আপাং গাছের উপকারিতা

Rate this post

আমরা অনেকেই আপাং গাছ এর সাথে পরিচিত রয়েছি। আবার অনেকেই রয়েছি যে এই গাছটি আমাদের আশেপাশেই আছে কিন্তু আমরা এ গাছটিকে চিনতে পারিনা এবং এটাও জানি না যে এই গাছ থেকে আমাদের কত উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে। ঠিক সেই জন্যই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে এসেছি আপাং গাছ এর বিভিন্ন রকমের পরিচিতি সম্পর্কে। আমাদের আজকের এই অনুচ্ছেদ পড়লে আপনারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন আপাং গাছ থেকে আমরা ঠিক কি কি উপকার পেতে পারি সেই সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আপাং গাছ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।

আপাং গাছ এর বর্ণনা

আপাং একটি বর্ষজীবী বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদটি আমরা বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাই। এটি এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। আপান উদ্ভিদের কান্ড শাখান্বিত হয়ে থাকে। এছাড়াও এর পাতা সরল হয়ে থাকে এবং প্রতিমুখ অনেকটাই ডিম্বাকৃতির মত দেখতে। ইলেকট্রিক্যাল এবং তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। আপানের পুষ্প অর্থাৎ এর ফুল গুলো অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়ে থাকে। এর ফলগুলো নাটলেট ও শক্ত অক্ষম যুক্ত হয়ে থাকে যা খুব সহজেই কাপড়ে বা জীবজন্তুর গায়ে আটকে যায়। সাধারণত গ্রীষ্মের শেষ দিকে এ উদ্ভিদের ফল শুষ্ক হয় এবং মাটিতে পড়ে যায় তখন বিষ কালো হয়ে যায় ‌

আপাং উদ্ভিদের ব্যবহার্য অংশ

আপনারা আপাং উদ্ভিদের বাহিরের অংশগুলো যদি সঠিকভাবে চিনতে পারেন তাহলেই খুব সহজেই এর উদ্ভিদটি আপনারা চিনে যেতে পারবেন। সাধারণত মূল কাণ্ড পাতা ও বীজ অর্থাৎ সমস্ত উদ্ভিদ।

উদ্ভিদের সাধারণ গুনাগুন

আপাং নামের এই উদ্ভিদের রয়েছে সাধারণত অনেক রকমের গুনাগুন। আমরা আপার নামের এই উদ্ভিদটি দ্বারা বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তবে এই উদ্ভিদের সাহায্যে আমরা ঠিক কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি এটি আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। আমরা অনেকেই জানিনা এ উদ্ভিদ সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আপার নামের এই উদ্ভিদের সাধারণ গুনাগুন গুলো সম্পর্কে।

সাধারণত উষ্ণ বীর্য যাদের রয়েছে তারা এই উদ্ভিদের সাহায্যে খুব সহজেই আপনার রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এছাড়াও মূত্রকার সমস্যার সমাধানে এ উদ্ভিদের তুলনা হয় না। মল সংগ্রাহক সমস্যার সমাধানেও এ উদ্ভিদ বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। এছারাও অর্শ কফ ও হৃদ রোগ নাশক রোগের অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ হলো এই আপাং উদ্ভিদ। এছাড়াও যাদের পিপাসা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য পিপাসা নিবারক করতে পারবে এ আপাং উদ্ভিদ।

উদ্ভিদের সঠিক ব্যবহার

উপরের অংশে আমরা জেনে নিয়েছি আপার নামের এই উদ্ভিদটি সাধারণত কি কি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে সম্পর্কে তবে এখন আমরা জানবো এই উদ্ভিদের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে। কারণ আমরা যদি এই উদ্ভিদের সঠিক ব্যবহার না জেনে থাকে তাহলে আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকটাই অসুবিধে হয়ে যাবে।

আপাং এর  রস  এক থেকে দুই আউন্স মাত্রায় দিনে তিনবার সেবন করলে মূত্র কষ্ট দূর হয় এবং প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হয়। ইহা মৃদু জ্বালাপোড়ার ও কাজ করে থাকে। এছাড়াও এর কাণ্ড রুদ্রাময় আমাশয় অতি রোজ অর্শপাত অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রদাহ চর্মরোগ প্রভৃতি রোগে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে খুব বেশি মাত্রায় সেবন করলে প্রসাব বেদনা ত্বরান্বিত হয় তাই গর্ভপাত ঘটানোর জন্য অনেক সময় এর ব্যবহার হয়ে থাকে।

আপাং এর পুষ্প চূর্ণ চিনির সাথে খেলে পাগলা কুকুরের বিষ নষ্ট হয় সামান্য কারণে যাদের বুক ধড়ফড়ানে শুরু হয় তাদের যেন প্রত্যাহার সকালে ঠান্ডা পানি সহ এক চা চামচ আপাম এর তাজা রস কিছুদিন নিয়মিত খান তাহলে হৃদযন্ত্রণাটা সবল হবে। এছাড়াও যাদের খাওয়ার প্রতি অরুচি রয়েছে তারা আপনের শিকড় এবং একভাগ গোলমরিচ বেটে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করবেন এবং বড়িগুলো ছায়াতে শুকিয়ে প্রত্যহ সকাল বিকাল খাবারের পর পানি সহ একটি করে বড়ি খাবেন এতে করে স্বাভাবিক ক্ষুধা হবে।

আশা করি আপনারা আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন আপাং গাছের উপকারিতা সম্পর্কে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button