ঘুমানোর পূর্বের আমল

প্রত্যেকটি মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার পর দিনের শেষে রাতের বেলা ঘুমানোর খুবই প্রয়োজন রয়েছে। একজন মানুষ ঘুমানো ভেতর দিয়ে যেমন তার নিজের শরীরের যাবতীয় শক্তি সঞ্চয় করে পরবর্তীতে আবার নতুনভাবে কাজ করার নতুন শক্তি পেয়ে থাকে তেমনি ভাবে ঘুমানো একটি আমল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিত ঘুমানো একটি ইবাদত হওয়ার জন্য আমাদের এখানে অবশ্যই বেশ কিছু আমল করতে হবে।
আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আমাদের ওয়েবসাইটের দেখানোর নিয়ম অনুসরণ করে বেশ কিছু আমল করবেন এবং এই আমলের মধ্য দিয়ে আপনার সারারাত ঘুমানোর ভেতর দিয়ে ইবাদত করা হয়ে যাবে। তাছাড়া ঘুমানোর পূর্বে আমাদের নবীজী সাঃ যে সকল কাজগুলো করতেন সেগুলো যদি আমরা মেনে চলি তাহলে তাঁর সুন্নত মেনে চলা হবে। তাই ঘুমানোর পূর্বে যে সকল আমল আমরা করব সেগুলো এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হলো।
আপনি যদি ঘুমানোর পূর্বে ছুলার মূলক পাঠ করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে এবং এটি যদি পাঠ করে আপনি ঘুমাতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে মহান আল্লাহ পাক আপনাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। তাই সূরার মূলক যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা এটা পাঠ করবেন এবং না জানা থাকলে দ্রুত শিখে নেওয়ার।
একজন মুসলমান হিসেবে আমরা তাসবিহের আমল সকলে জেনে থাকি এবং তাজবিহের আমল গুলো যদি করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে আল্লাহপাক এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক সওয়াব প্রদান করবেন। তাই যখন তাজবিহের আমল করবেন তখন অবশ্যই সঠিক নিয়মে করতে হবে এবং এই আমল করার মধ্য দিয়ে আপনার সমুদ্র রাশির সমান পাপ যেমন মুছে দেওয়া হবে তেমনি ভাবে আপনারা এগুলোর মধ্য দিয়ে একটি ইবাদতে শরিক হতে পারবেন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন ঘুমাতেন তখন তিনি ডান দিকে ঘুরে ঘুমাতেন। তাছাড়া তার ডান হাত সব সময় গালের নিচে রাখতেন এবং আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমতু ওয়া আহইয়া পাঠ করতেন। এতে করে মহান আল্লাহ পাকের নাম স্মরণ করে আপনি ঘুমানোর জন্য যাচ্ছেন এবং আল্লাহ পাক যেন আপনাকে জীবিত অবস্থায় ঘুম থেকে তুলতে পারেন তার জন্য এক ধরনের আমল করা হয়ে থাকে।
তাছাড়া আপনারা যদি পারেন তাহলে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করবেন এবং এই এক তৃতীয়াংশ অংশ বলতে গেলে আপনারা হয়তো ভেবে থাকবেন যে ঘুমানোর আগে এত আমল করা সম্ভব নয়। তবে আমরা এই তথ্য জানিনা বলে শুধু এটা জানলেই হবে যে সূরা ইখলাস যদি আমরা একবার পাঠ করি তাহলে তা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করার সমান হবে। তাই ঘুমানোর আগে অবশ্যই আমরা এই ছোট ইবাদত করতে পারি এবং এই ইবাদত করার মধ্য দিয়ে আমরা ঘুমানো কে একটা ইবাদত হিসেবে মানতে পারি।
আমরা যদি সূরা কাফিরুন পাঠ করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে বিভিন্ন ধরনের শিরক থেকে মুক্তি পাবো এবং শিরক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে সকল উপাদান আমাদের জীবনে উপকারী ভূমিকা পালন করবে সেগুলো আমরা পেয়ে যাব। তাই ঘুমানোর আগে মহানবী সাঃ শিরক থেকে বাঁচার জন্য সূরা কাফিরুন পাঠ করার কথা বলেছেন।
সূরা বাকারার যদি শেষ দুই আয়াত আপনার জানা থাকে অবশ্যই আপনারা এটা তেলাওয়াত করবেন এবং এটা তেলাওয়াত করলে আপনাদের জন্য যাবতীয় কল্যাণমূলক কাজ সবসময় প্রস্তুত থাকবে এবং এটা আপনাদের জন্য যথেষ্ট হবে। তা ছাড়া কেউ যদি বাজে স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে এই ধরনের স্বপ্ন এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আয়াতুল কুরসি পড়ে যদি বুকে ফু দেন এবং বালিশে ফু দিতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের বাজে স্বপ্ন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনারা তিন কুল পড়ে ফু দিতে পারেন এবং এই তিন কুলের ভেতরে রয়েছে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস। অর্থাৎ ঘুমের ভেতর দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ইবাদত করার মধ্য দিয়ে খুব সুন্দরভাবে শরিক হতে পারে এবং এই আমল গুলো একজন মুসলমানের অবশ্যই মেনে চলা উচিত।