আপনারা যারা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের ভাব-সম্প্রসারণ বিষয় নিয়ে তথ্য পেতে চান তারা এখনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন। এখানে বাংলা ব্যাকরণ এর বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ এর ওপর আলোচনা করা হয়ে থাকে। আপনারা আপনাদের ইচ্ছেমতো সুবিধামতো সময়ে যে কোন জায়গায় বসে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে এই সকল ভাব সম্প্রসারণ গুলো অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন।
আমরা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে ভাব সম্প্রসারণ গুলো সাজিয়ে রেখেছি। আপনারা যে ভাব সম্প্রসারণ গুলো খুঁজছেন, তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তাহলে কাঙ্খিত ভাব-সম্প্রসারণ পেয়ে যাবেন।
এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ভাব সম্প্রসারণ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজ আমরা যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:
‘বিশ্বে যা- কিছু মহান সৃষ্টি চির- কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।’
আজ যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে বিশেষ করে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপযোগী ভাব সম্প্রসারণ। তো চলুন শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা আজকে ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করি।
মূলভাব: নারী-পুরুষ এককভাবে কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সমাজ প্রগতিতে নারী ও পুরুষের উভয়ের অবদান সমান। আজকের মানব সভ্যতার অবস্থানে পৌঁছানোর পেছনে নারী ও পুরুষ উভয়েরই সমান ভূমিকা রয়েছে। তাই নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য নীতি পরিহার করা উচিত, এবং উভয়কেই সমান মর্যাদা প্রদান করা উচিত।
সম্প্রসারিত ভাব: মহান স্রষ্টা বিশ্বের আদি মানব আদম এবং মানবিক হাওয়ার আবাসস্থল হিসেবে পৃথিবীর সৃষ্টি করেছিলেন। পরবর্তীকালে আদম এবং হাওয়ার অবদানেই এ জগতে মানুষের আবাদ হয়েছে। পুরুষ ও নারী একে অপরের পরিপূরক। সৃষ্টির সেই ঊষালগ্ন থেকেই নারী কন্যা, জায়া, জননী রূপে সর্বদা নরের পাশে থেকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে। দুঃখ- যন্ত্রণায়, বিপদে-আপদে পরম আত্ম জনের মতো পাশে বসে সান্তনা ও আশার বাণী শুনিয়েছে নারী। তার স্বভাবসুলভ স্নেহ, মায়া, সেবা ও যত্ন দিয়ে নরের হৃদয়কে সর্বদা পরম প্রশান্তিতে ভরিয়ে দিয়েছে। পুরুষকে করে তুলেছে সংগ্রামী, কর্মমুখর ও উদ্যমী।
সভ্যতার বেদীমূলে পুরুষের পরিশ্রমের আর সংগ্রামের পদচিহ্ন খোদিত হলে সেখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে সহাবস্থান করবে নারীর সেবা আর কর্তব্য নিষ্ঠা। নারীরা পুরুষের পাশে থেকে তাদেরকে যুগিয়েছে শক্তি ও সাহস। সব যুগের সব দেশের মানুষের জন্য এ নিয়ম সত্য। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোন প্রশ্ন আসতে পারে না, আর যদি আসে তা হবে মানবতার পতনের শামিল, সৃষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার শামিল। মানব কল্যাণের পথে তাই উভয়েই অগ্রসর হতে হবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অনুভূতির মধ্য দিয়েই।
প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক বিশ্বের যত মহৎ কর্ম সম্পাদনের পেছনে নরের অনুরূপ নারীরও অবদান রয়েছে। নর যদি হয় অস্থি নারী হয় তার মজ্জা; আর নর যদি হয় দেহ নারী তবে তার প্রাণ। উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পর্যায়ক্রমে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে আধুনিক সভ্যতা। কিন্তু বর্তমানে পুরুষ শাসিত সমাজের দিকে তাকালে আমরা নারী-পুরুষে সমমর্যাদা দেখতে পায় না। এই আধুনিক যুগেও নারী নানা ভাবে বৈষম্যের শিকার। নারীর মানবিক মূল্য ভূলুণ্ঠিত। আমরা অনেক সময়ই ভুলে যাই নারী মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক এবং তাদের বাদ দিয়ে কোন উন্নতিই কল্পনা করা যায় না।
মন্তব্য: নারী-পুরুষের মিলিত প্রচেষ্টাতেই সভ্যতার চাকা ঘুরেছে। নারী আর পুরুষের যৌথ ভূমিকার দ্বারা পৃথিবী কে সুন্দর করে তোলা সম্ভব। নারীদের পেছনে রেখে কেবল পুরুষদের একার পক্ষে সভ্যতা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন উভয়েরই সমান প্রচেষ্টা।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরে যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করা হলো তা অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমরা যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করলাম সেটা যদি আপনাদের উপকারে আসে। তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক। আপনাদের সাথে নিয়েই আমাদের এই ওয়েব সাইটের পথ চলা। তাই আপনি, অভিভাবক এবং অন্যান্যদের অবশ্যই এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বলুন।
Leave a Reply