ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

সাধারণত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে যে জাতীয় রোগটি আমাদের প্রত্যেকটি পরিবার এবং প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে সেটা হচ্ছে ডায়াবেটিস। এই ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অনেকে অনেক ধরনের চেষ্টা করেন তবে দুঃখের বিষয় হল ডায়াবেটিস যদি একবার কারো হয়ে যায় তাহলে সারা জীবন সেটা একেবারে আপনার শরীর থেকে যাবে না। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

ডায়াবেটিস হওয়ার আরো একটি ভালো দিক হচ্ছে ডায়াবেটিস যদি আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তাহলে অন্যান্য অসুখ-বিসুখ অনেকটাই কম হবে। সব সময় ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং যে সকল খাবারের মাধ্যমে আপনি ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন তার খুব সুন্দর তালিকা আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি। এই খাবারগুলো শুধুমাত্র ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খেতে হবে এমন নয় যাদের এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিস হয়নি যারা ডায়াবেটিস হওয়ার সংখ্যায় আছেন তারাও এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন এতে করে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে।

যে সকল খাবারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে

আমরা সময় নিউজের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি যে আমাদের আশেপাশে থাকা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আমরা যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করি তাহলে সেগুলো থেকে আমরা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। এছাড়া বহু খাদ্য উপাদান রয়েছে যে খাদ্য উপাদানের পরিমিত এবং পর্যাপ্ত ব্যবহার করে আমরা ডায়াবেটিস কে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। এই খাবারগুলোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা যদি হালকা শারীরিক পরিশ্রম করি তাহলে কোন ধরনের ঔষধ এবং কোন ধরনের ইনসুলিন ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চলুন সেই খাদ্যগুলো পরিচিত হওয়া যাক।

মাছে ভাতে বাঙালির সবথেকে প্রিয় খাবার হচ্ছে মাছ। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং এই ওমেগা 3 এর সব থেকে বড় উৎস হচ্ছে মাছ। এছাড়াও একটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকিরা আসে সহায়তা করে মাছ।

সবুজ চা যেটাকে আমরা সাধারণত গ্রিন টি হিসেবে বেশি চিনি। তবে এই গ্রিন টি এর সঠিক সেবন আমাদের শরীরের ইনসুলিনের মত কাজ করে তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এই গ্রিন টি যেটা আমরা কোনভাবে অবহেলা করতে পারি না। ডিমের সাদা অংশ আমাদের কাছে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। সহজলভ্য আমিষের এই উৎস থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সংগ্রহ করতে পারি তাছাড়াও এই ডিমের সাদা অংশ বেশি গঠনের সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ উচ্চ মানের চরবিহীন প্রোটিন এবং কমাতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা দুই ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে মানব শরীরকে সাহায্য করে।

আজকে যে খাবারগুলোর কথা বলছি তার মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে টক দই। সত্যি সুস্বাদু খাবার গুলো খেয়েও যে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন সেটা হয়তো আমরা বোকার মত না জেনে বসে থাকি। টক দই প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং খুব কম পরিমাণে চিনি রয়েছে। যা আপনার শরীরের চিনির পরিমাণ কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে আপনাকে সাহায্য করবে।

সবুজ শাকসবজির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। সাধারণত পালং শাক থেকে শুরু করে এই জাতীয় বিভিন্ন শাকসবজি যেমন পাতাকপি এর সঙ্গে শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম থাকে। এই খাবারগুলো আপনি বেশি বেশি খেতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার ক্ষুধা নিবারণ হবে এবং আপনার শরীরে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট অনেক কম জমা থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত লেবু খেতে বলা হয় তার কারণ হলো লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যেটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়া শরীরের ওজন কমাতে এবং চর্বিগুলো গলিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লেবু আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শস্য দানা বিভিন্ন ধরনের সুটি জাতীয় খাবার এবং বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*