আপনারা যারা ঈদ ই মিলাদুন্নবী এর আমল সম্পর্কে জানতে এসেছেন তারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এখানকার আমল সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আমরা সকলেই জানি যে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে আমাদের পৃথিবীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে ইসলামের দাওয়াত বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন এবং আমরা সকলেই মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করতে পেরেছি। তাছাড়া ইসলামের মতো একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম ব্যবস্থাতে আমাদের নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারছে বলে আমরা খুব সুন্দর জীবন ব্যবস্থা পেয়েছি।
এ জীবন অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের আনন্দের এবং সুখের শেষ নেই তেমনি ভাবে বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে সমাধান পাওয়ার জন্য আমরা এখানেই উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। তবে যাই হোক ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মদিন এবং মৃত্যু দিবস উপলক্ষে এই দিনটি আমরা মুসলমানরা পালন করে থাকি। তবে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অন্য কোন ব্যক্তির জন্মদিন পালন করা না গেলেও আমরা আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের জন্মদিন এবং মৃত্যু দিন ইসলামিক নীতি এবং রীতি অনুসরণ করে পালন করতে পারি।
যে মানুষ এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে বিভিন্ন ধরনের কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন এবং ইসলাম ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবনের বিভিন্ন পদে পদে লাঞ্চিত এবং বঞ্চিত হয়েছেন সেই মানুষটা জন্মগ্রহণ করেন আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে। তাই আপনারা যখন এ বিশেষ দিনটি পালন করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে ধর্মীয় রীতি নীতি অনুসরণ করে পালন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ করা যাবে না। আমরা হয়তো অনেকেই জেনে থাকি অথবা অনেকেই শুনে থাকি ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে সবচাইতে মুসলমানদের জন্য বড় ঈদ।
আপনার হয়তো অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন এই বড় ঈদে আমরা কেন নামাজ আদায় করে থাকি না অথবা এটার জন্য বিশেষ কোনো ইবাদত নেই কেন। এক্ষেত্রে যে সকল তথ্য আমরা জানতে পেরেছি সেগুলোর উপর নির্ভর করে বলতে চাই যে ঈদে মিলাদুন্নবীর সঙ্গে ব্যক্তিদের নামাজের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মগ্রহণ করার পেছনে প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য আনন্দের একটি দিন হিসেবে পরিগণিত হয় এবং এক্ষেত্রে মহান আল্লাহপাক স্বয়ং খুশি হয়েছেন। তাই আমরা যখন এই খুশির দিনটি পালন করতে যাব তখন অবশ্যই এই খুশির দিন শুধু একজন বান্দার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
এই আনন্দের ভেতরে সকলেই যেমন সীমাবদ্ধ থাকবেন তেমনি ভাবে মহান সৃষ্টিকর্তা সীমাবদ্ধ থাকবেন এবং তার মধ্যে সকল কিছু সম্পৃক্ততা রয়েছে। যেহেতু মহান আল্লাহ পাকের জন্য নামাজ অথবা রোজা বিষয়গুলো যায় না অথবা তার ক্ষেত্রে এগুলো আদায় করার প্রয়োজন নেই সেহেতু তিনি যেহেতু এক্ষেত্রে নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না সেহেতু কোন বান্দার জন্য এই বিশেষ দিনে নামাজে নেই। তাই ঈদে মিলাদুন্নবীর জন্য আপনারা যারা ভাবছেন ঈদ উপলক্ষে বিশেষ নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে তাদেরকে বলব যেন আমাদের পরিবর্তে আপনারা এই দিনটিতে নবী রাসুলের দেখানো সুন্নত গুলো আমরা পালন করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা যদি বেশি বেশি করে দরুদ পাঠ করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
বিশেষ করে এই দিনটিতে মসজিদে মিলাদের ব্যবস্থা করা যেতে পারে এবং এই মিলাদে নবীর গুনগান এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করে সকলকে এ বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে করে সকলে যেমন এ বিষয়গুলো জানতে পারবে তেমনি ভাবে সকলেই দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করার সুযোগ পাবে। তাছাড়া এখানে আমরা জিকির আজগার করতে পারব এবং এই দিনটি স্মরণ করার জন্য আমরা বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আলোচনা করতে পারব। তাছাড়া এই বিশেষ দিন উপলক্ষে আমরা যদি মনে করি নফল ইবাদত করার জন্য রাত জাগবো তাহলে আমরা জানতে পারি এবং আমাদের নবীর জন্য দোয়া করতে পারি।
Leave a Reply