যাদের অবদানের কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি তাদের হয়তো অনেকেই এখন আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের পর থেকে দেশ গড়ার যে অঙ্গীকার শেখ মুজিবুর রহমান হাতে নিয়েছিলেন তাতে করে একটি আদর্শ ডিজিটাল রাষ্ট্র আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে। তাই বর্তমান দেশের পেছনে যাদের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ অথবা দেশের স্বাধীনতা যারা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে তাদেরকে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এই জন্য যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাতা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে এখানকার তথ্য গুলো পড়লে আশা করি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এদের স্বাধীন করেছেন তাদের এই ঋণ কখনোই শোধ হবেন নাই। আপনাকে যদি কয়েক কোটি টাকা প্রদান করা হয় এবং মৃত্যুকে গ্রহণ করে নিতে বলা হয় তাহলে দেখা যাবে যে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বাদ আপনার কখনোই ফুরাবে না। অর্থাৎ বেঁচে থাকা অবস্থায় আপনি এই পৃথিবীর ছেড়ে যেতে চাইবেন না এবং সেই ধরনের টাকার কোন ধরনের লোভ আপনার ভেতরে না ও থাকতে পারে।
আর মহান মুক্তিযোদ্ধারা যখন যুদ্ধ করেছেন তখন তাদের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতে কি সুবিধা বা ভাতা প্রদান করা হবে এমন কোন চিন্তাই ছিল না। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানি শাসন থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করা এবং বিভিন্ন সময়ে যে ধরনের শোষণের শিকার হয়েছি তা থেকে নিজেদের ভেতরে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করা। দীর্ঘ কয়েক বছরের এ ধরনের অত্যাচারে যখন আমরা বিরক্ত হয়ে যাই তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানে ভাষণের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন।
আর এই ডাকে উজ্জীবিত হয়ে সকলে নিজ নিজ প্রস্তুতি গ্রহণ করলো এবং প্রতি শে মার্চের রাতে যখন সমগ্র দেশে অপারেশন সার্চলাইট চালানো হলো তখন এই মুক্তিযুদ্ধ আরও বেগবান হয়ে উঠলো। এই দেশ রক্ষা করার জন্য যারা নির্দ্বিধায়ী পরিবার ছেড়ে এবং সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ছেড়ে জীবনের মায়া না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই এখন আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। তাই যারা বেঁচে নেই তাদের যেমন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে তেমনিভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এমন সকল জীবিত ব্যক্তিদের প্রত্যেক মাসে বর্তমান সময়ে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে 15 হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
অর্থাৎ তাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয় এবং সম্মানী হিসেবে এই ভাতা প্রদান করার ভিত্তিতে তাদেরকে যে অর্থ প্রদান করা হয় তাতে তাদের জীবন খুব সুন্দর ভাবে চলে যাই। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কোটা সুবিধা থাকার জন্য চাকরির ক্ষেত্রে নিজেদেরকে এগিয়ে রাখার জন্য এই কোটা সুবিধা অনেকেই কাজে লাগিয়ে থাকেন। তবে যাই হোক মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনারা যদি অংশগ্রহণকারী কোন ব্যক্তিকে দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।
এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে যারা জানতে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাতা সম্পর্কে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে মুক্তি যোদ্ধাদের নামেই এই ভাতা প্রদান করা হবে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা প্রদান করার ক্ষেত্রে তাদের সন্তান অথবা স্ত্রীরা যে সুবিধা হবে এমন কোন নিয়ম চালু নেই। যারা কাগজে-কলমে সত্যি সত্যি মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচিত হয়েছে তাদের নাম গেজেটভুক্ত করে হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী সেবা প্রদান করা হয়।
তবে যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা মারা গিয়েছেন এবং তাদের এই টাকা যদি পরিবারের সন্তানেরা নিতে চাই তাহলে মায়ের অনুমতিক্রমে এই টাকা নিতে পারবে। তাই সন্তানদের জন্য বিশেষ কোনো ভাতার ব্যবস্থা চালু না রাখলেও মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা সন্তানেরা উত্তোলন করতে পারবে। আর এভাবে আপনারা খুব সহজে জানতে পারলেন যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিশেষ ভাতা প্রদান করার কোন সিস্টেম নেই। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধারা যে টাকা উত্তোলন করবে সে টাকায় সন্তানেরা উত্তোলন করতে পারবে এটাই চালু রয়েছে।
Leave a Reply