
প্রত্যেকটি নর-নারীর জন্য বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। আপনি যখন বিয়ে করবেন তখন একজন নারীকে আপনার জীবনে পাবেন এবং সেই নারী যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে চলেন তাহলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর। শারীরিক এবং জৈবিক চাহিদা, মানসিক শান্তি এবং জীবনে একজন নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে একজন মানুষ খুবই দরকার। তাই একজন মানুষ তারা দৈনন্দিন জীবনের কাজ সম্পন্ন করে অথবা ঘরে ফিরে যাতে একজন সুন্দর মানুষের মুখে হাসি দেখতে পায় অথবা দিনশেষে যারা একজন নিরাপত্তার জন্য মানুষ পায় তারা খুব সুখী হয়ে থাকে।
তাই আপনার যদি মনে হয় আপনার বিয়ে করাটা ফরজ হয়ে গিয়েছে অথবা বিয়ে করলে আপনি হয়তো ভালো থাকতে পারবেন তাদেরকে বলব যে বিয়ে করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আপনার জীবনে আসতে পারে। আর যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা কাটানোর জন্য আপনারা ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল নিচের দিক থেকে দেখে নিতে পারেন এবং সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
সাধারণত আমাদের বয়স যখন ২০ এর উর্ধ্বে হয়ে যায় তখন আমরা হয়তো বিয়ের জন্য আস্তে আস্তে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকি। অনেক মানুষ আছেন যারা অল্পতেই সফলতা অর্জন করেন বলে অথবা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে খুব অল্প বয়সে বিয়ে করে ফেলেন।প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমাজের যে বর্তমান অবস্থা চলছে তাতে করে একজন মানুষের বিয়ে করাটা জরুরী এবং এর মাধ্যমে নিজের দৃষ্টিকে সংযত রাখা সম্ভব। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থা দিনে দিনে এমন কঠোর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যাতে করে বিয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে এবং এখানে জেনা খুব সহজ হয়ে যাচ্ছে।
তাই আপনি যখন বিয়ের জন্য আপনার বাড়িতে জানাবেন তখন হয়তো অনেকেই আপনাকে নির্লজ্জ বলতে পারে অথবা অনেকেই বলতে পারে আপনার ইনকাম না থাকার কারণে আপনাকে বিয়ে দেওয়া হবে না। আবার অনেকের সবকিছু থাকার পরও যখন ভালোমতো পাত্রী খুঁজে পান না অথবা মনের মত একজন সঙ্গী খুঁজে পান না তখন আপনাদের মনে হয় হয়তো সৃষ্টিকর্তা চাচ্ছেন না বলে আপনাদের বিয়ে হচ্ছে না। তাই সকল দিক বিবেচনা করে আপনারা যখন বিয়ে করার জন্য দ্রুত আমল করবেন অথবা বিভিন্ন ধরনের আমল করার মাধ্যমে বিয়ে করার পথকে যারা প্রশস্ত করতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট করা হয়েছে। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বেশ কিছু আমল করবেন যেটা করার মাধ্যমে আপনার বিয়ে হওয়ার পথ ত্বরান্বিত হবে।
বিশেষ করে আপনারা যারা ছেলেরা আছেন তারা যদি বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরেও অথবা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পরেও বিয়ে হয় না তারা অবশ্যই নিজের আমলটি করবেন। আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরতে হবে এবং মেয়ে যদি হয়ে থাকেন তাহলে বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরতে হবে। আর এটি আপনাদের করতে হবে সুবহে সাদিকের আগে। এভাবে আপনারা হাত ধরে ৪০ বার করে ইয়া ফাত্তাহু (الفتاح) অর্থ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুকারী পড়বেন। তাহলে আপনাদের মনের বাসনা পূরণ হবে এবং দ্রুত আপনারা হয়তো বিয়ের জন্য পাত্রী অথবা পাত্র পেয়ে যাবেন।
আপনারা যদি নামাজের পরে দরুদ শরীফের সাথে নিচের এই দোয়াটি পাঠ করতে পারেন তাহলে আপনাদের বিয়ে করার পথ অনেকটাই এগিয়ে যাবে এবং দ্রুত বিয়ে করতে পারবেন।
সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা:
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। ’
হযরত মুসা আলাইহিস সালাম একাকী এবং বিষন্নতার ভেতরে থাকলে এই দোয়াটি পাঠ করতেন। তাই কোন অবিবাহিত যুবক যদি এটা 40 বার প্রতিদিন পাঠ করতে পারে তাহলে তার বিয়ে হওয়া খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে এবং খুব দ্রুত আল্লাহর ইশারায় তার জন্য পাত্রের নির্ধারণ করে সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে।
সুরা আদ-দোহাসহ সুরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’
এছাড়াও আপনারা বেশিবার করে ইস্তেগফার পাঠ করবেন এবং মহান আল্লাহ পাকের কাছে যখন আপনার মনের কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই আপনার দোয়া কবুল হবে। সকলের জন্য দোয়া রেখে এই পোস্ট শেষ করলাম।
Leave a Reply