সম্পর্কে যদি টান পড়ে যায় তাহলে সেখানে আর সম্পর্ক খুব একটা বেশি থাকে না। তাই আপনার প্রিয়তম স্ত্রীর সঙ্গে যদি আর থাকা সম্ভব না হয় তাহলে হয়তো আপনি ডিভোর্স দিতে চাইবেন। অথবা বাস্তবিক জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান রাখার জন্য আপনারা হয়তো বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা প্রদান করে থাকি।
তাই আজকের এই পোস্টে ডিভোর্স দিতে গেলে কত টাকা লাগে অথবা কত টাকা খরচ হয় সে বিষয়ে আমরা যদি আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে পারি তাহলে অনেকেই হয়তো উপকৃত হতে পারবেন। তাই আপনি যদি কাউকে ডিভোর্স দিতে চান অথবা আপনার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার খরচ বাবদ কত টাকা লাগতে পারে সে বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করব।
বর্তমানে নারী স্বাধীনতা প্রদান করার কারণে অনেক নারী নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষার্থে অথবা স্বামীর সংসারে বিভিন্ন কথাবার্তা ও দায় মেনে না নেওয়ার কারণে ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক সংসারে নারীর চেহারার চাইতে আচরণের কারণে যদি কোন নারীর স্বামীর সংসার করতে না পারে তাহলে সেই স্বামী ও হয়তো তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছেন। তাই আপনারা হয়তো ডিভোর্স দেওয়ার সংখ্যাগুলো লক্ষ্য করতে পারবেন যে শহর পর্যায়ে এগুলো দিনের দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শহর পর্যায়ের মানুষগুলো বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল হয়ে যাচ্ছে।
তবে যাই হোক এবং যে ব্যক্তিগত কারণেই হয়ে থাকুক না কেন আপনি যদি আপনার বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকতে না পারেন অথবা তার সঙ্গে সংসার করা যদি আপনার পক্ষে সম্ভব না হয় তাহলে হয়তো ডিভোর্স দিতে চাইবেন। কারণ সারাদিন কাজ শেষে আপনি যদি ঘরে ফিরে স্ত্রীর কাছ থেকে শান্তি না পান অথবা স্ত্রী যদি আপনার কাছে কোন ধরনের শান্তি না পেয়ে থাকে তাহলে দুইজনের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে।
তবে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার চাইতে সম্পর্ক জোড়া দেওয়াটা অনেক ভালো এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা যদি সকলেই স্যাক্রিফাইস করে মেনে নিতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। আর যদি কোনভাবেই সেটা মানিয়ে থাকা সম্ভব না হয়ে ওঠে তাহলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে এবং এক্ষেত্রে উভয়ের জন্যই মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে।
তাই আপনারা যদি ডিভোর্স বা তালাকনামা রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে সেটা বিয়ের চাইতে খরচ অনেক কম হবে। তবে আপনি যদি আগে থেকে দেনমোহর পরিশোধ করে না আসেন তাহলে ডিভোর্সের সময় আপনাকে দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিয়ের সময় কত টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং কত টাকা বাকি আছে সেই হিসাব করে আপনারা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যদি শোধ করে দিতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে এবং এর মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে কোন ধরনের ঝামেলা হবে না। তবে দেনমোহরের বিষয়গুলো আমরা এখানে আলোচনা না করে শুধু জানিয়ে দেবো যে ডিভোর্স যদি দিতে যান তাহলে একজন রেজিস্টার্ড কাজীর খরচ কত টাকা হতে পারে।
আপনি যদি তালাকনামার রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে সেটা শুধু ৫০০ টাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষকে একজন কাজীর কাছে যেতে হবে অথবা উকিলের কাছে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনাদের বিষয়গুলো অবগত করলে তারা অবশ্যই আপনাদের থেকে সময় গ্রহণ করবে এবং নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে আপনারা সকল ধরনের কাজ নিষ্পত্তি করতে পারেন।
তবে তালাকনামা রেজিস্ট্রেশন করতে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বর্তমান সময়ে সেই খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর সঙ্গে কিছু খরচ বাবদ সর্বমোট ২০০০ টাকার মত খরচ লাগতে পারে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন এবং এ বিষয়ে যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে পারেন।
Leave a Reply