
বিড়াল আমাদের কাছে কমবেশি একটি পছন্দের পোষা প্রাণী। অনেকে আছেন যারা বাসা বাড়িতে বিড়াল পোষে থাকেন এবং বিড়ালকে নিজের পরিবারের সদস্যের মতো দেখভাল বা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। কোন কারনে একটি বিড়াল যদি আক্রমণাত্মক হয়ে যায় এবং বিড়াল যদি কামড় দেয় তাহলে এই কামড়ে কি হতে পারে তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন। সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবন সহজ করে দেওয়ার।
আর যখন আপনারা বিভিন্ন পোষা প্রাণী অথবা বিভিন্ন প্রাণীর কোমরে কি কি ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা সম্ভাবনা না থাকলেও কি কি হতে পারে তা যখন জানতে চান তখন আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করব। এর আগে আমরা এ বিষয়ে অনেক ধারণা প্রদান করলেও আজকে আলোচনা করব বিড়াল কামড়ালে কি হতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে আপনাদের কি করনীয় রয়েছে।
বিড়াল আমাদের কাছে একটি পোষা প্রাণী হিসেবে পরিচিত এবং এটা দেখতে অনেকটাই সুন্দর বলে আমরা খুব সযত্নে রেখে পালন করে থাকি। বাসা বাড়িতে বিড়াল থাকলে তারা খুব আনন্দ প্রদান করে থাকে এবং এই বিড়াল যদি একটু ক্রস জাতীয় বিড়াল হয়ে থাকে তাহলে দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। বাসা বাড়িতে যখন বিড়াল রাখবেন তখন ছোট বাচ্চারা এটার সঙ্গে খেলাধুলা যেমন করবে তেমনি ভাবে এদের অঙ্গভঙ্গি দেখে আমরাও খুব সহজেই অনেক মজা পেয়ে থাকি। বাসা বাড়িতে যদি বিড়াল থাকে তাহলে বাসা বাড়ির সৌভাগ্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি হয়ে বাইরের কোন মানুষ আসলে সেটাকে আদর করার জন্য ছুটে যায়।
স্বাভাবিকভাবে একটা মানুষের যেমন মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে তেমনি ভাবে বিভিন্ন প্রাণীর মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অথবা শারীরিক সমস্যার কারণে তাদের আচরণ আক্রমণাত্মক হতে পারে। তাছাড়া কেউ যদি অথবা কোন বাচ্চা যদি কোন বিড়ালকে কষ্ট দেয় তাহলে দেখা যায় যে সেই বিড়াল আক্রমণাত্মক হিসেবে উল্টে এসে তাকে কামড় দিয়ে থাকে। তাই এই ধরনের পরিচিতির শিকার যদি হয়ে থাকেন এবং বিড়াল যদি সত্যি সত্যি কামড় দেয় বুঝতে পারেন তাহলে এ বিষয়ে আপনাদেরকে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলবো। তার আগে জানতে হবে বিড়ালের কামড় দিলে কি কি ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা এক্ষেত্রে মৃত্যুর মতো কোনো জটিল ও কঠিন সমস্যা হবে কিনা।
তাই সর্বপ্রথমে আপনারা জেনে নিবেন যে বিড়াল যখন কামড় দেয় তখন সেই কামড়ের সঙ্গে লালা ঝরে। প্রকৃতপক্ষে এই লালাতে ডিফথেরিয়া রোগের ভাইরাস থেকে থাকে এবং এই ডিফ্থেরিয়া রোগের ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক একটি ভাইরাস। তাই বিড়াল যখন কামড় দিবে তখন এই কামড়ের সঙ্গে লালার মাধ্যমে ডিপথেরিয়ার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেহেতু ডিপথেরিয়া একটি মারাত্মক রোগ সেহেতু আপনারা বিড়ালের এই সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন। অর্থাৎ বিড়াল যদি কামড় দেয় অথবা বিড়ালের চেটে দেওয়া কোন খাবার যদি আমরা ভুলবশত খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের মনে রাখতে হবে যে এ বিষয়ে হাতুড়ে কোন চিকিৎসা না গ্রহণ করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply