আমরা অনেকেই বিভিন্ন কারণে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকি। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর যখন ঘুম আসে তখন আমাদের টেনশন মুক্ত থাকে। কোন রকমের চিন্তাভাবনা হয় না অস্থিরতাও লাগেনা। ঠিক সেই অস্থিরতা দূর করার জন্যই আমরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকি এবং চিন্তা মুক্ত ভাবে ঘুমাই। তবে ঘুমের ঔষধ বেশি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আমরা সঠিক ভাবে জানিনা। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন ঘুমের ওষুধ বেশি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব ঘুমের ওষুধ বেশি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।
দেশে এখন তরুন তরুণীদের মধ্যে অনেকেই ঘুমের ওষুধ নির্ভর করে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের জন্য। এছাড়াও সাধারণত রোগীদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে ডাক্তারেরা ঘুমের ঔষধ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। মানসিক চাপ অবসাদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে ভালো ঘুমের আসায় অনেকেই ঘুমের ঔষধ সেবন করে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন ঘুম ভালো হওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুমের ওষুধ নেওয়া হলেও এ অভ্যাসের দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমের ওষুধ বহুদিন ধরে সেবনের পর আমাদের কি কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে যা করতে হবে
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। অনেকেই আছেন কখনো কখনো কোন কিছুর উপর রাগ করে বা মারা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকেন। এটা মোটেও ভালো কিছু নয়। স্বাভাবিকভাবে ঘুমানোর ব্যাপারটাই আলাদা। স্বাভাবিকভাবে যদি আপনার ঘুম আসে তাহলে অবশ্যই সেটি হবে শান্তির ঘুম। আর সেই শান্তির ঘুমের জন্য যদি ঘুমের ওষুধ সেবন করতে হয় তাহলে অবশ্যই ভেবে নিতে হবে এই ওষুধের জন্য শরীরের ক্ষতি হচ্ছে।
তাই অবশ্যই আমাদেরকে আগে চেষ্টা করতে হবে ওষুধ ছাড়াই ভালোভাবে ঘুমানোর। তবে যারা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে তাদের জন্য কিছু করণীয় রয়েছে সেগুলো হল:
রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সবার আগে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে তা দিয়ে রোগীর পাকস্থলী ধুতে হবে। এরপর প্রয়োজনে রোগীকে অক্সিজেন ও কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর রোগীর নিরাপদে স্যালাইন দিতে হবে। স্যালাইন দেওয়ার পর রোগী অনেকক্ষণ আগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকে তাহলে মূত্র বর্ধক ওষুধ দিয়ে রোগীকে প্রস্রাব করাতে হবে। রোগী যদি অনেকক্ষণ ধরে অচেতন থাকে তাহলে নাকে নল দিয়ে তাকে দুটো গ্লুকোজ খাওয়াতে হবে।। এরকমভাবে রোগী যদি সঠিক চিকিৎসা পায় তাহলে আল্লাহর রহমতে শেষ সুস্থ হয়ে যাবে।
তবে সময় মত আপনারা যদি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে না যান এবং তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসাগুলো রোগী না পায় তাহলে কিন্তু এই ঘুমের ওষুধের কারণে রোগীর প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই বলবো আপনারা যারা ঘুমের ওষুধ ভালো বলে জানেন তারা এখনই সাবধান হয়ে যান। ঘুমের ঔষধ খাওয়ার পর ঘুম হয় তবে এই না যে এটি একটি ভালো ওষুধ। যে ওষুধের কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে সে ওষুধ কখনোই ভালো ওষুধ হতে পারে না। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে ঘুমের ওষুধ ছাড়াই ঘুমানোর জন্য।
আপনাদের যাদের অভ্যাস আছে ঘুমের ওষুধ খেয়ে প্রতি রাত ঘুমানোর তাদেরকে বলব আপনারা আস্তে আস্তে করে আপনার এই অভ্যাসটি বদলে ফেলুন। কারণ এই ওষুধের কারণে আপনার শরীর যেমন দুর্বল হয়ে পড়বে ঠিক তেমনি এই ওষুধের কারণে একদিন আপনার প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। আর ঘুমের ঔষধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া পর্যন্ত এই ওষুধ সেবন করা ঠিক না। আপনার কেন ঘুম হচ্ছে না সে বিষয়ে একটু সচেতন হন। আপনি যদি নিজে নিজেই সেই বিষয়টি সমাধান করতে পারেন তাহলে আপনার আর ঘুমের ওষুধের প্রয়োজন হবে না।
Leave a Reply