বর্তমান সময়ে এমন কোন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা কোনো না কোনোভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত নয়। আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের কথাগুলো তুলে ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একটি ছবি জুড়ে দিয়ে তার সাথে ক্যাপশন লিখে মুহূর্তের মধ্যেই জানানো যায় আমরা পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থান করছি এবং বর্তমানে আমাদের সাথে কি ঘটতে চলেছে। এই বিষয়টি আমাদের পুরো পৃথিবীকে অনেক ছোট করে ফেলেছে। আমরা যেকোনো মুহূর্তে জানতে পারছি প্রতিটি মানুষ সম্বন্ধে। একটা সময় ছিল যখন কোনো মানুষকে খুঁজতে হলেও বেশকিছু সময় ব্যয় করতে হতো।
এখন প্রযুক্তির কল্যাণে ২০ বছর আগে হারানো বন্ধুকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে খুব সহজেই। যেকোনো মানুষের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আগে তার কাছে চিঠি লেখার প্রয়োজন হতো কিন্তু এখন মুহূর্তের মধ্যে আমরা বার্তা পাঠিয়ে দুনিয়ার অন্য প্রাণে থাকা মানুষের খোঁজখবর নিতে পারছি। আমাদের এই কথাগুলো শোনার পর আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আজকের আলোচনার বিষয়টি কি হতে চলেছে।
হ্যাঁ, এই যে আমরা এখন যে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ফেসবুক অথবা টুইটারের মাধ্যমে করতে পারছি সে বিষয়টি নিয়েই কথা বলব আজ। এর পাশাপাশি আপনিও কিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়ে স্ট্যাটাস লিখতে পারবেন তা জানিয়ে দেবো পুরো লেখার মধ্যে। নিজের প্রিয় মানুষের জন্মদিনে কিভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন স্ট্যাটাস লিখে তা জানতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন এই আর্টিকেলটি।
চলুন এখন কথা বলা যাক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জন্মদিনের স্ট্যাটাস লেখার উপকারিতা নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্ট্যাটাস লেখার সবচেয়ে বড় বেনিফিট হচ্ছে মুহূর্তের মধ্যেই কাউকে নিয়ে লেখা শুভেচ্ছা বার্তা আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনি যে মানুষটিকে নিয়ে লিখছেন তার কাছের মানুষগুলোও এই শুভেচ্ছা বার্তাটি দেখতে পাচ্ছে। এর থেকে বড় উপকারিতা আর কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
একজন মানুষ যখন অনেকদিন বাদে হঠাৎ নিজের টাইমলাইন ঘুরতে থাকবে তখন হয়তো চোখ পড়ে যাবে আপনার লেখা সেই স্ট্যাটাসটির উপর। আপনার লেখা স্ট্যাটাসটি পড়ে সে ভাবতে থাকবে আপনার সাথে দেখা হওয়া প্রথম দিনটির কথা। এভাবেই আপনাদের দুজনের মধ্যকার ভালোবাসার গভীরতা অনেকটা বেড়ে যাবে। তাই স্ট্যাটাসে শুধু “শুভ জন্মদিন” না লিখে আরো কিছু সংযুক্ত করার চেষ্টা করুন যেন আপনার লেখা স্ট্যাটাসটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়।
এই লেখার মধ্যে আমরা কয়েকটি নমুনা স্ট্যাটাস তুলে ধরবো যা পড়ার পর আপনারা নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়ে স্ট্যাটাস লেখার সাহস করতে পারবেন। চলুন দেখে আসি আপনার পরিচিত কোন বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা কিভাবে জানাবেন, যে মানুষটি এ পর্যন্ত আপনাকে অনেক সাহায্য করেছে।আপনি আমার কথাটা প্রিয় একজন ব্যক্তি তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার এখনো মনে পড়ে আপনার সাথে দেখা হওয়া সেই প্রথম দিনটির কথা। সেদিন আপনাকে দেখে সত্যিই আমি বড্ড বিরক্ত হয়েছিলাম।
আপনার ব্যক্তিত্ব সেদিন মোটেও আমার পছন্দ হয়নি। কিন্তু যত দিন গেল আস্তে আস্তে আপনার সাথে মিশতে শুরু করলাম আমার ধারণা পুরোটা পাল্টে গেল। এত অমায়িক একজন মানুষ কিভাবে হতে পারে তার উত্তর হয়তো আমি এখনো খুঁজে পাইনি। আপনার মত নিরহঙ্কার মানুষ আমার জীবনে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আমি সব সময় চাই আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আপনার সাথে কাটাতে, যদিও সেই সৌভাগ্য আমার কখনোই হবে না। আজ এই খুশির দিনে আপনাকে দেওয়ার মতো হয়তো কিছুই নেই আমার কাছে কিন্তু বুক ভরা ভালবাসা সবসময় দিতে পারি। শুভ জন্মদিন জহির ভাই, আশা করি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মধুর হবে আপনার। এই ছোট ভাইটাকে একটু সুযোগ দিয়েন আপনাকে ভালোবাসার।
প্রিয় মানুষগুলোকে এভাবেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হয়। আপনি চাইলে একটু ভিন্নভাবেও স্ট্যাটাস লিখতে পারেন। যদি বড় স্ট্যাটাস লিখতে ইচ্ছে না হয় তবে ছোট করেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস লেখা সম্ভব। এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন অথবা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
Leave a Reply