আপনি কি বাস্তব জীবন নিয়ে কিছু কথা খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে জীবন নিয়ে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী কথার মাধ্যমে। এই কথাগুলোর মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারেন বলে আশা করছি। কেননা জীবন নিয়ে এরকম বাস্তবধর্মী কথার মাধ্যমে এবং এগুলো জানার মাধ্যমে অনেক সময় উপকৃত হওয়া যাই। নিজের জীবনকে আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। এমন কি সুখী এবং স্বাচ্ছন্দ জীবনের জন্য বাস্তব জীবন সম্বন্ধে জ্ঞান রাখা খুবই জরুরী। তাই বাস্তব জীবন সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবধর্মী কথার মাধ্যমে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন রকমের বাস্তবধর্মী জীবন কেন্দ্রিক কথা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
মানুষের জীবন ফুলের পাপড়ির মত কোমল নয়। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন রকমের বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন বাধা- বিপদ কাটিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার নামই জীবন। জীবন কখনো থেমে থাকে না। জীবন চলে জীবনের গতিতে। বিভিন্ন বিপদ-আপদে তাই ভেঙে পড়লেও চলে না। সবকিছুর মোকাবেলা করে যে সামনে আগাতে পারে, সেই সফল। তাই জীবনকে ভালোভাবে উপভোগ করতে হলে বিভিন্ন বিপদ-আপদে ভেঙে পড়া যাবে না।
বাস্তবধর্মী হয়ে সবকিছুর মোকাবেলা করতে হবে এবং সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। বলা হয়ে থাকে পায়ের কাটার দিকে বার বার তাকালে হাঁটার আনন্দ উপভোগ করা যায় না। ঠিক তেমনি ভাবে সব সময় বিপদ বা দুঃখের কথা চিন্তা করলেও জীবনে অগ্রসর হওয়া যায় না। তাই জীবনকে জীবনের গতিতে চলাতে বাস্তব ধর্ম হওয়া দরকার।
জীবন আসলে কল্পনার মতো নয়। কল্পনা দিয়ে জীবন চলে না। জীবন চলে বাস্তবতার নিরিখে। কিন্তু অনেকেই কল্পনায় বিভোর থাকতে পছন্দ করে৷ কল্পনার জগতেই খুোশি হয়। ভাবে কল্পনা দিয়ে জীবন সাজাতে পারলেই জীবন সুন্দর। কিন্তু কল্পনা তো কল্পনাই।কল্পনা কখনো বাস্তব হয় না৷ কল্পনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবতা বুঝতে শিখতে হবে৷ জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ করতে হবে। ভাব এবং কাজের মিল রাখতে হবে। তা না হলে সফল হওয়া যাবে না।
সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায় আর পরিশ্রম। পরিশ্রম ছাড়া কখনো সফল হওয়া যায় না। প্রত্যেকটি সফলতার পিছনেই অনেক অনেক পরিশ্রমের গল্পগাথা থাকে। পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনো সফল হতে পারে না৷ তাই জীবনকে আরো সুন্দরভাব গড়ে তুলতে হলে বাস্তবধর্মী হতে হবে।
আবার আবেগ দিয়ে জীবন চলে না৷ জীবনকে চালাতে হবে বিবেক দিয়ে। অনেক সময় দেখা যায় আবেগের বশবর্তী হয়ে মানুষ কতকিছুই না করে।কিন্তু আবেগের ঘোরে করা কাজগুলোই অনেক সময় দেখা যায় জীবনের মস্তবড় ভুল হয়ে যায়৷ তাই কোন কিছু আবেগ দিয়ে নয়, বিবেক দিয়ে চিন্তা – ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
জীবনে যখন কোন বিপদে পড়া যায়, কিন্তু কারো কোন রকম সাহায্য নিতে পারেন না, তখন বোঝা যায় প্রকৃতি বন্ধুত্ব কতটা দরকারি। আবেগবান নয়, বিবেকবান হওয়াটাও জরুরি। আবার আবেগ থাকবে না এমন নয়, আবেগও থাকবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন বিবেককে কেন আবেগ না নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
জীবনে অনেক বাধা আসবেই। এটা স্বাভাবিক। তাই বলে জীবনে বাধা – বিপত্ত্বির মুখে চুপ করে থাকা যাবে না। সাহসের সাথে এগুলো মোকাবেলা করে মিটমাট করা সবার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। বাস্তবে যারা বিভিন্ন ধরণের সেচ্ছাসেবক হতে চাই এবং বাস্তবধর্মী জীবন গড়তে চাই তাদের অবশ্য খুব কঠিন কাজ না।
আবেগের বশবর্তী হয়ে বিবেককে বিসর্জন করা যাবে না আবেগকেই বিসর্জন দিয়ে বিবেককে প্রাধান্য দিতে হবে। সাথে কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায তো করতেই হবে। তাহলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি সফলতা লাভ করা যাবে।
Leave a Reply