আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করে থাকেন কিস শুধু আদর করার জন্য করা হয়ে থাকে। অথবা মনের মানুষের প্রতি তুমুল আগ্রহ থাকার কারণে অথবা মনের মানুষের প্রতি অনেক ভাল লাগার কারণে আপনারা হয়তো এই কিস করে তাদেরকে অনেক সময় রাগ ভাঙাতে চান। কিন্তু দুইজন যদি দুজনের ইচ্ছাই একই অন্যকে কিস করে তাহলে এখান থেকেও অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আর সেই জন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে কিস করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব যাতে করে আপনারা এই উপকারিতা জেনে নিয়ে মনের মানুষের সঙ্গে অথবা নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এটা বিনিময় করতে পারেন। আপনারা যদি একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য কিস করেন তাহলে দেখা যাবে যে অপর ব্যক্তি অবশ্যই আপনার ডাকে সাড়া দেবে এবং আপনার প্রতি ভালোবাসা দেখাবে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কিস বা চুম্বনের কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা আমরা এখানে করব যা আপনাদের অনেক উপকারে আসতে পারে।
যদি আপনি অনেক মানুষের চাপে থেকে থাকেন এবং এই মানসিক চাপের কারণে প্রিয় মানুষের সঙ্গে খুব একটা ভালো ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে দেখা যাবে যে তার সামনে দাঁড়াবেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে কিস করবেন। এতে করে আপনার মানসিক চাপ এমনিতেই কমে যাবে এবং আপনার মনে হবে আপনার পাশে কেউ একজন শক্ত করে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তাছাড়া বিজ্ঞানসম্মত ভাবে আপনার হাইপারটেনশন অথবা বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ কমাতে কিস করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।মনের মানুষের সঙ্গে যদি আপনার এই চুম্বন বিনিময় হয়ে থাকে তাহলে দেখবেন যে সেই মানুষটি যেমন খুশি হয়ে যাচ্ছে তেমনি আপনার ভেতরে সেই সম্পর্কের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
অর্থাৎ আপনি যে চুমু দিলেন সেই চুমুর ফলে আপনার প্রিয় মানুষ আপনার প্রতি আস্থাভাজন হয়ে গেল এবং আপনাদের এই সম্পর্কটা নিয়ে সেই ব্যক্তি অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। অর্থাৎ অপরিচিত কাউকে অথবা মনের সঙ্গে মিল নেই এমন কাউকে কিস করা যায় না এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মনের সঙ্গে যখন মিল থাকবে তখন এই কিস দিলে অবশ্যই একে অন্যের প্রতি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। কারো যদি উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে তাহলে সেই উত্তর রক্তচাপ কমাতেও কিস প্রদান করলে অনেক ভালো হয়। যদি দেখেন হার্টবিট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে একে অন্যকে কিস করলে সেই রক্তচাপ আপনা আপনি কমে যাবে।
এমনকি কিস যদি করে থাকেন তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। কারণ চুম্বনের ফলে যে লালারস বের হচ্ছে সেটা একে অন্যের মধ্যে আদান-প্রদান হয়ে যাবে এবং এর মাধ্যমে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক অংশে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। যদিও এটার ভিত্তি খুব কম তার পরেও অনেক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এটা জানতে পেরেছি বলে আপনাদেরকে তা জানিয়ে দিতে পারলাম।আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষকে কিস প্রদান করেন তাহলে দেখা যাবে যে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটাতে সাহায্য করছে। আর যখনই এই হরমোন কমবেশি হয়ে যাবে তখন দেহের ব্যথা কমতে সাহায্য করবে এবং এ থেকে বুঝতে পারলাম কিস করলে দেহের ব্যথা উপশম হয়।
চুম্বনের ফলে দেহের ভেতর থেকে যে লালা গ্রন্থি এর মাধ্যমে লালারস করণ ঘটায় সেটার মাধ্যমে আপনার দাঁতের উপরে এক ধরনের আস্তরণ সৃষ্টি করে। আপনারা সেই আস্তরনের মাধ্যমে কোন ধরনের খাবার আটকাবে না বলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। আর যখন এই লালা রস আটকানোর ফলে আপনার দাঁত পরিষ্কার থাকবে তখন আপনার দাঁতের ক্ষয় কম হবে। তাছাড়া যে কোন ধরনের সম্পর্ককে দীর্ঘায়িত করার জন্য অথবা সম্পর্কের ভিত শক্ত করার জন্য আপনারা একে অন্যকে যদি ইচ্ছাই কিস করেন তাহলে দেখা যাবে যে এটা খুব উপকারী একটা ব্যায়াম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। আশা করছি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে কিস করার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে পেরেছি।
Leave a Reply