ছারপোকা কামড়ালে কি হয়

যখন আমরা অপরিচিত কোন জায়গায় বেড়াতে যাই তখন আমাদেরকে রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ছোট ছোট বিশেষ কিছু পোকা কামড়াতে থাকে। মশা ব্যতীত সেই জাতীয় অন্য কোন ধরনের পোকা হলে বুঝতে হবে সেটা ছারপোকা ছিল। অথবা আপনি যদি সেই বাড়ির লোক অথবা সেই স্থানের তথ্য সংগ্রহ করে বুঝতে পারেন আপনাকে ছারপোকা কামড়িয়েছে তাহলে ছারপোকা কামড়ালে কি হয় এটা আপনাকে জানতে হবে।

কেউ যদি ছারপোকার কামড়ে শরীরের জ্বালা অনুভব করেন তাহলে এটার চিকিৎসা হিসেবে কি নেয়া হতে পারে তাও আজকের এই পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ছারপোকা কামড়ালে কি হয় এবং ছারপোকা কামড়ালে কোন ধরনের বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। দৈনন্দিন জীবনের সকল ধরনের তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে বলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিত্য নতুন তথ্য জেনে নিতে পারেন।

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করি অথবা রাত্রি যাপন করি। বিশেষ করে সস্তা মানের হোটেল গুলোতে আমরা যদি রাত্রে যাপন করি তাহলে দেখা যাবে যে সেখানে সঠিক পরিমাণ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো নিশ্চিত না থাকার কারণে আমাদের অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় মশার উপদ্রব থেকে ছারপোকার উপদ্রব থাকতে পারে। মশা যদি কোন মানুষকে কামড়ে থাকে তাহলে সেটার যেমন জ্বালাপোড়ে রয়েছে তেমনি ভাবে ছারপোকা কামড়ালে আরো বেশি জ্বালাপোড়া করতে থাকে। সাধারণত অপরিষ্কার এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এই ছারপোকা বংশবিস্তার করতে পারে এবং রাতের বেলা তাদের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মানুষের শরীর কামড়াতে থাকে।

আপনি যদি মনে করেন আপনাকে ছারপোকা এভাবে কামড় দিয়েছে এবং আপনার শরীরে যদি জ্বালা অনুভূত হয় তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই ছারপোকা কামড়ানোর ফলে বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে কিনা। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে ছারপোকার কামড়ে মানুষের কি হতে পারে অথবা ছারপোকা কামড়ালে কি হয় সেই তথ্য প্রদান করব। আপনার শরীরে যদি ছারপোকা কামড় দেয় তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ফুসকুড়ির মত দাগ দেখা যাবে। সেখান থেকে ফোসকা পড়তে পারে। তবে এই সংক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি যেমন হতে পারে আবার কয়েক ঘন্টা পরেও হতে পারে। অর্থাৎ ছারপোকার কামড়ের সাথে সাথে যে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে বিষয়টা এমন নয়।

ছারপোকা যদি আপনাকে কামড়ায় তাহলে সেটা জ্বালা পোড়া যেমন সৃষ্টি করবে তেমনি ভাবে ফুসকুড়ির মত বিষয়গুলো আপনার শরীরে ভেসে উঠবে। এটা সাথে সাথে ও যেমন হতে পারে তেমনি ভাবে ২১ দিনের ভেতরেও হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ত্বকের উপরিভাগে গিয়ে যখন আপনারা চুলকানি অনুভব করবেন তখন আপনারা এটার জন্য পরিষ্কার পানি দিয়ে শরীর ধৌত করে নেবেন। এভাবে আপনারা খুব সহজে ছারপোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারেন। যদি জ্বর জ্বর অনুভব হয় অথবা শরীরে যদি ক্লান্তি অনুভব হয় তাহলে আপনারা একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খুবই হালকা ধরনের কিছু ওষুধ খেলেই তা ঠিক হয়ে যাবে।