
যারা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে চান তারা আজকে আমাদের এখান থেকে কিভাবে আবেদন করবেন তা দেখে নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ের নতুন ঘোষণা অনুসারে নির্ধারিত বয়সের মানুষেরা অনলাইনের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যবস্থা চালু করেছেন এবং প্রত্যেকটি বয়স্ক মানুষ এই ভাতার আওতাভুক্ত হবেন। তাই বয়স্ক ভাতা যদি আপনার প্রয়োজন হয় এবং বয়স্ক ভাতার মাধ্যমে যদি আপনার কোন সচ্ছলতা আসে তাহলে অবশ্যই আপনার একটা আবেদন করবেন।
বয়স্ক ভাতার আবেদন করলেই আপনার কাগজপত্র যদি ঠিক থাকে এবং আপনাকে যদি বয়স্ক ভাতা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কারণ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই বয়স্ক ভাতা পেয়ে যাবেন। অতীতে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলর এর পেছনে অনেক ছোটাছুটি করা লাগতো। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সকল বয়স্ক ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা পাবেন এবং তার জন্য কোন ধরনের দুর্নীতি থাকবেনা। আপনি যদি বয়স্ক ভাতা পেতে চান তাহলে আপনাকে অথবা আপনার আশেপাশের কোন বয়স্ক ব্যক্তিকে এই ভাতা সম্পর্কে অবগত করুন।
বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত যাতে সকল এ হয় তার জন্য প্রত্যেকটি এলাকায় মাইক এর মাধ্যমে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য আপনারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের দেওয়া এই এড্রেসে বা লিঙ্কে প্রবেশ করবেন। সেখানে প্রবেশ করার পর আপনাদের যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন এবং এখানে সকল তথ্য বাংলায় দিতে হবে বলে কোন ধরনের ঝামেলা হবে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে।
বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। আপনারা যদি কোন কম্পিউটার অপারেটরের সেবা গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা এই কাগজপত্র নিয়ে যাবেন। যদি ঘরে বসে কারো বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে চান তাহলে http://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication লিঙ্কে প্রবেশ করবেন। এটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির একটি পেইজ এবং এখান থেকে আপনারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি বয়স্ক ভাতা পেয়ে থাকেন তাহলে এখানে নতুন করে কোনো আবেদন করার দরকার নেই এবং আগের সেই বয়স্ক ভাতা পাওয়া অনুযায়ী আপনি পরবর্তীতে আবারও পেয়ে যাবেন। তবে যারা বয়স্ক ভাতার আবেদন করেননি তারা এখানে সর্বপ্রথম জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেবেন এবং পরবর্তীতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী জন্ম তারিখ দিয়ে দেবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের এডিট অপশনে গিয়ে শুধু জন্মসাল ঠিক করতে হবে।
তারপরে আপনাদেরকে এই তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে এবং অনুসন্ধান করুন নামক অপশনে ক্লিক করলেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ অনুযায়ী একজন ব্যক্তির তথ্য সেখানে প্রদান করা হবে। সেই তথ্য যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এর সঙ্গে মিলে যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন যে সেখান থেকে আপনারা আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার জন্য পরবর্তীতে যে সকল ধাপ রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে।
তবে অনেক সময় অনুসন্ধান করার পরেও সঠিক তথ্য আসে না এবং ফাকা ঘর আসে বলে আপনাদের বারবার চেষ্টা করতে হবে। এই চেষ্টা করার পরে আপনারা নিচে গিয়ে তখন ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন। তারপরে যার বয়স্ক ভাতা তৈরি করবেন তার পিতার ইংরেজিতে নাম এবং মাথার ইংরেজিতে নাম প্রদান করতে হবে। তারপরে পোস্ট কোড এবং অন্যান্য যেসকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো প্রদান করে আপনারা এই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এখানকার সকল তথ্য আপনারা পূরণ করার পর সংরক্ষণ করুন অপশনে চলে যাবেন এবং সেখান থেকে আপনারা অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য অপশন পেয়ে যাবেন। সেই কপি প্রিন্ট করে নিয়ে আপনারা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসে অথবা যে সকল ইউনিয়ন কাউন্সিলর অথবা চেয়ারম্যানের সঙ্গে আপনাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে তাদের হাতে এই কাগজপত্র জমা দিতে পারেন।
Leave a Reply