ঈদুল আজহার দিনের আমল – ঈদুল আযহা

ঈদুল আজহার দিনের আমল

প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য বছরের দুইটি ঈদ হলো অত্যন্ত আনন্দের এবং বিশেষ দিন। আর এই ক্ষেত্রে ঈদুল আযহা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন যে দিনে কোরবানি করার মধ্য দিয়ে ঈদের এই আনন্দ সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়। তাই আপনি যদি ঈদুল আযহার দিনের যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে কুরবানী করতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই পোস্ট আপনাদেরকে এ বিষয়ে সাহায্য করবে। আমাদের ওয়েব সাইটে ঈদুল আযহার দিনে কিভাবে কোন আমল করতে হবে তা জানিয়ে দেবো এবং যে সকল সাধারণ নিয়ম রয়েছে যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা সেগুলো এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। নিচের দিকে আপনাদের জন্য ঈদুল আযহা এর দিনে যে সকল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে সেগুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম এবং সেগুলো মেনে চলার অবশ্যই চেষ্টা করবেন।

আমরা কমবেশি অনেকেই জানি যে ঈদুল আযহার দিনে কোরবানি করা হয় এবং এই ক্ষেত্রে সুস্থ এবং নিয়ম মোতাবেক নির্দিষ্ট পশুকে কোরবানি দিতে হয়। এই বিশেষ দিনটি শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকে এবং তখন থেকে কোরবানির রেওয়াজ চালু রয়েছে এবং ধর্মীয় নিয়ম অনুসরণ করে তা প্রত্যেক বছর জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পালন করা হয়ে থাকে। আপনি যদি সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন এবং কোরবানি দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা যদি আপনার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার কোরবানি দিতে হবে এবং কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম রয়েছে সেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। আপনাদের জন্য নিচের দিকে ঈদুল আযহার দিনে যে সকল আমল বা নিয়ম রয়েছে সেগুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।

কোরবানির দিন একটি বিশেষ দিন হওয়ার কারণে আপনারা আগে থেকেই পশু নির্ধারণ করে রাখবেন এবং পশু যবেহ করার আগে অবশ্যই আপনাদেরকে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য ঈদগাহে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার অবশ্যই ফজরের সালাত আদায় করবেন এবং সকাল বেলা গোসল করে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করে ভালো জামা কাপড় পড়ে অবশ্যই আপনারা ঈদগাহে গিয়ে উপস্থিত হবেন।

ঈদুল আযহার খুতবা শোনা ওয়াজিব বলে অবশ্যই আপনারা আগে গিয়ে উপস্থিত হবেন যাতে করে সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা যারা বাড়ি থেকে বের হবেন তারা অবশ্যই যাওয়ার সময় এক রাস্তায় এবং আসার সময় আরেক রাস্তা ব্যবহার করবেন।

তাছাড়া আপনারা যখন নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে যাবেন তখন অবশ্যই তাকবীর পড়তে পড়তে যাবেন এবং তাকবীর পড়তে পড়তে আসবেন। সাধারণত খোলা ময়দানে ঈদ জামাত আদায় করাটা ওয়াজিব এবং আপনারা যদি পারেন তাহলে অবশ্যই খোলা ময়দানে এই জামাত করার জন্য কমিটির সঙ্গে অথবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার ব্যবস্থা করবেন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করার পাশাপাশি সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং কোলাকুলি করে এসে আপনারা নির্দিষ্ট পশুকে কোরবানি করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি আগে থেকে নিয়ে রাখবেন।পশু কোরবানি হওয়ার পর সকল নিয়ম সঠিকভাবে মানতে হবে এবং যাতে বছর হালাল ভাবে কোরবানি করা হয় তার জন্য জবাই করার বিষয়টি ভালোমতো মাথায় রাখতে হবে।

কোরবানি করানোর পর আপনারা অবশ্যই সেই মাংস যে নিয়মে ভাগ করা উচিত এবং যাদের মাঝে বন্টন করা উচিত সেই নিয়ম গুলো মেনে চলবেন। আপনারা যখন কোরবানির গোস্ত দিতে যাবেন তখন অবশ্যই তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং অবশ্যই নামাজ-কালাম পড়ে মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করবেন। তবে কোরবানি করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আপনারা এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি না করে সঠিকভাবে করার চেষ্টা করবেন। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে ঈদুল আযহার বিস্তারিতভাবে সঠিক নিয়ম জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা এ সংক্রান্ত কোন আমল জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকলে অথবা নির্দিষ্ট কোন টপিকে প্রশ্ন থেকে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে করবেন ‌

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*