বৃহস্পতিবার রাতের আমল

বৃহস্পতিবার রাতের আমল

আপনারা যদি কারো থেকে বৃহস্পতিবার রাতের আমল সম্পর্কে জেনে থাকেন এবং কেউ যদি বৃহস্পতিবার রাতে আমল করে থাকে বলে মনে করে থাকেন তাহলে কি ধরনের আমল করে থাকেন এবং এই আমল করার ক্ষেত্রে ফজিলত কি তা এই প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে যাওয়া জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যেহেতু এটি একটি ফজিলত পূর্ণ দিন এবং সপ্তাহের শেষ দিন সেহেতু আপনারা চাইলেই এই বিশেষ দিনটিতে আমল করে মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিল করতে পারেন এবং অনেক সওয়াব অর্জন করতে পারেন।

তাই একজন মুসলমান হিসেবে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেবেন বৃহস্পতিবার রাতে কি ধরনের আমল করা যেতে পারে এবং এই আমল করার ক্ষেত্রে কি কি ফজিলত প্রদান করা হতে পারে এই পোষ্টের নিচের দিকে আপনারা বিস্তারিত তথ্য পড়ার মধ্যে দিয়ে সকল বিষয় জেনে নিন এবং সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে যদি আমল করতে পারেন তাহলে নিজেদের জন্য সেটা সবচাইতে ভালো হবে।

মহান আল্লাহ পাক আমাদের জীবনের দিন এবং রাত নামক দুটি ধারা রেখেছেন এবং এই দিনের ধারার যেমন বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তেমনি ভাবে রাতের ক্ষেত্রেও আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। একজন মানুষ যদি জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাই তাহলে আপনারা সেই কাজগুলো যথাযথভাবে করবেন যেগুলো ইসলামিক বিধি নিষেধ অনুসরণ করে মেনে চলতে বলা হয়েছে। অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন যে বৃহস্পতিবার রাতে অথবা বৃহস্পতিবার দিনে অনেকেই আমল করছে এবং এই আমল গুলো কি জন্য করছে অথবা কেন করা হচ্ছে তা আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

তাই যারা জানতে চাইছেন বৃহস্পতিবার রাতের আমল গুলো কি কি তাদেরকে বলব যে বৃহস্পতিবার এর পরের দিন হলো শুক্রবার। জুমার আগের দিনের রাত হওয়ার জন্য এবং পুরো সপ্তাহের হিসাব মহান আল্লাহ পাকের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করা হয় বলে একজন বান্দা যদি ইবাদত রত অবস্থায় থাকে তাহলে সেই বান্দা বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো প্রদান করা হয়ে থাকে।

তাই আপনারা যখন বৃহস্পতিবারের দিন রোজা রাখতে পারবেন এবং রোজা রাখতে পারলে আপনাদের এই রোজা রাখার সাক্ষী হিসেবে আপনাদেরকে মহান আল্লাহ পাকের কাছে একজন পূর্ণবান ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন হাদিসে বৃহস্পতিবারের দিনের আমল এবং রাতের ইবাদতের কথা বলা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ফজিলত ও বরকত প্রচুর পরিমাণে প্রদান করা হয়েছে।

তাই আপনি যখন বৃহস্পতিবার অথবা সোমবার রাতের আমল গুলো করতে চাইবেন তখন আপনাকে অবশ্যই এই আমল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এবাদত বন্দেগি মেনে চলতে হবে এবং এগুলো যদি করতে চান তাহলে কিভাবে করবেন তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে জুমার দিনে কোন ব্যক্তি যদি দরুদ পাঠ করতে পারে এবং এই দরুদ পাঠ করার জন্য তিনি যে আমলগুলো করছেন তার মাধ্যমে আল্লাহ পাক তার উপরে দশবার রহমত বর্ষণ করবেন।

তাছাড়া এটি এমন একটি দিন যে দিনে আপনি যদি দোয়া করতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক কখনোই ফিরিয়ে দেবেন না এবং সেই দোয়া করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে যে আল্লাহ পাক আপনাদের এই দুয়ার বদলতে মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ করে দিবেন।

সাধারণত যে সকল ইবাদত বন্দেগি করলে মানুষের মনের কথাগুলো আল্লাহপাক শুনে থাকেন সেগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। যখন আপনারা বৃহস্পতিবারের দিবাগত রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারবেন এবং মহান আল্লাহ পাকের কাছে আপনাদের ফরিয়াদ জানাতে পারবেন তখন আল্লাহ পাক আপনাদের এ বিষয়ে কখনোই নিরাশ করবেন না। তাই প্রত্যেকটি ইবাদত বন্ধই করার পূর্বে আপনাদের মনের ভেতরে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে এবং আল্লাহ পাক যে সকল ফরজ ইবাদতগুলো করতে বলেছেন অথবা যেসব কোন নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমাদের উন্নতির দিক দেখিয়ে দিয়েছেন সেগুলো আমরা অবশ্যই পালন করব।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*