যারা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ডিগ্রিতে ভর্তি হবেন বলে ভাবছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোস্টে জানিয়ে দেওয়া হবে ডিগ্রী ভর্তি ২০২৩ সালে কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে এই কোর্স পরিচালনা করা হবে বলে অবশ্যই আপনাদেরকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ফি প্রদান করার পাশাপাশি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম কানুন বা শর্ত পূরণ শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে।
তাই ২০২৪ সালে যারা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করবেন তাদেরকে অবশ্যই অনার্স করছে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারেন। তবে আপনাদের জীবনের লক্ষ্য যদি থেকে থাকে চাকরি করার পাশাপাশি ডিগ্রী কোর্স সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীতে মাস্টার্স শেষ করা তাহলে আপনারা বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
কারণ বর্তমানে আপনি যে কাজে ঢুকতে চান না কেন আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে হবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপনি যে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেই কাজের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে কাজ পেতে আপনার অনেক সুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে অনার্স কোর্স সম্পূর্ণ করার পর আপনারা যখন শূন্য অভিজ্ঞতা
নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউয়ের পর ইন্টারভিউ দিতে যান তখন আপনাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি শূন্য হওয়ার কারণে খুব একটা কাজ পান না। আপনাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি যদি পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে কাজ পেতে সুবিধা হবে এবং ডিগ্রী কোর্স করার মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় কাজের সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিতে পারবেন।
তাছাড়া ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেওয়ার পর যারা বিভিন্ন জায়গায় এডমিশনের চান্স না পান এবং পরবর্তীতে এডমিশন দিতে চান তারা হয়তো বিভিন্ন বৃদ্ধি গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যখন ডিগ্রী কোর্স করতে চাইবেন অথবা বৃদ্ধি গ্রহণের জন্য ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে এমন খরচ করতে হবে এবং এর ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে তা জানতে চাইবেন। ডিগ্রী কোর্স করার ক্ষেত্রে খুবই কম খরচে করা হয় এবং এটা করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন তাহলে বছরের পর বছর বৃত্তি পেয়ে যাবেন।
যারা ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হতে চাইবেন তারা শহরপর্যায়ে হোক অথবা গ্রামের পর্যায়ে হোক যদি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়ে থাকে অথবা আধা সরকারি হয়ে থাকে তাহলে ভর্তি ফি অনুযায়ী আপনাদেরকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে রাখতে পারে। আর যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ বেসরকারি হয়ে থাকে তাহলে খরচের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি
পাবে। প্রতিষ্ঠানের বেতন থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় ফি নির্ধারণ করা হবে বলে সর্বনিম্ন ভর্তি ফি হবে সাত হাজার টাকা এবং এটা কোন কোন ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই আপনারা যারা বৃত্তির জন্য আবেদন করবেন এবং ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ প্রদান করবেন তারা এই কোর্সে ভর্তি হতে এই টাকাগুলো খরচ করতে পারেন।
আর যদি বিশেষ উদ্দেশ্যে চাকরি করার পাশাপাশি ডিগ্রিতে ভর্তি হতে চান অথবা কোথাও চান্স না পেয়ে যখন ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য মন স্থির করবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে। তাই আপনারা যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী কোর্সের শহর অথবা গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাইবেন তখন
নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে এবং ভর্তি সার্কুলার প্রকাশিত হলে আপনারা অবশ্যই সেই সার্কুলার অনুযায়ী বিভিন্ন কলেজ প্রদান করে ভর্তি হবেন। ডিগ্রী কোর্স এবং অনার্স কোর্সের পার্থক্য বুঝতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্ট দেখতে পারেন এবং এ বিষয়ে যদি প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।
Leave a Reply