
বাবার সম্পত্তিতে পূর্ণ অধিকার পাবে হিন্দু মেয়েরা এই সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় যুগান্তরে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি। দীর্ঘদিন চলে আসা সমস্যার মধ্য থেকে হিন্দু মেয়েদের বাবার সম্পত্তির উপর অধিকার নিয়ে অনেক দৌড়ঝড় চলে। এবং সেই আলোকেই মূলত ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় প্রদান করে এবং সেই ঐতিহাসিক রায়ের কথা আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব সংক্ষিপ্ত আকারে।
বাবার সম্পত্তিতে পণ্য অধিকার পাবে হিন্দু নারীরা
৫১ পৃষ্ঠার এই রায়ে বলা হয়েছে এখন থেকে হিন্দু মেয়েরা পরিবারের অন্য সদস্যের চেয়ে বাবার সম্পত্তিতে অগ্রাধিকার পাবে।। এর পাশাপাশি আরো বলা হয়েছে ১৯৫৬ সালের আগে হলেও মেয়েরা তার অধিকার আদায় করতে পারবে। ১৯৫৬ সালে ভারতে সাকসেকশন সার্টিফিকেট প্রথা চালু হয় যে প্রথার এর মাধ্যমে 1957 সালের আগের কোন মামলার এই আদেশ কার্যকর হবে।
এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বাবা যদি একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য হন তাহলে তার উপার্জিত সম্পদের উপর যেমন কন্যা সন্তানের অধিকার থাকবে তেমনি একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য হিসেবে তার প্রাপ্য সম্পদের ওপর ও মেয়েদের অধিকার থাকবে।
আবার সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অংশ নয় কেন হাইকোর্ট
উত্তরাধিকার আইনের সংসদের প্রস্তাব এর আলোকে বিবিসি বাংলাতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় এবং সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী সেখানে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েরা যাতে পিতার সম্পত্তির সমান অধিকার পান সেই লক্ষ্যে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে আইন কমিশন।
এই প্রস্তাব অনুযায়ী অন্যান্য সদস্যরা ঠিক যেমনভাবে বাবার সম্পত্তির অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন ঠিক তেমনি মেয়ে সন্তান ও বাবার সম্পত্তির পাবে।
বাবার সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অংশ কেন নয় এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের হাইকোর্ট থেকে শুরু বের করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে উত্তরেধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয় মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী। অন্যদিকে 1937 সালে হিন্দু আইন অনুযায়ী মেয়েরা কোন সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নন।
তবে পরে সেটা যুগ উপযোগী করতে ২০১২ সালের ৭ই আগস্ট একটি নতুন আইন সুপারিশ করে আইন কমিশন সেখানে সম্পত্তির নারীর সমান অধিকার সন ৯ দফা সুপারিশ হয়। এরপরে পুনরায় ২০১৮ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির কাজ করে হিন্দু আইন প্রণয়নের নাগরিক উদ্যোক্তা জাতীয় কোয়ালিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
২০২০ সালের খসড়া তৈরি করা হয় এবং সেই বছরের মার্চে এই খসড়া তৈরি শেষ হয়। এবং সেই খোজটা আইন প্রস্তাবনার বলা হয়েছে আইনটি হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২০২০ নামে অবহিত করা হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু নারীদের উত্তরাধিকার আইন
এটি সমগ্র বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিক ও যারা হিন্দু ধর্ম পালন করে তাদের উপর প্রযোজ্য হবে এবং সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে আইনটি কার্যকর হবে। তবে দুঃখের বিষয় হলো সে আইন এখনো প্রজ্ঞাপিত হয়নি বা জারি করা হয়নি। হিন্দু নারীদের পিতা সম্পদের ভাগ না পাওয়ায় এই রীতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিড করা হয়। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি ছিলেন ডেপুটি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ইরানি বিশ্বাস এর একটি প্রতিবেদন যেটা প্রকাশিত হয় জাগো নিউজ 24 প্লাটফর্মে সেখানে তিনি বলেন 1937 সালের হিন্দু আইন অনুযায়ী মেয়েদের কোন সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নয়। দীর্ঘ ৮৩ বছরেও এর কোন পরিবর্তন হয়নি তবে গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
সেরা অনুযায়ী হিন্দু বিধবার স্বামীর সম্পত্তি উত্তরাধিকারী হবে তবে অর্পিত সম্প্রতি কোন প্রকার বিক্রি হস্তান্তরযোগ্য নয় শুধু ভোগ দখলকৃত বলে গণ্য হবে। এ প্রেক্ষিতে আরো বলা হয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হিন্দু মেয়েরা অবহেলিত ও অবদান তাদের কোনো পরিচয় নেই জন্মের পর উত্তরাধিকার সূত্রে পিতা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নয়। তবে এই সকল ক্ষেত্রে পরিবর্তন এর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে এবং যেটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply