বর্তমান সময়ে একটা সম্পর্ক তৈরি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই খুব ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মানুষের ব্রেকআপ হয়ে যায়। এক বিংশ শতাব্দীতে একজন মানুষ যখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই একাধিক মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে তখন অপর পক্ষের যে মানুষটা ভালোবাসতে শুরু করে সেই মানুষটা অনেক কষ্ট পেয়ে যাই। হতে পারে সেই অপের পক্ষের জন্য এটাই তার জীবনের প্রথম প্রেম এবং যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে তাকে মন থেকে ভালোবাসে।
কিন্তু আপনি যখন বুঝবেন মেয়েটি আপনার সঙ্গে অথবা ছেলেটি আপনার সঙ্গে দিনের পর দিন ঢুকিয়ে আসছে তখন হয়তো তার প্রতি ভালবাসার পরিবর্তে ঘৃণা জন্ম নিল। আবার একাধিক সম্পর্কে পরিবর্তে যখন বুঝবেন আপনি যে ছেলেটি অথবা মেয়েটি মনের দিক থেকে অনেক ছোট এবং তার সঙ্গে আজীবন এভাবে থাকা সম্ভব নয় তখন হয়তো আপনি আর এই সম্পর্ক কন্টিনিউ করতে চান না বলে ব্রেক আপ করতে চান।
কিন্তু অল্প কয়েকদিনের এই সম্পর্কে আপনি তাকে হয়তো ভালোবেসে ফেলেছেন এবং তাকে ছাড়তে ও আপনার কষ্ট হবে বলে মনে করছেন। যেহেতু আপনি বড় হয়েছেন এবং নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো বয়স আপনার হয়েছে সেহেতু আপনি ব্রেকআপ করবেন নাকি সম্পর্ক কন্টিনিউ করবেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়। তাই আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন এবং এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে কোন একটি সিদ্ধান্ত বেছে নিন।
যদি আপনি মনে করেন আপনার পছন্দের মানুষটিকে আপনি নিজের মতো করে গড়ে তুলবেন অথবা আপনার কথা শুনে সেই পছন্দের মানুষ আপনার সঙ্গে সৎ জীবন পদ্ধতিতে আজীবন একসাথে চলার প্রতিশ্রুতি দিবে তাহলে অবশ্যই তার সঙ্গে আপনি থাকতে পারেন। আর যদি মনে করেন সেই ব্যক্তি আপনার সঙ্গে থাকবে না এবং আজীবন আপনি যে সকল দোষ তার মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন সেগুলো থেকে যাবে, তাহলে দুই দিন পর পর মনের দিক থেকে কষ্ট না পেয়ে আপনারা সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে পারেন।
কারন একটা সম্পর্কে জড়িয়ে হয়তো আপনি আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন অথবা আবেগের বশবর্তি হয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে আপনার অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু দুইদিন পর আপনার ভেতরে অশান্তির সৃষ্টি হবে এবং মনের ভেতরে আপনার ঝড় উঠবে যে আপনি তার সঙ্গে বাকিটা জীবন থাকবেন কি থাকবেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ একটা সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা কিছুটা হলেও মুশকিল হয়ে যাই।
তাছাড়া সম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে মানুষ কোন ধরনের চিন্তাভাবনা করে না বলে একটা সময় মনে হয় যে এই সম্পর্কে জড়িয়ে তার জীবনে অনেক বড় ভুল হয়েছে।তাই একজন ম্যাচিউরড মানুষ হওয়া সত্ত্বেও আপনি অবশ্যই সবকিছু ভেবে দেখবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনার ভাবনা চিন্তা সঙ্গে যদি মিল হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তার সঙ্গে আজীবন থাকার পরিবর্তে মনের প্রশান্তির জন্য ব্রেকআপ করে দেওয়াটাই মনে হয় ভালো হবে।
তাই আপনার মনের মানুষের সঙ্গে যদি আপনি কোন ধরনের যোগাযোগ করতে না চান এবং তার প্রতি যদি আপনারা ঘৃনা জন্ম নেয় তাহলে তাকে সরাসরি বলতে পারেন যে আপনি তার সঙ্গে এই সম্পর্ক আজীবন রাখতে পারবেন না এবং তার থেকে আপনার জীবন আলাদা করে নিতে চান। যদি সেই সৎ সাহস না থাকে এবং আপনি তার সামনে দাঁড়িয়ে যদি এই কথাগুলো বলতে না পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ব্রেকআপের চিঠি সংগ্রহ করুন এবং এই ব্রেকআপের চিঠির মতো করে নিজের ভাষায় বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে একটি ব্রেকআপের চিঠি লিখে তাকে জানিয়ে দিন এই বিষয়গুলো।
Leave a Reply