আকিকার মাংস বন্টনের নিয়ম মিজানুর রহমান

আকিকার মাংস বন্টনের নিয়ম মিজানুর রহমান

আপনারা যারা মিজানুর রহমান আজহারী আকিকার মাংস বন্টন এর নিয়ম সম্পর্কে কি বলেছেন তা জানতে চান তাহলে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এই তথ্য জেনে নিতে পারবেন। আকিকা যখন দেয়া হয় তখন সেখানে একটি পশুর অথবা দুইটি পশুর মাংস থেকে থাকে। তবে সেই মাংস কিভাবে ভাগ করতে হবে অথবা কিভাবে কাকে কত পরিমাণ দিতে হবে তা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। আকিকা একটি ইসলামিক বিধান এবং এটি করা সুন্নত। সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার খুশিতে মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য সপ্তম দিনের মাথায় আকিকা করা সুন্নত।

আকিকা করতে হলে ছেলে এবং মেয়ে অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাবে পশু কিনতে হবে এবং এক্ষেত্রে যদি ছাগল দিয়ে দেন তাহলে সব চাইতে সেটা ভালো হয়। যখন আকিকা দিবেন তখন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অথবা একজন ইমামকে ডেকে নিয়ে আপনারা এই আকিকার জবাই করতে পারবেন এবং আকিকার কাজ সম্পন্ন হলে সেই মাংস পরিষ্কারভাবে আলাদাভাবে নিয়ে সকলের মাঝে এটা বন্টন করতে পারবেন। আকিকার মাংস রান্না করা অবস্থায় যেমন সকলকে খাওয়ানো যায় ঠিক কাঁচা মাংস সকলকে প্রদান করা যায়।

তবে এই মাংসের পরিমাণ কিভাবে সকলের মাঝে ভাগ করতে হবে অথবা যে পরিমাণ আকিকার জন্য পশু আপনারা জবাই করেছেন সেই মাংস কিভাবে কি করবেন এবং চামড়া কি করবেন তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। আপনারা যখন আকিকার জন্য পশু জবাই করবেন তখন সেই মাংসকে পরিষ্কারভাবে কেটে নিতে হবে এবং তা কাটার পর সকলের মাঝে বন্টন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা কোরবানিতে যে নিয়ম অনুসরণ করে মাংস বন্টন করে সেই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ গোস্ত নিজেদের জন্য রাখতে হবে, এক তৃতীয়াংশ গরিব মিসকিনের মাঝে ভাগ করে দিতে হবে। বাকি যে এক-তৃতীয়াংশ মাংস থাকে সেটা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে ভাগ করে দিতে হবে। তাহলে এখান থেকে আমরা এটা বুঝতে পারলাম যে আকিকার মানুষ ও বন্টনের ক্ষেত্রে একই নিয়ম রয়েছে এবং এক্ষেত্রে কোন ঝামেলা নেই। তবে কেউ যদি আকিকার মাংস দিয়ে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করেন তাহলে তা করতে পারেন। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের আশেপাশে বিশেষ করে শুক্রবারের দিন এই অনুষ্ঠানগুলো করা হয়।

তবে আপনি অনুষ্ঠান যেদিনই করে থাকুন না কেন সপ্তম দিনের মাথায় আগেকার পশু জবাই করলে সেটা সবচাইতে ভালো হয়। পরে সেই মাংস আপনারা সংরক্ষণ করে যাই করুন না কেন তাতে কোন সমস্যা নেই। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আকিকা করে সেটা তিন ভাগে ভাগ করতে হবে এবং তিন শ্রেণীর মানুষকে দিতে হবে অথবা নিজের জন্য রাখতে হবে।

সেই মাংস নিজেরা খাওয়া যাবে এবং এই ক্ষেত্রে যারা মনে করেন পিতা-মাতাকে খাওয়ানো ঠিক নয় তাদেরকে বলব যে পিতা-মাতাও এই মাংস অনায়াসে খেতে পারবে। আগেকার মাংস সকলকে দেয়া যায় এবং এর মাধ্যমে আপনারা যখন আত্মীয়-স্বজনকে মাংস প্রদান করবেন তখন তারা খুশি হবে এবং আপনার সন্তানের জন্য মন প্রাণ থেকে দোয়া করবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4779 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*