Care of মানে কি

Care of মানে কি

বিভিন্ন চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রে অথবা সিভি তৈরি করার ক্ষেত্রে কেয়ার অফ অপশনটি যখন আসে তখন আপনারা হয়তো বুঝতে পারেন না এটা আসলে কি জন্য দেওয়া হয়েছে। তাই এটা কোন প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে অথবা এই ক্ষেত্রে আপনারা কোন তথ্য দিয়ে তা ফিলাপ করবেন সে প্রসঙ্গে যদি আমরা আলোচনা করি তাহলে আপনাদের বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। আপনারা সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম ফিলাপ করার মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

জীবনে এমনও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের জেনে নেওয়াটা জরুরী। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে আমরা সেগুলো বুঝতে চাই না অথবা বুঝতে চাইলেও অনেক সময় কঠিন হওয়ার কারণে বুঝতে পারি না। তাই আপনারা এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে কেয়ার অফ শব্দটি কেন ব্যবহার করা হলো সেটা জেনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো হবে।

আপনি যদি সরকারি চাকরিতে এপ্লাই করে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার পর যোগাযোগের ঠিকানা অথবা অন্যান্য যাবতীয় তথ্য পূরণ করার কথা বলা হবে। কিন্তু আপনি যখন ঠিকানার তথ্য প্রদান করবেন তখন সেখানে আপনাদের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানার দুইটি ফাঁকা ঘর আসবে।

তবে এই সকল ঠিকানা প্রদান করার পূর্বেই কেয়ার অফ নামক দুইটা অপশন দুই স্থানে থাকবে। ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করার পূর্বে এখানে কেয়ারব শব্দটি কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা একেবারে আমাদের কাছে অজানা হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার এখান থেকে তো জেনে নিবেন।

সাধারণত আমরা কি আর মানে যত্ন নেওয়া এটা জেনে থাকলেও এখানে কেয়ার অফ মানে কার তথ্য প্রদান করতে হবে অথবা কিভাবে প্রদান করতে হবে তা আমরা জানিনা। তোদের এখানে কেয়ার অফ তথ্য থেকে থাকলে অবশ্যই অভিভাবকের তথ্য প্রদান করবেন। অর্থাৎ আপনি যে বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করছেন সেখানে আপনার অভিভাবক হিসেবে যদি পিতা থেকে থাকে তাহলে পিতার নাম পূরণ করুন।

স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রেও একই ভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে। যখন আপনারা এই তথ্যগুলো পূরণ করে ফেললেন তখন খুবই ভালো হলো এবং যদি কারো অভিভাবক হিসেবে পিতা জীবিত না থাকে তাহলে মাতার তথ্য প্রদান করা যাবে। তবে যার নাম লিখে থাকুন না কেন অবশ্যই সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার নাম প্রদান করতে হবে।

এমনও অনেক সময় রয়েছে যখন পিতা অথবা মাতা জীবিত থাকে না বলে অভিভাবক হিসেবে আমরা পরিবারের অন্য কোন সদস্যদের ঠিকানা অথবা নাম প্রদান করতে পারব। এক্ষেত্রে বড় ভাইয়ের তথ্য প্রদান করতে পারেন এবং সেই বাচ্চাটি যদি এতিম হয়ে থাকে তাহলে তার অভিভাবকের জায়গায় পরিবারের অন্য কোন সদস্য থেকে থাকলে সেই সদস্যের নাম প্রদান করবে না।

অর্থাৎ সেই সন্তানের দায়িত্ব কে গ্রহণ করেছেন এবং যে ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করে আসছেন তার নাম সেখানে প্রদান করতে পারলে যে প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার দেওয়া হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই সেই সন্তান কে চিনে নিতে পারবে। আশা করি উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা কেয়ার অফ শব্দটির মানে কি তা বুঝতে পেরেছেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*