ঈদুল ফিতরের রাতের আমল – ঈদের রাতের আমল

আমাদের ভেতরে অনেকেই আছে যারা দীর্ঘ এক মাস রোজা করার পর ঈদুল ফিতরের দিন কোন ভাবে ইবাদত বন্ধই করার পর এ থেকে অব্যাহতি দিই। তবে আপনি জেনে থাকবেন যে ঈদুল ফিতরের রাতের বিশেষ আমল রয়েছে এবং এই আমল গুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য অনেক ফজিলত অপেক্ষা করবে। তাই আমাদেরকে এ সকল বিষয়ে জানতে হবে যাতে করে আমরা ঈদুল ফিতরের দিন অথবা অন্য ঈদের দিন ইবাদত করতে পারি এবং আল্লাহ পাকের দেখানো পথ অনুযায়ী চলতে পারি। তাই আপনারা যখন ঈদুল ফিতরের রাতের আমল জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তখন এই পোস্টের মাধ্যমে তা জেনে নিবেন এবং সেই অনুযায়ী আমল করলে মহান আল্লাহ পাক খুশি হবেন এবং আপনাদের আমলকে কবুল করে নিবেন। নিচের দিকে আপনাদের জন্য ঈদুল ফিতরের রাতের ইবাদত সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হল।

আল্লাহ পাক এই পৃথিবীর বুকে আমাদের জন্য বেশ কিছু ফরজ কাজ তুলে ধরেছেন এবং এক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করেছেন। এছাড়াও অনেক ধরনের ইবাদত রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে করতে হয়। সাধারণত আমরা রমজান মাসে নিজেকে পরিবর্তন করলেও হঠাৎ করে সেই পরিবর্তন আবার নষ্ট হয়ে যায়। যাদের ঈমান কমজোরি তারা দেখা যায় যে নামাজ-কালাম ছেড়ে দেয় এবং আগের মত করে জীবনকে পরিচালনা করে। রমজান মাস আমাদেরকে যেহেতু ভালো হওয়ার সুযোগ প্রদান করেছে সেহেতু আমরা ভালো হব এবং এই ভালো হওয়ার গুণাবলী আমাদের মধ্যে আজীবন ধরে রাখার চেষ্টা করব।

তবে যাই হোক আপনারা যারা জানেন না যে ঈদের রাতে আমল রয়েছে এবং এই আমলের মাধ্যমে আমাদের জান্নাত লাভের সুযোগ রয়েছে তাদেরকে এই প্রশ্নের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেব। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আসেন তখন দেখতে পেয়েছিলেন যে সেখানে মানুষেরা বছরের দুইটি দিন আনন্দ করে। তখন তিনি তাদেরকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেন যে আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য আইনুদ্দিনের পরিবর্তে আরও উত্তম ও কল্যাণকর দুইটি দিন দিয়েছেন এবং এই দুইটি দিন হল পবিত্র ঈদের দিন। তাই অনেক কষ্ট করার পর আমাদের সামনে যখন পবিত্র এই দিন এবং আনন্দের দিন চলে আসে তখন আমরা আনন্দ করার পাশাপাশি আল্লাহ পাকের নিকট লাভের মহাসড়ক যদি গ্রহণ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে আমল করতে হবে।

তাই আপনি যখন মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিলের জন্য ঈদের দিন রাতে বিশেষ এই আমলগুলো করতে পারেন এবং এই আমল করার মধ্য দিয়ে আপনারা জান্নাত লাভের জন্য ওয়াজিব ইবাদত করতে পারেন। তাছাড়া এই সময় আল্লাহ পাক খুশির দিনে ইবাদত করছেন বলে অবশ্যই তা গ্রহণ করবেন। বিশেষত মহান আল্লাহ পাক এগুলোর মাধ্যমে মানুষকে পরীক্ষা করে দেখেন যে মানুষ যেমন বিপদের দিনে আল্লাহ পাককে স্মরণ করছে তেমনিভাবে খুশির দিনে তাকে ভুলে যাচ্ছে কিনা। তাই খুশির দিনে এবং আল্লাহ পাকের নির্ধারিত এই দিনে আমরা যেহেতু ঈদ পালন করছি সেহেতু এই দিনেও অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহ পাকের স্মরণ করতে হবে এবং তার কাছে বেশি বেশি আমল করার মধ্য দিয়ে আমাদের মনের দাবিদাওয়া গুলো তাঁর কাছে তুলে ধরতে হবে।

তাই ঈদের রাতের আমল সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে আপনারা এই বিশেষ দিনে নামাজ-কালাম পড়তে পারেন এবং তেলাওয়াত করার পাশাপাশি জিকির-আজগার করতে পারেন। তাছাড়া সকলের মাঝে এই আনন্দ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনারা বেশি বেশি দোয়া যেমন করবেন তেমনি ভাবে অন্যদের মাঝে দান খয়রাত করার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকের জীবনে সুখ আনার চেষ্টা করবেন। মহান আল্লাহপাকের কাছে নফল ইবাদত করবেন এবং এই ইবাদত করলে আপনাদের ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে বলে আপনারা প্রত্যেকটি সঠিকভাবে করে মহান আল্লাহ পাকের কাছে আপনার চাওয়া পাওয়া নিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ পাক অবশ্যই আপনাদেরকে তা প্রদান করবেন।