মূলত রমজান মাসে আমরা নানান ধরনের ইবাদতে ব্যস্ত থাকি। কারণ রমজান মাস মাগফিরাত মাস রহমতের মাস নাজাতের মাস তাই রহমত ও নাজাত পেতে আমরা সবাই নিজেদের ব্যস্ত রাখি ইবাদতের মাধ্যমে। তবে রমজান মাসের নির্দিষ্ট নামাজ হল তারাবির নামাজ। যেটা আমরা সকল মুসলিম ভাই ও বোনেরা পালন করে থাকি। যেহেতু তারাবির নামাজটি রমজান মাসের রোজার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই তারাবির নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা। যে নামাজ থেকে বিরত থাকার কোন সুযোগ নেই।
তাই একজন মুসলমান ব্যক্তিকে শুধু তারাবির নামাজ আদায় করলে হবে না মূলত এই নামাজ কয় রাকাত আদায় করতে হয় কিভাবে নামাজ পড়তে হবে এই বিষয় গুলো সঠিক ভাবে জেনে এ নামাজ আদায় করতে হবে। তাই আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী তারাবির নামাজ কত রাকাত এবং কিভাবে পড়তে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
যেহেতু প্রতিটি মুসলমানের কাছে রমজান মাস এক বছর পর পর আসে তাই আমরা অনেকেই তারাবির না
তাই তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয় এই নামাজের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই আমরা যখন তারাবির নামাজ কি আদায় করব তার আগে জানতে হবে এই নামাজ কয় রাকাত আদায় করতে হবে। ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী তারাবির নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাতের সংখ্যা উল্লেখ করা নেই। একজন মুসলমান ব্যক্তি ৮ রাকাত ১২ রাকাত ১৬ রাকাত ২০ রাকাত ৩০ রাকাত এবং পারতোপক্ষে ৩৬ রাকাত অব্দি তারাবির নামাজ আদায় করতে পারে।
একজন মুসলমান ব্যক্তিকে তারাবির নামাজ আদায় করতে হলে যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখতে হবে তাহলো রমজান মাসের চাঁদ দেখে তাকে তারাবির নামাজ শুরু করতে হবে। পুরুষ মুসলমানরা সাধারণত তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার কথা বলা হয়েছে। মূলত মাহে রমজানের এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর বিতরের আগে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। সাধারণ নফল ও সুন্নতের চেয়ে অধিকতর মর্যাদাবান, গুরুত্বের দিক থেকে তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি।
তাই এ নামাজ আদায় না করলে অবশ্যই গুনাহগার হতে হবে। তাই কোন ব্যক্তি যদি তারাবির নামাজ আদায় করতে চাই দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়া। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেয়া।বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। তারপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা। ঠিক এই নিয়ম অনুসরণ করে তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন। এমনটাই জানানো হচ্ছে ইসলামের শরিয়া মোতাবেক।
নামাজের ক্ষেত্রে ফরজ নামাজ ব্যতীত অন্য যে কোন নামাজ একা আদায় করাটাই সর্বোত্তম। কিন্তু তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সম্পন্ন আলাদা। তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করায় শরীয়তের সম্মতি। কোন ব্যক্তি যদি তারাবির নামাজ একা আদায় করেন সে ক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে তবে কোন ব্যক্তি যদি জামাতের সঙ্গে আদায় করেন সে ক্ষেত্রে বেশি সওয়াব ও ফজিলতের কথা বলা হয়েছে।
তাই এই নামাজ জামাত বদ্ধ ভাবে আদায় করাটাই উত্তম। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনি তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছেন সাহাবা একরামদের সঙ্গে। এবং জামাতে আদায়ের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। তাই প্রতিটি মুসলমানের জন্য অর্থাৎ নারী পুরুষ সবার জন্য রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল তারাবির নামাজ। তাই আপনাদের জন্য আমরা আজকে জানিয়ে দিলাম তারাবির নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বেন আপনারা এই বিষয়টি আমাদের এখান থেকে ভালো করে জেনে রমজানের সারা মাস জুড়ে তারাবির নামাজ আদায় করবেন।
Leave a Reply