মুখের লোম দূর করার চিকিৎসা

মুখের লোম দূর করার চিকিৎসা

মুখের লোম দূর করার চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে সহজভাবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। মুখের লোম থাকার কারণে অনেকেই মানুষের সামনে যেতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অথবা লজ্জা পান। কারণ আশে পাশে থাকা কোন বন্ধু বান্ধব যদি এই প্রসঙ্গে কথা তুলে ফেলে তাহলে সেটা আপনাদের অনেক লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তাই এই পোস্টে আমরা যদি আপনাদের উদ্দেশ্যে মুখের লোম দূর করার চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করি তাহলে সেটা অনেক ভালো হবে এবং আপনারাও ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটার সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই মুখের লোম তোলার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে যে সকল নিয়ম অনুসরণ করতে বলবে সেগুলো অবশ্যই আপনারা অনুসরণ করুন। এ প্রসঙ্গে কারো যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।

শরীরের কিছু অংশের লোম রয়েছে যেগুলো বারবার গজিয়ে থাকে এবং বারবার সেগুলো আমাদের তুলতে হয়। তাই মুখের লোম যখন আপনারা তুলবেন তখন টুইজার ব্যবহার করতে পারেন। টুইজার বলতে যারা এটাকে চেনেন না তাদেরকে বলব যে চিমটা বললে সহজে চিনতে পারবেন। কারণ শরীরের যে সকল জায়গায় নরম লোম রয়েছে সেই সকল লোম উত্তোলন করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি এটা ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই উত্তোলন করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে এটা চিকিৎসা পদ্ধতি না বলে প্রতিকার ব্যবস্থা বলা যেতে পারে ‌ তবে মুখের লোম তোলার জন্য বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক উপায়ে অনেক অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে এবং সেগুলো ব্যবহার করলেও আপনারা এটা সমাধান পাবেন।

বিশেষ করে আপনারা যদি সুগারিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে চান তাহলে করতে পারেন। এক্ষেত্রে এই পদ্ধতির সঙ্গে মিল রেখে চিনির সঙ্গে আপনারা লেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে একটা দ্রবণ তৈরি করবেন। তবে এই দ্রবণকে প্রস্তুত করার জন্য আপনাদেরকে আগুনের আছে হালকা তাপ দিতে হবে। যখন এটা হালকা লাল বর্ণ ধারণ করবে অথবা লালচে ভাব চলে আসবে তখন আপনারা খুব সহজে এটাকে নামিয়ে নিয়ে হালকা ঠান্ডা করবেন। ত্বকে যতটুকু সহ্য করা যায় ততটুকু গরম অবস্থায় এটা ব্যবহার করলে খুব দ্রুত আপনার মুখ টেনে নিবে এবং যখন এটা ঠান্ডা হয়ে মুখের সঙ্গে শুকনা ভাব সৃষ্টি করবে তখন তুলে ফেলতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার লোমের গোড়া যেদিকে গিয়েছে তার বিপরীত দিকে টেনে তুলতে হবে এবং এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে অনেকেই উপকার পেয়েছেন। তাছাড়া আপনারা যদি কোলগেট পেস্টের সঙ্গে আরো কিছু উপাদান মিশ্রিত করে দ্রবণ তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটা ব্যবহার করার মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যাবে। বিশেষ করে কোলগেট পেস্টের সঙ্গে আপনারা যদি কমলা লেবুর রস এবং বেসন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেটা দিয়ে একটা সুন্দর করে পেস্ট তৈরি করতে পারবেন। সেই পেস্ট আপনারা যদি সপ্তাহ পরপর লাগিয়ে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে এই অবাঞ্ছিত লোম খুব দ্রুত উঠে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর চাইতে সহজ নিয়ম আর কোন কিছু নেই।

তবে এ সকল পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও যদি সঠিক কোন সমাধান না আসে তাহলে বুঝতে হবে নারীদের শরীরে পুরুষেরই হরমোনের পরিমাণ বেশি রয়েছে। যেহেতু এটা হরমোনের কারণে সমস্যা হয়ে থাকে সেহেতু এই হরমোনের বিষয়গুলো আপনাদেরকে সঠিকভাবে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারলে তারা আপনাদেরকে

বিভিন্ন টেস্ট দিতে পারে এবং সেই টেস্টের রিপোর্ট দেখালেই হরমোনের মাত্রা কত শতাংশ রয়েছে তা বুঝে চিকিৎসা প্রদান করবে। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে হয়তো ওষুধ সেবন করা লাগতে পারে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি সমাধান না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে আপনারা মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে পারেন। তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করো অথবা ডাক্তারের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে চিকিৎসা নেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*