সাধারণত প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় যদি আপনাদেরকে টীকা লিখতে বলা হয় তাহলে সেখানে খুব বেশি নাম্বার না দেওয়ার কারণে অল্প শব্দের মধ্যে এটা লিখতে হয়। কিন্তু যখন চাকরির পরীক্ষায় আপনাদেরকে টীকা লিখতে বলা হবে এবং এই ক্ষেত্রে টপিক নির্ধারণ করে দেয়া হয়ে থাকবে তখন অবশ্যই এটা লেখার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তাই টীকা লেখার নিয়ম যারা জানেন না অথবা টিকা কি সে বিষয়ে যারা জানেন না
তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে। আপনার যদি এই পোস্ট পড়েন তাহলে টিকা কিভাবে লিখতে হয় অথবা এটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারলে পরীক্ষার খাতায় টিকা লিখে সর্বোচ্চ নাম্বার তুলতে পারবেন। তাই যাদের ভালো পারফরম্যান্স করার ইচ্ছা আছে অথবা যারা প্রথম পজিশনের দিকে যেতে চান তারা অবশ্যই টিকা লিখতে হলে নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করবেন।
বর্তমান সময়ের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় দশ মার্কের অথবা পাঁচ মার্কের টীকা লিখতে বলা হয়ে থাকে। এই টীকা লিখতে গিয়ে আপনারা যদি মনে করেন আসলে এটা কেমন ভাবে লিখলে সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যাবে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে যে বিষয়ে টীকা লিখতে বলা হয়েছে সে বিষয়ে যদি আপনার জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে ভাল নাম্বার উত্তোলন করা খুবই সহজ।
তবে সে বিষয়ে আপনার যদি খুব একটা ধারণা না থাকে তাহলে আপনি ভালো নাম্বার পাবেন না এবং এক্ষেত্রে বিষয়টা গুছিয়ে লিখতে পারবেন না। সাধারণত আপনাকে যদি পদ্মা সেতু সম্পর্কে টীকা লিখতে দেয়া হয় তাহলে এটা কত তারিখ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে হবে।
সেই সাথে এটা বাংলাদেশের কোন জেলায় স্থাপিত হয়েছে অথবা এটা তৈরির পেছনে কত খরচ হয়েছে অথবা এটা নির্মাণের কাজ কত তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এখানে শুধু পদ্মা সেতুর গুনোগান গাইলে চলবে না বরং আপনাকে পদ্মা সেতুর অনেক তথ্য প্রদান করতে হবে।
তথ্যগুলো যদি আপনার সংগ্রহে থেকে থাকে তাহলে প্রথম দিকে আপনারা পদ্মা সেতু সম্পর্কিত কিছু তথ্য ভূমিকা লিখে রাখবেন। তারপরে মাঝখানে পদ্মা সেতুর বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করতে হবে এবং যতটা তথ্য প্রদান করতে পারবেন তত দ্রুত নাম্বার পেয়ে যাবেন। তবে তথ্য প্রদান করার সময় অবশ্যই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
এই ক্ষেত্রে আপনি যে তথ্য প্রদান করার সময় পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রথমে নির্ণয় করলেন এবং পরবর্তীতে গিয়ে এটার কাজ কবে শুরু হয়েছে অথবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ কবে শুরু হয়েছে এ বিষয়ে প্রদান করলেন তখন আপনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাবে না।
তাই পদ্মা সেতু সম্পর্কে আপনারা যখন সঠিক তথ্য জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে তথ্যগুলো জানিয়ে দেব। তবে টীকা লেখার নিয়মের ক্ষেত্রে আপনারা যদি প্যারাগ্রাফ লিখে থাকেন তাহলে একই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা এটা লিখতে পারেন। সাধারণত আমরা প্যারাগ্রাফ এর বর্ধিত রূপ হিসেবে রচনাকে বিবেচনা করে থাকি
কিন্তু টিকা হল এমন একটা লেখার সিস্টেম যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার ধারণাগুলোকে সম্প্রসারিত করবেন এবং এটা প্যারাগ্রাফ এর চাইতে বড় এবং রচনার চাইতে ছোট হবে। প্যারাগ্রাফ এর মতো করে আপনারা এটার বিস্তারিত তথ্য লেখার আগে ভূমিকা হিসেবে কিছু তথ্য প্রদান করবেন এবং মাঝখানে বিবরণের জায়গায় বেশ কিছু তথ্য প্রদান করবেন।
তারপরে আপনাদের আরো কোন তথ্য প্রদান করতে হলে অবশ্যই আপনারা সেটা উপসংহার হিসেবে বিবেচনা করে লিখে দিবেন। তাই খুব সহজেই টীকা লেখার ক্ষেত্রে যে কোন বিষয়কে সহজ এবং সাবলীল ভাষায় তথ্য নির্ভর করে লেখার চেষ্টা করলে ভালো নাম্বার পাওয়া সম্ভব। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে কিভাবে টীকা লিখতে হয় অথবা টীকা লিখে কিভাবে সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায় সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করতে পেরেছি।
Leave a Reply