জিলহজ মাস নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকে অনেকেই সঠিকভাবে না জানার কারণে এই সময়ে চুল নখ দাড়ি কেটে ফেলে বা কাটতে চায় না। তবে ভালোমতো এ বিষয়গুলো না জানা থাকলে অনেক বেশি ক্ষতি হয় সবারই কারণ অনেকেই আছে যারা জিলহজ মাসে চুল নখ দাড়ি কিছুই কাটে না আবার অনেকেই না জেনে কেটে ফেলে।
তাই আমরা এবার আপনাদের এই ধরনের সমস্যার জন্য সমাধান নিয়ে এই আয়োজনটি করেছি তার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত এবং আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত চুল নখ দাড়ি কিছুই কাটা যাবে না কারণ এই সময় একটি পবিত্র সময়ে এই দশ দিনের পরে আপনারা কোরবানি দেবেন সেজন্য চুল নক দাড়ি কিছুই কাটা যায় না। আপনি যদি পবিত্র ভাবে কোরবানি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই সকল বিষয়গুলো জানতে হবে কারণ আল্লাহ যে বিধি নিষেধ দিয়েছেন সেগুলো সবার পালন করা উচিত।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কোরবানি দেয়া এবং ঈদ পালন করা তবে কেন আপনি আল্লাহর নির্দেশ মত চলবেন না। আল্লাহ আমাদের মানুষদের সবকিছু ভালো-মন্দ বিবেচনা করে পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহ আমাদের পথনির্দেশন করে দিয়েছেন কোনটা আমাদের জন্য ভালো হবে কোনটা খারাপ হবে। সে ক্ষেত্রে যেগুলো আল্লাহ আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সেগুলো আমরা কেন করব আমরা অবশ্যই চাইব যে আল্লাহর দেখানো পথে চলতে এবং আল্লাহ যেটা পছন্দ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সে সকল কাজগুলো করতে।
সেক্ষেত্রে জিলহজ মাসের কয় তারিখ পর্যন্ত চুল নখ ও দাড়ি কিছু কাটা যাবে না এবং কি কি নিয়মে কোরবানি করতে হবে সে সকল বিষয়গুলো সবার জানা প্রয়োজন এগুলো যখন আপনার জানা থাকবে তখন একেবারে আপনি সঠিকভাবে কোরবানি করতে পারবেন যা আল্লাহর কাছে কবুল হবে। অনেকেই এই সকল বিষয়গুলো না জেনে নিজের মতো করে কাজ করে তারা ভাবে যে হয়তো এভাবে করলেই কোরবানি আল্লাহ কবুল করবে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে তবে এটা ভুল ধারণা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আল্লাহর দেখানো পথে চলতে হবে এবং অবশ্যই সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আপনি চুল দাড়ি নখ কিছু কাটতে পারবেন না কারণ এটা নিষিদ্ধ করা রয়েছে কারণ এই দশ দিন এতই পবিত্র যে এর মধ্যে আপনি চুল নখ দাড়ি কাটলে তা কোরবানির ন্যায় হয়ে যায়।আপনি তখনই চুল নখ দাড়ি সব কাটতে পারবেন যখন কোরবানি হয়ে যাবে কোরবানি হয়ে যাওয়ার পরে আপনি সব রকম স্বাভাবিক কাজ করতে পারবেন তাতে কোন বাধা নেই। তবে কোরবানির আগ পর্যন্ত চুল নখে দাড়ি কাটার বিষয়ে আপনাকে সঠিক জ্ঞান অর্জন
করতে হবে এবং সঠিকভাবে জানতে হবে যে আসলেই কি করলে কি হবে।
প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিদের এই সকল বিষয়গুলোর উপর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন এবং এই সকল বিষয়গুলো জেনে তাদের এইভাবেই চলা উচিত। তাই আমরা আপনাদের জন্য এবার এই ধরনের আয়োজন করেছি আপনারা যারা হয়তো মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানেন না তারা আমাদের এই লেখাগুলো পড়লে অবশ্যই জানতে পারবেন এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার আরেকটি সুযোগ। যারা ভাবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবেন এবং আল্লাহর পথে চলবেন তারা অবশ্যই আল্লাহর দেখানো পথে চলার জন্য নির্দেশনা অবলম্বন করুন এবং এই সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।
জিলহজ মাসের জন্য দাড়ি কাটলে খুব বেশি পাপ হবে এমনটা নয় তবে নির্দেশনা রয়েছে যে কোরবানির পরেই আপনারা দাড়ি কাটতে পারবেন আর তা না হলে জিলহজ মাসের ১০ তারিখের আগে পর্যন্ত আপনারা এই সকল কাজগুলো সেরে ফেলতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন এবং এইভাবে আপনারা জিলহজ মাসের ফজিলত সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আমরা আপনাদের জন্য সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের এই আয়োজনটি করেছি।
Leave a Reply