যে সকল গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় মহান আল্লাহ পাককে না বলে তার ইবাদত করার চেষ্টা করে থাকবেন সে সকল গর্ভবতী মায়ের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর অবশ্যই নেককার বান্দা হিসেবে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে। তাই আপনি যদি একজন অসুস্থ গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে অসুস্থতার দোহাই না দিয়ে যদি মহান আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য যেমন উপকারী তেমনি ভাবে আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে। তাই যে সকল গর্ভবতী মা দশ মাসের আমল সম্পর্কে অবগত হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে এই তথ্যগুলো প্রদান করা হলো যাতে করে আপনারা এই আমল গুলো খুব সহজেই করতে পারেন এবং সঠিক আমল করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় একজন মা অনেক কষ্টে দিন পার করে থাকেন এবং তার উঠতে বসতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকার কারণে বিভিন্ন এবাদত থেকে তিনি হয়তো পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি যদি একটু কষ্ট করে হলেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে এবং দান সদকা করতে পারে তাহলে গর্বের সন্তানের জন্য তা উপকারী ভূমিকা পালন করবে। তাই যে সকল গর্ভবতী মা এ সকল কাজই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হবে সেগুলো জানিয়ে দিলে সেগুলো আপনারা করতে পারবেন। আর সেগুলো করতে পারলে প্রত্যেকটি সূরার অনুযায়ী যে ধরনের ফজিলত রয়েছে সেগুলো আপনারা আপনাদের সন্তানের ভেতর দিয়ে পেয়ে যাবেন।
যদি গর্ভবতী মায়ের পেটে ব্যথা উঠে তাহলে সূরা ইনশিকক পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে তা পান করতে হবে। এতে করে ব্যথা কমে আপনারা নিরাময় পাবেন। তাছাড়া আপনারা যারা 10 মাস পর্যন্ত আমল সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে প্রথম মাসে আপনারা যদি সূরা আল ইমরান পাঠ করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। সূরা আল ইমরান তিলওয়াত করার মধ্য দিয়ে সন্তান একজন দামী মানুষ হিসেবে পরিণত হবে। দ্বিতীয় মাসে একজন গর্ভবতী মাকে আমল হিসেবে সূরা ইউসুফ পড়তে হবে এবং সূরা ইউসুফ এর ফজিলত হিসেবে আপনারা একজন সুন্দর সন্তান নিজেদের কোলে পেয়ে যাবেন। এছাড়া তৃতীয় মাসে যারা আমল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব যে সূরা মারিয়াম একজন মা যদি তিলাওয়াত করেন তাহলে দেখা যাবে যে তার সন্তান অবশ্যই সবর কারী হবে।
এভাবে গর্ভ অবস্থায় একজন মা যখন চতুর্থ মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চাইবে তখন তাদেরকে বলব যে সূরা লোকমান পড়লে একজন সন্তান এই পৃথিবীর বুকে হেকমতওয়ালা হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে এবং তিনি একজন বড় হেকমতওয়ালা ব্যক্তি হবেন। পঞ্চম মাসে গর্ভবতী মাকে সূরা মুহাম্মদ পড়তে হবে এবং সূরা মুহাম্মদ পড়ার ফজিলত হলো তার সন্তান একজন চরিত্রবান মানুষে পরিণত হবে। ষষ্ঠ মাসে সেই গর্ভবতী মা যদি সূরা ইয়াসিন আমল করতে পারে তাহলে সন্তান অবশ্যই জ্ঞানী হবে। এভাবে সপ্তম অষ্টম এবং নবম ও দশম মাসে যদি একজন মা ক্রমানুসারে সূরা ইউসুফ, সূরা মুহাম্মদ, সূরা ইব্রাহিমের প্রথম থেকে ১০ আয়াত পড়তে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ফজিলত প্রাপ্ত হবেন।
Leave a Reply