সাধারণত মেয়েদের পেটে যখন বাচ্চা আসে তখন সে বাচ্চা নিয়ে গর্ভধারিণী মা এবং তার পরিবার অনেক চিন্তিত থাকে। বাচ্চা কিভাবে আছে বাঁচা কতটুকু ভালো আছে বাচ্চা ঠিকঠাক নড়াচড়া করতে পারছে কিনা এ ধরনের বিভিন্ন ধরনের কৌতূহল স্বাভাবিকভাবেই গর্ভধারিনী মায়ের মাথায় আসে। ঠিক তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে গর্ভাবস্থায় বাচচা পেটের কোন পাশে থাকে।
বাচ্চার অবস্থান অনুযায়ী বাচ্চার সুস্থতা অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যায় এবং এই পজিশন মায়ের সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেকেই মনে করেন যে বাচ্চার পজিশন অনুযায়ী বাচ্চা ছেলে না মেয়ে সেটাও বোঝা যায় তবে এটা খুব একটা সঠিক ধারণা নয়। আজকে আপনাদের জানার চেষ্টা করব বাচ্চা সুস্থ থাকা অবস্থায় পেটের কোন পাশে থাকতে পারে এবং এটা যদি ব্যতিক্রম হয় তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
ছেলে হবে না মেয়ে হবে গর্ভাবস্থায় কিভাবে বুঝবেন
সাধারণত গর্ভে যে সন্তান আছে সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক বাবা-মা সবটাতে খুশি থাকে। তারপরেও কৌতূহলবশত অনেকে জানতে চায় যে গর্ভে যে সন্তান আছে সেটা ছেলে না মেয়ে একটু জেনে নেয়া যাক। যদিও আপনি যদি এটা আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জানতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য একটি অপরাধ এবং এটার কারণে আপনাকে তিন মাসের জেলে যেতে হতে পারে।
হ্যাঁ আগের দিনের সন্তানের বিভিন্ন পজিশন অনুযায়ী অনেকে বলতে পারতো বাচ্চা ছেলে না মেয়ে সেই আইডিয়াগুলো থেকে আজকে আমরা আপনাদের ধারণা দিতে পারি। তবে এটা যে জানতেই হবে এমন কোন নয় এবং আপনি যদি জোর করে এটা জানতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য অপরাধ এবং আপনার জন্য এখানে জেল লেখা রয়েছে।
কিভাবে বুঝবেন আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সে সম্পর্কে এখন জানবো। গর্ভে মেয়ে সন্তান থাকলে সকালের দিকে সাধারণত আপনার শরীর বেশি অর্থাৎ গর্ভধারিণী মায়ের শরীর বেশি দুর্বল হয় এবং বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যা বেশি বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও মেয়ে সন্তান যদি পেটে থাকে তাহলে গর্ভধারিণী মায়ের কথায় কথায় রাগ ও কান্না পেতে পারে এবং ছেলের ক্ষেত্রে এটার উল্টোটা হতে পারে।
সবার ধরন দেখেও বোঝা যায় বাচ্চা ছেলে না মেয়ে অর্থাৎ ছেলে হলে সাধারণত বাঁদিকে ফিরে শুতে পছন্দ করে মায়েরা এবং ডান দিকে ফিরে শুতে নাকি বেশি ভালো লাগে মেয়ের বেলায়। এছাড়াও যদি ত্বক ও চুলে তেলতেলে ভাব ও ব্রণ সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে কন্যা সন্তান আসতে চলেছে। আর গর্বে থাকা সন্তানের মা যদি বেশি আগের থেকে সুস্থ অনুভব করে এবং আগে থেকে বেশি সুন্দর হয় তাহলে মনে করতে হবে গর্ভে সন্তান ছেলে আছে।
ধারণা করা হয় যে যদি গর্ব অবস্থায় বেশি বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে গর্ভের সন্তান মেয়ে কোন সন্তান এবং মায়ের যদি খুব বেশি ঝাল খেতে ইচ্ছা করে তাহলে গর্ভের সন্তান হচ্ছে ছেলে সন্তান। প্রচলিত ধারণা ও অন্যান্য বিষয় একত্রিত করে গর্ভের সন্তানের হৃদস্পন্দন যদি বেশি হয় অর্থাৎ হার্ট রেট যদি বেশি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়াও গর্ভধারণের পেট দেখে অনেকেই ছেলে না মেয়ে সন্তান সেটা বুঝতে পারে। গর্ভধারিণী মায়ের পেট যদি নিচের দিকে বেশি ঝোলা থাকে তাহলে মনে হয় যে ছেলে সন্তান হবে এবং মেয়ে সন্তান যদি পেটে থাকে তাহলে পেট মাঝের দিকে বেশি চেয়ে থাকে এবং অনেক বেশি উঁচু হয়।
তবে এগুলো সবই প্রচলিত ধারণা এবং এই ধারণা থেকে আমাদের হালকা কিছু গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারি তবে পুরোপুরি না এবং গর্ভাবস্থায় সন্তান ছেলে বা মেয়ে সেটা জানার অধিকার কোন বাবা মায়ের নেই। আল্লাহ তাআলার রহমত এর শুকরিয়া আদায় করুন এবং সবসময় আল্লাহকে স্মরণ করুন।
Leave a Reply