জাতীয় শিশু দিবস সম্বন্ধে নিশ্চয়ই আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন। ১৭ ই মার্চ সারাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের একজন মহান মানুষের জন্মদিন। শিশু দিবস সম্বন্ধে আপনারা না জেনে থাকলেও নিশ্চয়ই সেই মহান মানুষের জন্মদিন সম্বন্ধে সকলেই জানেন। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তখন কেইবা জানত এই ছেলেটি একদিন বাঙালি জাতির জনক হয়ে উঠবে। হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন পুরো ভারতবর্ষ ছিল ব্রিটিশদের অধীনে। ব্রিটিশরা প্রায় ২০০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। সে সময় ও বাঙালিরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে মুক্তি লাভের জন্য। ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশদের কাছ থেকে মুক্তি পেল তখন আবার বাঙালিদের শাসন করতে শুরু করল পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানেরদের নির্যাতনের মাত্রা ছিল ব্রিটিশদের থেকেও বেশি। তবে এ থেকে বাঙ্গালীদের মুক্তি পাওয়ার রাস্তাটি খুব সহজ ছিল না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোট থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তার আশেপাশের কোন মানুষ যদি বিপদে পড়তো, তিনি নিজে গিয়ে তাদের সাহায্য করতেন। সেই যে তার শুরু, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করেছেন অবহেলিত মানুষের পক্ষে। দিনের পর দিন কারা ভোগ করেছেন শুধুমাত্র বাঙ্গালীদের মুক্তির কথা ভেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ত্যাগ সত্যিই ভোলার মত নয়।
যে কারণেই আমরা বলে থাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। ঠিক এ কারণেই ১৭ই মার্চ দিনটি আমরা সকলেই মনে রেখেছি। এই দিনে যে বাঙালি জাতির জনক পৃথিবীতে এসেছিল। বলা যায় এই দিনে তিনি পৃথিবীতে না আসলে হয়তো বাঙালিরা এতদিনে স্বাধীনতা লাভ করতে পারতেছি না তাতে সন্দেহ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ।
এখন আমরা মূল আলোচনায় ফিরে আসি। আমরা এতক্ষন আলোচনা করছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি কেন আমাদের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিশ্চয় জানতে পারলেন কেন এই দিনটিকে আমরা এতটাই স্পেশাল মনে করছি। এখন আলোচনার জায়গা হল এই দিনটিকে আমরা কিভাবে উদযাপন করতে পারি। সব কিছুর আগে এই দিনটির যে গুরুত্ব তা সবাইকে জানানোই আমাদের প্রথম কাজ হতে পারে।
যেসব শিশুরা এখন বেড়ে উঠছে তারা অনেকেই হয়তো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানেনা। তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চেনাতে হবে। চেনানোর জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন সময়ের ছবিগুলো তাদের কাছে তুলে ধরতে পারি। এই ছবিগুলোর মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে চিনবে। অনলাইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন সময়ের ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে যেগুলো আমরা খুব সহজেই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারবো।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা তার ছবি দিয়ে সুন্দর ব্যানার তৈরি করতে পারি যেগুলো সবার সাথে খুব সহজেই শেয়ার করা যায়। যেহেতু আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা বেশি পাঠিয়ে থাকি তাই বিভিন্ন বড় বড় গ্রুপ ও পেজগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার তৈরি করে পোস্ট করা যেতে পারে। আপনার হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন এভাবে উদযাপন করার মূল কারণ কি।
মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন সবার কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন সময়ের তথ্যগুলো তুলে ধরতে পারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে জানার অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো আমরা এখনো খুব ভালোভাবে জানার সুযোগ লাভ করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা একে অপরকে তাকে নিয়ে লেখা বইগুলো উপহার হিসেবে দিতে পারি। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারব।
Leave a Reply