গর্ভের বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক আমল করার মধ্য দিয়ে বাচ্চা নষ্ট না হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। যেহেতু ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা সেহেতু এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান রয়েছে অথবা বিভিন্ন বিষয়ে বরকত লাভ করার জন্য বিভিন্ন আমল রয়েছে।
তাই গর্ভের সন্তানকে সুরক্ষিত রাখা প্রত্যেকটি মায়ের দায়িত্ব এবং একজন মা যদি প্রত্যেকটি বিষয়ে অবগত এবং সচেতন থাকতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে গর্ভের সন্তান সুস্থ থাকবে এবং সুন্দরভাবে এই পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হতে পারবে। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বিভিন্ন মায়েরা গর্ভে সন্তান আসার পর থেকে অলস হয়ে যায় এবং অলস হওয়ার কারণে সন্তানের ভেতরে খুব একটা বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে সেটা ভূমিষ্ঠ হতে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
আপনি যে নামাজ আদায় করছেন তার ভেতরেও এক ধরনের ব্যায়াম রয়েছে বলে আপনারা অবশ্যই গর্ভবতী মায়েরা নামাজ আদায় করবেন এবং নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করবেন। নিয়মিতভাবে নামাজ আদায় করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আমল করলে সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর এই পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন ধরনের সদগুণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারবে। এই পৃথিবীর বুকে যদি আপনি একজন আদর্শবান এবং নেককার সন্তান জন্মগ্রহণ করাতে পারেন তাহলে সেই সন্তানের নামে পিতা-মাতা হিসেবে আপনাদের নিজেদের মুখ আলোকিত হবে। তাই সন্তান জন্মগ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাকে গর্ভধারণ করা থেকে শুরু করে এই পৃথিবীর বুকে জন্ম দিয়ে সুন্দরভাবে লালন পালন করার দায়িত্ব যেহেতু আমাদের সেহেতু সন্তানকে খুব সুন্দর ভাবে গর্ভে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের বিশেষ কিছু কাজ করতে হবে।
আপনি যদি একজন মুমিন বান্দা হয়ে থাকেন এবং আল্লাহ পাকের প্রতি প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ পাকের কাছে সাহায্য চাইলে তিনি অবশ্যই আপনাকে নিরাশ করবেন না। আল্লাহপাক আপনার চাওয়া পাওয়া থেকে সকল বিষয় বুঝতে পারবেন এবং সেখান থেকে আপনার বিভিন্ন চাহিদার উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদান করবেন। তাই গর্ভে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভালো হওয়ার জন্য তাকে সুস্থ রাখার জন্য আল্লাহপাকের কাছে বেশ কিছু আমল করলে তিনি অবশ্যই আপনাদের আমল বুঝবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনাদেরকে সাহায্য প্রদান করবেন।
তাই আপনি যখন গর্ভবতী অবস্থায় প্রত্যেক মাসের আমল করবেন এবং এই আমল আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিবেন তখন আপনার জন্য সেটা যেমন সুবিধাজনক হবে তেমনি ভাবে সন্তানের জন্য তা উপকারী ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া পেটের সন্তান কে সুরক্ষিত রাখার জন্য অথবা বাচ্চা যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য আপনারা সূরা ইব্রাহীম এর চল্লিশ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করার মধ্য দিয়ে তাকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।তাছাড়া আপনি যদি সূরা আল ইমরানের 38 নম্বর আয়াত পড়তে পারেন এবং সূরা আল ফুরকানের 74 নাম্বার আয়াত তেলাওয়াত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই তা সন্তানকে সুরক্ষিত রাখবে এবং এই পৃথিবীর বুকে খুব সুন্দর ভাবে ভুমিষ্ট করতে সাহায্য করবে।
Leave a Reply