বিভিন্ন নামাজের পর বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো থাকার কারণে আপনার হয়তো আসরের নামাজের পর আমল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট ভিজিট করেছেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে আসরের নামাজের পর কোন আমল করবেন তা জানিয়ে দেবো এবং এই আমলগুলো পড়লে আপনাদের জন্য তা অনেক উপকারী হবে। দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক জীবনকে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া অথবা বিভিন্ন ধরনের আমল গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে নির্মিত ভাবে আলোচনা করা হচ্ছে বলে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তা জানতে পারছেন।
এখানকার এই তথ্যগুলো ছাড়াও আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের সূচিপত্রের দিকে যান তাহলে সেখানে গিয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন আমল অথবা বিভিন্ন ধরনের দোয়া সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। তবে যাই হোক এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আসরের নামাজের পর কোন আমল গুলো করলে ভালো হবে সেগুলো জেনে নিবেন।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজ হল বেহেস্তের চাবিকাঠি এবং নামাজ হলো প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। আপনার দৈনন্দিন জীবনে যেমন প্রত্যেকটি কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ফরজ বলে মনে করে থাকেন তেমনি ভাবে আপনাকে যে কোন অবস্থায় নামাজ আদায় করতে হবে।অবশ্য এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের তাড়াহুড়া করা যাবে না এবং সঠিক নিয়মে ও সহীহভাবে নামাজ আদায় করলেই একজন মুমিনের পরিচয় দিতে পারবেন। কিন্তু আমাদের ভেতরে নামাজের প্রতি অনাগ্রহ রয়েছে এবং এই কারণে আমরা অনেকে হয়তো নামাজ আদায় করি না। কিন্তু না আমাদের সুফল যদি আপনি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানেন এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসরণ করে জানেন তাহলে এটা কখনোই আপনি ছাড়বেন না এবং ঠিকঠাকমতো প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
নামাজ হলো এমন এক ধরনের এবাদত যেখানে আপনি মহান সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে আসতে পারেন এবং তিনি আপনার মনের কথাগুলো বুঝতে পারেন ও জানতে পারেন। দিনশেষে আমরা যখন আত্ম সন্তুষ্টি খুঁজে অথবা একটু ছায়াতলের স্পর্শ পেতে চাই তখন মহান সৃষ্টিকর্তার চাইতে এই ছায়া তলে বা আত্মসন্তুষ্টি কেউ প্রদান করতে পারবে না। আপনি একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে সাধারণত যাদের ভেতরে হতাশা রয়েছে তারা অনেকেই নামাজ পড়েন না এবং যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন তাদের ভেতরে হতাশা আসে নামক বস্তু খুবই কম। তাই সুযোগ পেলে যে কোন জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে নামাজ আদায় করে নিতে হবে এবং মহান আল্লাহ পাকের এই দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে আপনি যে একজন দায়িত্ববান এবং কর্মশীল মানুষ তা প্রমাণ করতে পারবেন।
তাই নামাজ পড়ার পর আপনারা বেশ কিছু আমল রয়েছে এবং সাধারণত প্রত্যেকটি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া সুন্নত। এছাড়া আপনারা তিন তাজবিহ যেমন পড়বেন তেমনি ভাবে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করলে এটা আপনাদের জন্যই অনেক মঙ্গলজনক হবে এবং দুনিয়ার জীবনে যেমন প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে বরকত পাবেন তেমনিভাবে আখিরাতেও আপনারা এর সুফল উপভোগ করতে পারবেন। তবে যাই হোক এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যখন আসরের নামাজের পরের আমল সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য এসেছেন তখন নিচের দিক থেকেই তথ্যগুলো জেনে নিলেই আপনারা পরবর্তীতে সে আমল করতে পারবেন।
আসরের নামাজ প্রসঙ্গে আমরা যখন বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি তখন আমরা এটাও জানতে পেরেছি কোন ব্যক্তি যদি আসরের নামাজের পরে নিচের আমল করে তাহলে তার সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তাই আপনারা এটা জেনে খুশি হবেন যে, কোন ব্যক্তি যদি শুক্রবারের দিন আসরের নামাজের পর নিম্নলিখিত দুরুদ শরীফ 80 বার পাঠ করে তবে তার 80 বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
এছাড়া আপনারা উপরের উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে তাজবি পাঠ করবেন ইস্তেগফার পাঠ করবেন এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ করার পাশাপাশি অন্যান্য দোয়া দরুদ যা জানেন তা পাঠ করলে কোন সমস্যা নেই। বরং আপনার জন্য তা উপকার হবে। তাই আপনারা আসরের নামাজের পরে আমল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য অবগত হতে জেনে নিন। আসরের পরও নির্দিষ্ট কোনো সুরা পাঠের কথা হাদিসে নেই। তবে সুরা নাবার ফজিলত সম্পর্কে একটি দুর্বল হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা নাবা পাঠ করবে আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন ঠাণ্ডা পানীয় দ্বারা তৃপ্ত করবেন।’ (তাফসিরে কাশশাফ : ৬/৩০৩) । আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকল উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।
Leave a Reply