আপনি কি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ভাব-সম্প্রসারণ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজতেছেন? আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা বাংলা ব্যাকরণ এর ভাব সম্প্রসারণ পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক থেকে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া দুরহ ব্যাপার । বর্তমান ডিজিটাল যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত অন্যান্য অনলাইন ভিত্তিক অর্জিত শিক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন। আর সে কাজটি আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করে থাকি।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সমসাময়িক তথ্য তুলে ধরা হয়। আপনার প্রয়োজন মত আপনাদের বিষয়ের টপিকস ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা পড়েও নিতে পারেন। আজ আমরা বাংলা ব্যাকরণের যে ভাব সম্প্রসারণটি নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটি নিম্নে তুলে ধরা হলো:
ভাব সম্প্রসারণ: দন্ডিতের সাথে
দন্ডদাতা কাঁদে যাবে সমান আঘাতে
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
মূলভাব: ন্যায় বিচারের বিচারককে থাকতে হবে নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ বিচারের জন্য তার সহানুভূতি থাকলেও তা তার সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না।
সম্প্রসারিত ভাব: আইনের চোখে সবাই সমান। তাই আইনের শাসন প্রয়োগকারী বা বিচারককে থাকতে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ। বিচারক যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে সে ন্যায় বিচার করতে অক্ষম। নিরপেক্ষভাবে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে গিয়ে বিচারককে হতে হয় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। কখনো কখনো দন্ডিতের সাথে সম্পর্ক, দন্ড প্রাপ্ত বয়স প্রভৃতি বিচারককে মানসিক দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত করে তোলে। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী বিচারক মানসিকভাবে যত বিপর্যস্তই আবেগে যতই উদ্বেলিত হোন না কেন তিনি অন্যায়কারীর প্রাপ্য শাস্তিই দেন।
কেননা সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা ও মানুষের অধিকার সংরক্ষণে তার দায়িত্ব অপরিসীম। উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে সমাজের খারাপ লোকেরা বাধ্য হয়েই সংযত জীবন যাপন করে। পক্ষান্তরে সামাজিক প্রতিপত্তি বা ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদে যদি কোন অপরাধীর বিচার বা শাস্তি না হয় তাহলে সমাজের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য দায়িত্বশীল বিচারক আবেগ তাড়িত হন না। তিনি চালিত হন ন্যায় ও আইনের দ্বারা।
হযরত ওমর (রা)- এর পুত্র আবু শাহমার বিরুদ্ধে মদ্যপান ও ব্যভিচারের অভিযোগ ওঠে। হযরত ওমর (রাঃ) নিজে পুত্রের শাস্তি বিধান করেন। নিজ হাতে বেত্র দণ্ড প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি পুত্রের প্রাণ সংহার করেন। প্রিয় পুত্রের অকাল মৃত্যুতে তাঁর হৃদয় ক্ষত বিক্ষত হয়েছিল সত্য কিন্তু পুত্রস্নেহে তাঁকে ন্যায় বিচার থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
অপরদিকে দন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তি আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে কিন্তু বিচারকের আন্তরিক সহানুভূতি ও অনুসন্ধান থেকে যেন সে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। বিচারককে ভাবতে হয়, দন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি একজন মানুষ, কারো পুত্র-কন্যা, কারো আপন জন। একজন মানুষ হিসেবে তার দুর্ভাগ্য বিচারক যদি মর্মাহত হন তাহলে সেটি হবে একান্ত মানবিক। বিচার হিসেবেও সেটি শ্রেষ্ঠ।
মন্তব্য: পরিশেষে উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, অপরাধীকে ন্যায়ের পথে আনাই বিচারকের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেজন্য অপরাধী প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। দন্ডদাতা নিজের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে দণ্ডিত ব্যক্তির মনের উপর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এবং তাতে সে কিভাবে সংশোধনের সুযোগ পাবে বিচারককে তা ভাবতে হবে। বিচার যদি এই সহানুভূতির পথে অপরাধের সংশোধনের সুযোগ দেয় তবে তা সার্থকতার দাবিদার।
আপনারা যারা আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকছেন, তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারন আপনাদের জন্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট। আপনারা যত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন ততই আমাদের কাজ করা সার্থক। মূলত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সহযোগিতা প্রদান করাই আমাদের এই ওয়েবসাইটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই যারা এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সাথে যারা এখনো ভিজিট করেন নাই তাদের কেউ ভিজিট করার জন্য আপনারা অনুরোধ করবেন।
Leave a Reply