সন্তান জন্মদান করার পর যে সকল মায়ের বুকে ঠিকমতো দুধ আসে না এবং এ কারণে সন্তান ঠিকমতো ভক্ষণ করে তার উদর পূর্তি করতে পারে না তাদের জন্য বুকের দুধ বৃদ্ধি করার বেশ কিছু আমল আমাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হবে। তাই বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু আমল আপনাদেরকে জানিয়ে দিলে সেগুলো আপনার অনুসরণ করতে পারবেন এবং এই আমল গুলো অনুসরণ করার ভিত্তিতে একজন মায়ের বুকে পরিপূর্ণভাবে দুধ আসবে। তাই ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে এবং এখানে বিভিন্ন সমাধান উল্লেখ করা হয়েছে বলে আপনারা বাস্তবিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বিভিন্ন আমল দ্বারা করে নিতে পারেন। তাই একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির আমলে হিসেবে নিচের দেখানো পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করবেন।
সাময়িকভাবে অনেক সময় সিজারিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চাদের খালাস করা হচ্ছে বলে মায়েদের বুকে দুধ থাকে না। এক্ষেত্রে একজন মা সন্তানকে দুধ প্রদান করতে না পারার কারণে বাচ্চা অনেক কষ্ট পেতে থাকে এবং ক্ষুধার জ্বালায় কান্না করতে থাকে। যাদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কেনা দুধ কিনে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারলেও অনেক পরিবার আছেন যারা বুকের দুধের উপরে ভরসা করে থাকেন। এমতাবস্থায় একজন মা যদি চান তাহলে বিশেষ কিছু আমল এবং বিশেষ কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য কাজগুলো করতে পারেন। তবে আপনি যখন ইসলামিক আমল সম্পর্কে জানতে আসবেন তখন আপনাদেরকে এই পদ্ধতি শিখিয়ে দিলে আপনারা অনেকটাই উপকৃত হতে পারবেন।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া প্রদান করার পাশাপাশি নিচের দিকে আপনাদের জন্য বিভিন্ন আমল উল্লেখ করা হলো। আপনারা যখন এই আমল গুলো নিয়মিতভাবে করতে পারবেন তখন আল্লাহ পাক আপনাদের আমল দেখে অবশ্যই খুশি হবেন এবং একজন সাহায্যকারী হিসেবে অবশ্যই তিনি আপনাদেরকে সাহায্য করবেন। তাই মা হিসেবে আপনারা বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য আমলগুলো করবেন এবং নিয়মিত আমল গুলো করার মধ্য দিয়ে আপনাদের এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন।
তাই কোন মহিলার অথবা কোন মায়ের বুকে যদি দুধ না আসে তাহলে দুধ আসার জন্য নিজের আয়ত্তেই আপনারা যদি একশো একবার করে পড়ে বৃষ্টির পানিতে ফুক দিয়ে পান করতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই উপকৃত হবেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে সেই আয়াত দুইটি উল্লেখ করা হলো এবং আয়াত দুইটি আপনারা আমল করার মধ্য দিয়ে নিজেরা উপকার গ্রহণ করতে পারেন।
وَہِیَ تَجۡرِیۡ بِہِمۡ فِیۡ مَوۡجٍ کَالۡجِبَالِ ۟ وَنَادٰی نُوۡحُۨ ابۡنَہٗ وَکَانَ فِیۡ مَعۡزِلٍ یّٰـبُنَیَّ ارۡکَبۡ مَّعَنَا وَلَا تَکُنۡ مَّعَ الۡکٰفِرِیۡنَ
فِیۡہِمَا عَیۡنٰنِ تَجۡرِیٰنِ
এছাড়াও কোন মায়ের বুকে যদি কম দুধ আসে তাহলে নিচের আয়াতটি আপনারা যদি ২১ বার করে পাঠ করতে পারেন এবং সেই আয়াত পাঠ করার পর পানিতে ফু দিতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে এই আয়াতটি 21 দিন পাঠ করতে হবে এবং 21 দিন লাগাতার সেই পানি পান করলে বুকে দুধ চলে আসবে ইনশাল্লাহ।
وَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰۤی اُمِّ مُوۡسٰۤی اَنۡ اَرۡضِعِیۡہِ ۚ فَاِذَا خِفۡتِ عَلَیۡہِ فَاَلۡقِیۡہِ فِی الۡیَمِّ وَلَا تَخَافِیۡ وَلَا تَحۡزَنِیۡ ۚ اِنَّا رَآدُّوۡہُ اِلَیۡکِ وَجَاعِلُوۡہُ مِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ
তাছাড়া বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য আপনারা সূরা হিজর সম্পূর্ণ লিখতে পারেন এবং সেটা লেখার পর একজন শিশুর মাথাকে যদি ধুয়ে পান করাতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক এক্ষেত্রে অবশ্যই সেই মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে দিবেন। এক্ষেত্রে আপনারা যদি মনে করেন সূরা ইয়াসিন লিখে ধৌত করে সেটা শিশুর মাতাকে পান করাবেন এবং বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য এই আমলটি করবেন তাহলে অবশ্যই তা আপনাদের কাজে আসবে।
Leave a Reply