ভিটামিন ই যে ক্যাপসুলগুলো বর্তমানে বাংলাদেশে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় ‘ই ক্যাপ’নামক এই ঔষধ। সাধারণত শরীরের ভিটামিন ই সল্পতা দূর করতে এই ধরনের ওষুধ ডাক্তার আপনাকে খেতে বলতে পারে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এই ওষুধ আপনি যদি সেবন করেন তাহলে কোন উপকার আপনি পেতে পারেন, এবং এই ওষুধে কোন কোন উপাদান গুলো রয়েছে।
আমরা সকলে অবগত আছি যে ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামক ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি ‘ই ক্যাপ’ নামক এই ওষুধটির প্রস্তুতকারক। এই প্রস্তুতকারকরা বাজারে তাদের এই ওষুধটিকে এত সুন্দর ভাবে নিয়ে এসেছে যে প্রত্যেকটি ডাক্তার যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল লেখে তাহলে সবার প্রথমে ই ক্যাপের কথা একবার হলেও ভাবে। আজকে আমরা ‘ই ক্যাপ’ওষুধের অনেক ধরনের ব্যবহার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং এই ঔষধ আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটাও জানার চেষ্টা করব।
‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুল এর পরিচিতি
সাধারণত আমরা যে ওষুধ গুলো খাই সে ওষুধ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুব কমই আছে। যদি এই ওষুধগুলো সম্পর্কে আমরা আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে অবশ্যই এই ঔষধ গুলো খাওয়ার সময় আমাদের কনফিডেন্ট লেভেল বেশি কাজ করবে তখন ওষুধের কার্যকারিতা বেশি হবে। ‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুল আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত ভিটামিন ই যুক্ত একটি ক্যাপসুল। এবং বাংলাদেশের বহু ব্যবহৃত এবং সব থেকে বেশি বিকৃত ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে এটি একটি।
‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুলটির প্রস্তুতকারক হচ্ছে ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। শুধুমাত্র যে ‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুল রয়েছে এমন নয় এর সঙ্গে আরও অ্যাভেইলেবল রয়েছে e cap 200 এবং ‘ই ক্যাপ’৬০০ ক্যাপসুল। তবে ডাক্তাররা সবসময় রোগীর কন্ডিশন এর উপর নির্ভর করে ওষুধ লিখে থাকেন তাই এখানে ডাক্তার যেটা আপনাকে সেবন করতে বলবে আপনি সেটাই খাবেন। শুধুমাত্র ভিটামিন ই রয়েছে এই ক্যাপসুলে এবং যাদের ভিটামিন ই স্বল্পতা রয়েছে তাদের জন্য এই ঔষধ সেবনযোগ্য। তবে সকলের উদ্দেশ্যে অনুরোধ থাকবে কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এবং ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া আপনি এ ধরনের ওষুধ খাওয়া এবং কেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
‘ই ক্যাপ’৪০০ খেলে কি উপকার হয়
ইক্যাপ ৪০০ ওষুধের প্যাকেটে যে নির্দেশনা রয়েছে সে নির্দেশনা গুলো আমরা আপনাদের সামনে একটু সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। সেখানে যে নির্দেশনা গুলো দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কোন ধরনের রোগী ‘ই ক্যাপ’400 ক্যাপসুল খেতে পারবে সেটা জানার চেষ্টা করব।
চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বর্ধনে ইক্যাপ 400 ক্যাপসুল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত যে ধরনের রোগীগুলো নিজের চুলের ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশনে ইক্যাপ ৪০০ ক্যাপসুল লিখতে পারে। তাই সহজ ভাষায় বলতে গেলে ভিটামিন ই যুক্ত ই ক্যাপসুল আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।
শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সকলে জানি যে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ত্বককে সুস্থ ও মসরিন রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই এন্টিঅক্সিডেন্টটার অন্যতম উৎস হচ্ছে ভিটামিন ই এবং এই ভিটামিন ই আমরা পেতে পারে ভিটামিন ‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুল খেলে।
ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরে অনেক সময় হিমলায়টিক অ্যামোনিয়ার মত অসুখ ধরা পড়ে। যদি ডাক্তারেরা এই অসুখ সনাক্ত করতে পারে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সবার প্রথমে ভিটামিন ‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুল খেতে বলবে তার কারণ হলো এটার মাধ্যমে আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ হবে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন দুর্বলতা এবং গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন দুর্বলতা দূর করতে ভিটামিন ‘ই ক্যাপ’৪০০ ক্যাপসুলটির ব্যবহার হয়ে আসছে।
Leave a Reply