
আপনি যদি ফেরাউন কাদের উপাধি ছিল এটা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে ফেরাউন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এখানে ফেরাউন কাদের উপাধি ছিল সেই সম্পর্কে জানিয়ে দেবো এবং আপনারা যারা বিভিন্ন সময়ে এই প্রশ্নের উত্তর সার্চ করে থাকেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটের দেওয়া এই পোষ্টের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো জেনে নেবেন।
সাধারণত আমরা ফেরাউন বলতে গেলে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে বুঝে থাকি যার জুলুমের কারণে তাকে ফেরাউন বলে ডাকা হতো। কিন্তু আপনি যখন এই পোস্ট করবেন তখন ফেরাউন সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন এবং এ সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধরনের ভুল ধারণা থেকে থাকে তা সঠিক হয়ে যাবে। তাই প্রাচীন মিশরে ফেরাউন কাদের উপাধি ছিল তা আজকের এই পোস্ট থেকে সহজ ভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
মোটামুটি ভাবে আমরা এটা জানি যে প্রাচীন মিশরে মহান আল্লাহপাকের সাথে নিজেকে সমকক্ষ মনে করা ব্যক্তিটি হল ফেরাউন। এই ফেরাউন নিজেকে সৃষ্টিকর্তা বলে এবং সকলের উপাসনার ব্যক্তি বলে দাবি করত। এইজন্য তিনি বিভিন্ন মানুষের প্রতি জুলুম করতে এবং নিজের স্ত্রীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করত। তাই এই সংক্রান্ত যে ধরনের ধারণা আপনাদের ভেতরে রয়েছে সেই ধারণাকে আমরা সঠিকভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আমরা মনে করি যে কোন ওয়েবসাইটে যে তথ্যগুলো দেওয়া আছে সেগুলোর ভিত্তিতে আপনারা ফেরাউন প্রাচীন মিশরে কাদের উপাধি ছিল সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
প্রাচীন মিশরের ফারাও নামক এক ধরনের জাতি গোষ্ঠী ছিল যারাই ফেরাউন নামে পরিচিত। এই জাতি গোষ্ঠীর সবচাইতে বড় অবদান হলো প্রাচীন মিশরে পিরামিড তৈরি করা। তাদের এই পিরামিড তৈরি করার মধ্য দিয়ে তারা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিল এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত তাদের এই পিরামিড সকলের কাছেই দৃষ্টিনন্দিত হয়ে আছে।
তবে যাই হোক প্রাচীন মিশরে ফেরাউন যাদের উপাধি ছিল সে সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা প্রদান করার জন্য বলতে চাই যে যুগ যুগ ধরে প্রাচীন গণপ্রজাতন্ত্রী মিশরকে রাজত্ব করার শাসকদের নামই ছিল ফেরাউন। অর্থাৎ প্রাচীন মিশরের যে সকল জনগোষ্ঠী রাজত্ব করত তাদেরকে ফেরাউন বলা হত এবং এক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারছি যে তারা একক কোন ব্যক্তি নয় অথবা একক কোন মানুষ নয়।
আমাদের দেশে যখন কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তির উপরে জোরপূর্বক জুলুম করে বা অন্যায় করে তখন আমরা তাদেরকে ফেরাউন বলে চিহ্নিত করে থাকি। যদি নিজেদের ক্ষমতা অন্যের কাছে উদ্ধত্য প্রকাশের জন্য করে থাকে তাহলেও তাদেরকে ফেরাউন বলা হয়ে থাকে। তবে আপনারা যারা ফেরাউন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা জানতে চেয়েছিলেন তাদেরকে বলতে চাই যে এরা সবসময় মিশরে ইহুদীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।
তাছাড়া ঐতিহাসিক জোসেফের মতে আহমস হলো মিশরের প্রধান ফেরাউন। এই ফেরাউন গোষ্ঠীর ভেতরে সর্বশেষ যে রাজা ছিলেন তার লাশ এখন পর্যন্ত মমি করে রাখা হয়েছে। তাহলে এখান থেকে বুঝতে পারলাম যে প্রাচীন মিশরে ফেরাউন বলতে গেলে তখনকার শাসকগোষ্ঠীকে বোঝানো হতো যারা অন্যের প্রতি নিজেদের ক্ষমতা দুর্বলদের প্রতি প্রকাশ করতো এবং নিজেদের মতো করে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত করত।
Leave a Reply