সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম মাদ্রাসা বোর্ড

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম মাদ্রাসা বোর্ড

যদিও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি তার জন্য তারপরও কোনভাবে যদি কোনো শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট তথ্য কত ভুল থাকে তাহলে অতিসত্বর সংশোধন করে নিন। কারণ সার্টিফিকেট হলো এমন একটি প্রমাণপত্র যার মাধ্যমে আপনি শিক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে কেমন পারফরম্যান্স দেখেছেন অথবা আপনার মেধা কেমন সেই বিষয়গুলো ফুটে ওঠে। তবে আপনারা যারা সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বলব যে সার্টিফিকেট সাধারণত ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে না।

তবে অল্প কয়েক জনের অথবা একজনেরও যদি এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম জানতে হবে এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে সার্টিফিকেট সংশোধন হয়ে যাবে। তবে প্রথমেই বলে নেয়া ভাল সার্টিফিকেট সংশোধন করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ আজকে আবেদন করে যে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাবেন বিষয়টা এমন নয়।

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হলে আপনাকে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথমে যেতে হবে এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়টি নিয়ে কি করে দেয় সেই বিষয়টি আপনারা জেনে নিবেন। অর্থাৎ আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পড়াশোনা করলেও যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সে বিষয়টি তাদেরকে জানাবেন। আপনি যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সঙ্গে কোন তথ্যের অমিল দেখতে পান এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সঙ্গে সার্টিফিকেট তথ্য যদি মিল খুঁজে পান তাহলে তাদেরকে এ বিষয়টি জানালে তারা সার্টিফিকেট সংশোধন করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।

প্রথমত সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য এফিডেভিট করতে হয় এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই আপনারা আপনাদের পরিচিত ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে 500 টাকা দিয়ে এফিডেভিট করে নিতে পারেন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনারা এই বিজ্ঞাপন এর পেপার কাটিং সংগ্রহ করে নিবেন। তারপরে আপনাকে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র দিতে হবে যে আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করার জরুরি হয়ে পড়েছে। সেখানে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিবরণ এবং অন্যান্য তথ্যসহ আপনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কেমন জিপি অর্জন করতে পেরেছেন এসকল বিষয় উল্লেখ করে আপনার সমস্যার কথা উল্লেখ করবেন।

এতে করে তারা নিজের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইআইআইএন নাম্বার ব্যবহার করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যাবে এবং সেখানে আপনার একটি প্রোফাইল খুলতে সহায়তা করবে। তারপর আপনাকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করতে হবে এবং অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যে কোনো কম্পিউটার অপারেটর থেকে অথবা নিজেদের উদ্যোগে আবেদন করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন হলে আবার আবেদন পত্র অনুযায়ী আপনাদের টাকা প্রদান করে শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে এবং শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হয়ে আপনাদেরকে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার পুরাতন ভুল যে সার্টিফিকেট রয়েছে সেটি সহ পেপার কাটিং এবং এফিডেভিট এর তথ্য সহ অন্যান্য আরো ডকুমেন্টস প্রদান করবেন। তবে কখনোই আপনারা টাকা প্রদান করার পেমেন্ট রশিদ প্রদান করতে ভুল করবেন না। যাই হোক প্রত্যেকটি কাজ নিয়ম অনুসারে করলে আপনাদের তাকে তারা এগুলো জমা নিবে কোন নির্দিষ্ট সময় পরে আপনাদের হাতে সংশোধন করা সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*