বিকোজিন হল জিংক এবং ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণে এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিংক অনেক বায়োলজিক্যাল ফ্যাশন যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষত সারানো পরিপাক প্রজনন শারীরিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। জিংক গর্ভাবস্থায় শৈশব এবং কৈশোরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনে সহায়তা করে থাকে।
জিংক এর কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতাও রয়েছে যা শিশুদের এইচডি অ্যাটেনশন ডেফিকেট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার চিকিৎসায় ও জিংক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো বিকোজেন খেলে কি মোটা হয়? আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে এ বিষয়ে কিছু মতামত জানাবো। আশা করি আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়বেন তারা এখান থেকে বিকোজেন সম্পর্কে অনেক তথ্যই পেয়ে যাবেন।
বিকোজেন ট্যাবলেট এর উপাদান সমূহ
বিকোজেন ট্যাবলেট বিশেষ কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে যা শারীরিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। থায়ামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৫ দেওয়া থাকে এই বিকজিং ট্যাবলেট এ। রিবোফ্লাভিন ফাইভ ফসফেট সোডিয়াম এবং পাইরি ডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি টু। এছাড়াও এর বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেমন যিক সালফেট মনোহাইড্রেট usp এলিমেন্টাল ইত্যাদি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জিংক এর অভাবে ক্ষুধা মন্দ স্বাদ এবং ঘ্রাণ গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও বিষন্নতার প্রবণতা নখের সাদা সাদা দাগ ঘন ঘন ইনফেকশন দুর্বল প্রজনন ক্ষমতা, প্রোটেস্ট এর সমস্যা মানসিক সমস্যা ছাড়াও অমসৃণ ত্বক ও ওজন হ্রাস পেতে থাকে।
ভিটামিন বি খাদ্য থেকে শক্তি তৈরিতে প্রয়োজনীয়। শিশু ও বয়স্কদের সুস্থ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং সুগঠিত লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ভিটামিন বি গুলো অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে শিশুর সঠিক বুদ্ধি ও বিকাশে এটি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।
বি ভিটামিনের অভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের গভীর অবসান নেতা এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা যেমন দুর্বলতা ভারসাম্যহীনতা বিরক্তিভাব স্মৃতিভ্রম হাত-পায়ে শিরশির ভাব এবং সমন্বয় হীনতা দেখা দিতে পারে।এছাড়াও ভিটামিন বি এর অভাবে নিম্ন সমস্যা বমি বমি ভাব ক্ষুধা মন্দ ঘন ঘন ইনফেকশন এবং চর্মরোগ দেখা দেয়। তাই এসব রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য আমাদের বিকজ ইন ট্যাবলেট খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিকোজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই ট্যাবলেটটি সাধারণত সুসহনীয়। তবে কতিপয় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পাকস্থলীর সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। নির্দিষ্ট ভিটামিনের ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উল্লেখিত থাকলেও সেগুলো সাধারণত নির্দেশিত মাত্রা থেকে বেশি মাত্রায় ঘটে। বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিকোজেন খেলে কি মোটা হয়
অনেকেরই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে বিকজেন ট্যাবলেট খেলে মোটা হয়। তবে না এই ট্যাবলেট খেলে কেউ মোটা হয় না। বিকজেন ট্যাবলেট ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও এই ট্যাবলেটটি সেবনের আগে ডাক্তারকে আপনার বর্তমান ওষুধের তালিকার সম্পর্কে বলতে হবে।
এলার্জি বিদ্যমান রোগ এবং বর্তমান স্বাস্থ্য অবস্থা যেমন গর্ভাবস্থায় আসন্ন সার্জারি ইত্যাদি। কিছু স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য আপনার বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে চলুন বা পণ্যের উপর মুদ্রিত নির্দিষ্ট অনুসরণ করুন। ডোজ আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে হয়।
আপনার ডাক্তারকে বলুন আপনার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না অবনতি হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সেলিং পয়েন্ট গুলো হলো এই ট্যাবলেট আপনার ব্যবহার করা যাবে না যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে তাহলে। এছাড়া গর্ভবতী বা স্তন্যপায় মায়েদের জন্য এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা নিষেধ। তাই আগে আপনার অবস্থা এবং আপনার স্বাস্থ্যগত দিক ভেবে চিন্তে তারপরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ট্যাবলেট সেবন করা উচিত।
Leave a Reply