সিগারেট খেলে কি রোজা ভাঙ্গে

সিগারেট খেলে কি রোজা ভাঙ্গে

আমরা প্রায় সকলেই জানি যে ধূমপানে রোজা ভঙ্গ হয়। তাই রমজানে দিনের বেলায় বিশ্বাসে মুমিন রোজাদার ব্যক্তি ধূমপান করেন না। অনুরূপভাবে যারা বিভিন্নভাবে তামাক সেবন করেন তারা রোজা অবস্থায় তা করেন না। সুতরাং ধূমপান  ও তামাক শরীরের জন্য তা বর্জনের মহা সুযোগ। রোজা থেকে কোন খাবার পানিও বা ধোয়া জাতীয় কোন কিছু ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহণ করলে রোজা ভেঙে যায়।

আর সিগারেট জাতীয় জিনিস অতএব সিগারেট খেলে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে। যেখানে পানি খাওয়াই নিষেধ সেখানে সিগারেট খাওয়াটা অবশ্যই ঠিক না এ সামান্য টুকু ধারণাটা আমাদের সকলের থাকা উচিত কারণ আমরা মুসলিম। রমজান হল  সংযম এর মাস রোজা রেখে সিগারেট খেলে রোজা কখনোই সম্পূর্ণ হবে না। আপনাকে সকল সংযম মেনে রোজা শেষ করতে হবে এটাই নিয়ম। এরপরেও আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে সিগারেট খেলে কি রোজা ভাঙে? আর ঠিক সেই জন্যই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের নতুন আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে এ বিষয়ে অবগত করতে।

আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয় কিন্তু এটি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান রয়েছে যেগুলো নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তাই আমরা আজকে আপনাদের ভুল ধারণাগুলো দূর করার চেষ্টা করব। আপনারা যেমন অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে সিগারেট খেলে কি রোজা ভাঙ্গে কিনা ঠিক সেরকমই এরকম অনেক ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন আমরা আজকে সেই সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়ার চেষ্টা করব।

দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙে যায়?

আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই ধারণাটি রয়েছে সেটা হচ্ছে  রোজা থাকা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙে যায়। অনেকেই মনে করেন পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায় কিন্তু ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙ্গে না। তবে সবথেকে ভালো পরামর্শ হলো অল্প পরিমাণ পেস্ট নিন এবং যে পেস্ট এর গন্ধ কম এরকম পেস্ট রোজার সময় ব্যবহার করুন। তবে সব থেকে ভালো হয় যে গাছের সরু ডাল থেকে তৈরি মিসওয়াক বা দাঁতন ব্যবহার করা। মিসওয়াক করা সুন্নত। তাই ব্রাশ করার পরিবর্তে আমরা রোজা থাকা অবস্থায় মিসওয়াক করতে পারে।

মুখের নালা পেটে ঢুকলে রোজা ভেঙে যায়?

মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা ভেঙে যায় এই বিশ্বাসের কোনই ভিত্তি নেই। এটা একটি আমাদের ভুল ধারণা। নিজের লালা গলাতকরণ করা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া এতে অবশ্যই রোজা ভাঙার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এতে করে অবশ্যই আপনার রোজাটি ভাঙবে না। ইসলামের রোজার সময় মুখের লালা খাওয়া উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে হ্যাঁ আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি যখন অজু করবেন অথবা মুখে পানি দিয়ে কুলি করবেন তখন যেন সে পানি খেয়ে না ফেলেন।

শুধু খাবার অথবা পানি না খেলেই রোজা কবুল হয়ে যাবে?

শুধুমাত্র খাবার মুখে দিলে বা পানি পান করলে রোজা ভেঙে যাবে শুধু তাই নয় রোজা ভাঙার আরো কিছু কারণ রয়েছে এবং আচরণ রয়েছে যে আচরণগুলোতে আপনার রোজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি দুর্নাম রটান মানুষের নামে অথবা গুজবে অংশ নেন বা কাউকে গালিগালাজ করেন তাহলেও কিন্তু আপনার রোজা কবুল না হতে পারে। তাই রোজার সময় আপনাকে এসব বিষয়ে জানতে হবে এবং এই বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

অসাবধানতাবশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজা কি ভেঙ্গে যায়?

রোজা থাকা অবস্থায় আপনি যদি কোন খাবার ভুলবশত খেয়ে ফেলেন তাহলেও কিন্তু আপনার রোজা বৈধ থাকবে। তবে সে আপনি বোঝার সাথে সাথেই সে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এবং কুলি করে ফেলতে হবে। কিন্তু নামাজের আগে ওযুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনার রোজা ভেঙে যাবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*