দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন করে থাকি এবং এগুলোর প্রমাণপত্র হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় চুক্তি নামা রেজিস্ট্রেশন করে থাকি। তাই আপনি যখন দলিলে চুক্তি নামা লিখতে যাবেন তখন এখানে কি ধরনের তথ্য উপস্থাপন করা থাকে অথবা কোন কোন তথ্যের ভিত্তিতে তা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে লেখা হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
তাই আপনাদের কথা ভেবে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে চুক্তি নামা ফরমেট প্রদান করলাম যাতে করে সেটার মাধ্যমে আপনারা দেখে নিতে পারেন সেখানে কোন কোন তথ্যের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির সঙ্গে আরেকজন ব্যক্তি চুক্তি করে। তবে কোন কিছু কেনা বেচার ক্ষেত্রে চুক্তি নামার পরিবর্তে বায়না নামা করাটা সবচাইতে ভালো এবং এক্ষেত্রে আপনি সরকারীভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন ।
বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে অর্থের প্রয়োজন অনুভব করি। তাই অর্থের প্রয়োজন অনুভব করার কারণে যদি অন্য কোন জায়গা থেকে টাকার ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে অনেক সময় জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিক্রি করে দিয়ে অথবা নির্দিষ্ট কোন সম্পদ বিক্রি করে দিই।
এক্ষেত্রে যদি চুক্তি আমার প্রয়োজন হয় অথবা দাতা এবং গ্রহীতার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন বিষয় এবং টাকার অংক দলিলে উল্লেখ থাকে তাহলে সেটা চুক্তি নামে হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু চুক্তি নামা উল্লেখের ক্ষেত্রে আসলে কি কি ধরনের তথ্য প্রদান করতে হবে তা যদি আমাদের না জানা থাকে তাহলে অনেক সময় হয়তো ভুল তথ্য প্রদান করব এবং এটা সরকারিভাবে তখন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
তাছাড়া এ ধরনের চুক্তি নামাতে উল্লেখ থাকে যে কোন ভাবে টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বিক্রি করার কারণে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা বায়না হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই উভয়ের সম্মতিক্রমে যখন এই ধরনের বিষয় উল্লেখ করে একটা বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকবে তখন অবশেষে চুক্তি নামে হিসেবে বিবেচিত হবে।
তাই চুক্তি নামাতে একজন দাতা যে বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন সে হিসেবেও গ্রহীতাকেও তথ্যগুলো উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ ডাটা যখন এই তথ্যগুলো প্রদান করবেন অথবা তার নাম থেকে শুরু করে পিতা মাতার নাম এবং বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ থাকবে তখন গ্রহীতারো একই তথ্য প্রদান করতে হবে।
তাই দাদা গ্রহীতার বিষয়গুলো উল্লেখ করে যখন সরকারিভাবে সেটা অফিসিয়াল ভাবে দলিলে উল্লেখ থাকবে তখন সেটার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কোনভাবে যদি কথার বরখেলাপ হয়ে থাকে তখন অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে। তাই অপরিচিত কাউকে টাকা প্রদান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার প্রত্যেকটি তথ্য সংগ্রহ করে রাখবেন এবং তিনি গ্রহীতা হিসেবে অবশ্যই তথ্যগুলো প্রদান করবেন।
এক্ষেত্রে সাক্ষী হিসেবে অবশ্যই দুই থেকে তিনজনের নাম উল্লেখ থাকতে হবে এবং সাক্ষীর নাম এর পাশাপাশি তাদের ঠিকানার কথা উল্লেখ থাকতে হবে। তবে অনেকেই এই চুক্তি নামা ফরমেট জানেন না বলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করা হচ্ছে যাতে করে আপনারা কম্পিউটারে টাইপ করতে পারেন এবং দলিলের মাধ্যমে প্রিন্ট আউট করতে পারেন।
বর্তমানে হাতে লিখে কোন ধরনের চুক্তি নামে অথবা কোন ধরনের দলিল লেখা হচ্ছে না বলে কম্পিউটারের মাধ্যমে টাইপ করতে হলে আগে থেকে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুসরণ করতে হবে। তবে একজন দলিল লেখক হিসেবে আপনারা যদি এই কাজগুলো করেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে অথবা এই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।
তাই আপনারা যখন চুক্তিনামা ফরমেট সংগ্রহ করবেন তখন বুঝতে পারবেন কোথায় কোন কোন তথ্য প্রদান করতে হবে অথবা কোথায় সাক্ষীর স্বাক্ষর লাগবে। তাই অপরিচিত কাউকে টাকা প্রদান করতে হলে চুক্তি নামা ফরমেটে আপনারা অবশ্যই সেটা করবেন এবং এক্ষেত্রে যদি বায়নামা দলিল করতে পারেন তাহলে সবচাইতে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন।
Leave a Reply