার
২১১২ এপ্রিল ২০২৩০৪:২২৬:১৯
২২১৩ এপ্রিল ২০২৩০৪:২১৬:২০
২৩১৪ এপ্রিল ২০২৩০৪:২০৬:২০
২৪১৫ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৯৬:২০
২৫১৬ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৮৬:২১
২৬১৭ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৭৬:২১
২৭১৮ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৬৬:২২
২৮১৯ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৫৬:২২
২৯২০ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৪৬:২৩
৩০২১ এপ্রিল ২০২৩০৪:১৩৬:২৩

ইসলামের বিধান অনুযায়ী সেহরি খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় রয়েছে আর সেই সময় অনুযায়ী প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে সেহরি খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেহরি খাওয়ার সঠিক সময় হল ঠিক অর্ধ রাতের পর থেকে ফজরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একজন মুসলমান ব্যক্তি সেহরি খেতে পারবেন। আর মুস্তাহাব হল, ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না হলে শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া। তবে এখানে একটি বিষয় অবশ্যই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তিকে জেনে সেহরি খেতে হবে তা হল প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তি কে ফজরের ওয়াক্তের আগেই সেহরি খাওয়া শেষ করতে হবে।

তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত আজকের সেহরি খাওয়ার শেষ সময় সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত সেহরি খাওয়ার শেষ সময় সম্পর্কে জেনে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সেহরি খেতে পারবেন। আমরা যারা মুসলমান রয়েছি তারা কম বেশি সবাই জানি যে, রোজা পালন করার জন্য সেহরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর তা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খেতে হয়‌।

রোজা পালন করার ক্ষেত্রে প্রতিটি মুসলমানের জন্য যে শর্ত গুলি মহান আল্লাহতালা দিয়েছেন সেই শর্ত গুলোর মধ্যে সেহরি খাওয়া অন্যতম। যেহেতু ইসলাম ধর্মের প্রতিটি বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে কোন সময় কোন ইবাদত করতে হবে আর কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে কি করতে হবে তা জানানো হয়েছে। আর তাই রোজা পালন করার ক্ষেত্রে সেহরির শেষ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা যারা রোজা পালন করব তাদের অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে রোজা রাখার জন্য সেহেরী সময় পার হয়ে যাবার পর খাবার খেলে তখন রোজা পালন করা হয় না।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকল মুসলমান ব্যক্তি কে সেহরি শেষ করতে হয় এবং সেহরী শেষ করে ফজরের ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হয়। সুতরাং সকল মুসলমান ব্যক্তির সেহরির শেষ সময় সম্পর্কে জানা উচিত। কারণ সেই মোতাবেক সেহেরি খাবে এবং রোজা পালন করবে। তাই আপনাদের জন্য আজকের সেহরির শেষ সময় সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম যা প্রতিটি মুসলমানের জানাটা জরুরী।

সেহরির শেষ সময় ২০২৩

ইফতারের সময় পূর্ব সতর্কতা মূলক এই তিন মিনিট দেরি করা বৈধ নয় কারন আমরা হাদিস থেকে জানতে পারলাম তাড়াতাড়ি ইফতার করা জরুরি। সেখানে তিন মিনিট দেরি করার প্রয়োজন নেই। এই তিন মিনিট থেকে এক মিনিট কমালেও তাড়াহুড়া করা হলো। তাই আমাদের উচিত তিন মিনিট দেরি না করে সেখান থেকে অন্তত এক মিনিট কমিয়ে ইফতার করা। আজকের সেহরির শেষ সময় জানতে চাহিলে নিচে লিংকে ডাউনলোড করে নিন।

সেহরির শেষ সময় ২০২৩ ঢাকা

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ ডাউনলোড

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি 2023

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি 2023

আজকের সেহরির শেষ সময় 2023

আজকের ইফতারের সময়সূচি 2023

সপ্তম আসমানের উপরে জান্নাত অবস্থিত, আর আল্লাহর আরশ হচ্ছে তার ছাদ; আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুল স. বলেছেন, তোমরা আল্লাহ্র কাছে চাইলে ফেরদাউস চাইবে; কেননা এটাই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সর্বোচ্চ জান্নাত। আমার মনে হয়, রাসূলুল্লাহ স. এও বলেছেন, এর উপরে রয়েছে আরশে রহমান; আর সেখান থেকে জান্নাতের নহরসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। মুহাম্মদ ইব্নু ফুলাইহ্ (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বলেন, এর উপরে রয়েছে আরশে রহমান।

সবাই একমত যে জান্নাত সাত আসমানের উপরে অবস্থিত। কিন্তু জাহান্নাম কোথায় অবস্থিত এ ব্যাপারে অনেক মতভেদ আছে। আজকে আমরা জানব যে আসলে জাহান্নাম কোথায় অবস্থিত। রাসুল স. সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকটে ইসলামের প্রতি আহবান করে পত্র প্রেরণ করার পর সে পত্রের জবাবে একটি পত্র প্রেরণ করে।

তাতে সে একটি প্রশ্ন করেছিল আর তা হল, আপনি আমাকে এমন জান্নাতের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন যার প্রশস্ততা ও পরিধি আসমান ও জমিন তূল্য; যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তাহলে জাহান্নাম গেল কোথায়? এ প্রশ্ন শুনে রাসুল স. বললেন, সুবহানাল্লাহ, দিনের আগমন সুচিত হলে রাত কোথায় যায়? — আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। ইমাম আহমাদ এটি বর্ণনা করেছেন।

রাসুল স. প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করলেন। এ দ্বারা তিনি কি বুঝালেন ? আমরা যদি একটু চিন্তাভাবনা করি তাহলে বুঝতে পারব ইনশাআল্লাহ। যখন আমাদের দেশে দিনের আগমন ঘটে তখন রাত আমাদের বিপরীত দেশে চলে যায়। আবার যখন আমাদের দেশে রাত আসে তখন দিন আমাদের বিপরীত দেশে চলে যায়। অর্থাৎ পৃথিবীর একদিকে যখন রাত অপরদিকে তখন দিন। আরও সহজভাবে যদি বলি , পৃথিবীর একদিক হল প্রাচ্য অপরদিক হল পাশ্চাত্য।

প্রাচ্যে যখন রাত পাশ্চাত্যে তখন দিন আবার প্রাচ্যে যখন দিন পাশ্চাত্যে তখন রাত। রাসুল স. প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করলেন এটার অর্থ হচ্ছে, যেমন পৃথিবীর একদিকে রাত আর অপরদিকে দিন তেমন আসমানের একদিকে জান্নাত আর অপরদিকে জাহান্নাম। যেহেতু জান্নাত আসমানের উপরে সেহেতু জাহান্নামও আসমানের উপরে থাকাটা স্বাভাবিক বলে মনে হয় রাসুলে ঐ উক্তি।

হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, যখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে।

নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*