আপনারা যদি ২০২৪ সালে গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে কত টাকা করে পাওয়া যেতে পারে সেটার সঠিক ধারণা অর্জন করুন। গর্ভবতী ভাতা কত টাকা করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হচ্ছে এবং সেটা যদি আপনারা জানতে পারেন তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যালেন্স চেক করে নিয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন। তাই ২০২৪ সালে এ বিষয়ে কোন ধরনের আপডেট এসেছে কিনা অথবা গর্ভবতী ভাতা প্রদান করার ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বেড়েছে কিনা সে সংক্রান্ত তথ্য জানতে আপনারা এখানে ভিজিট করে ভালো করেছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা প্রদান করার এই কার্যক্রম তাদেরকে প্রদান করেছেন। তাই আপনি যখন ৪ থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে থাকবেন তখন উপজেলা পরিষদ অথবা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে এই ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করে রাখবেন। সাধারণত আপনার এই আবেদন যদি যোগ্য বলে বিবেচিত হয় অথবা পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী আপনি যদি আসলেই সেই সকল শর্ত পূরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভাতা প্রদান করা হবে।
আমাদের দেশের অনেক গর্ভবতী মায়েরা তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার যেমন গ্রহণ করতে পারে না তেমনি ভাবে সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় খরচ করতে পারে না। আমরা সকলেই জানি যে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং আজকের শিশুকে যদি সঠিকভাবে পুষ্টি প্রদান না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে একজন সুস্থ সামর্থ্যবান মানুষ জন্ম নিবে না। তাছাড়া একটা শিশু একটা পরিবারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হয়ে থাকার কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এই ভাতা প্রদান করে আসছে।
এই ভাতা প্রদান করার ব্যাপারে বর্তমান সময়ে সারা বাংলাদেশের অনেক গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিতভাবে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পেয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনি চার থেকে ছয় মাসের গর্ভবতী এবং পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো না তাহলে আপনার বয়স সীমা আগে দেখতে হবে। অর্থাৎ এনআইডি কার্ড অনুযায়ী আপনার বয়স যদি ২০ বছরের কম না হয় এবং ৩৫ বছরের বেশি না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে উপজেলা যে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে সেখানে গিয়ে আবেদন করার জন্য বলা হলো।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের আবেদন কার্যক্রম অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে করা গেল মহিলাদের গর্ভবতী ভাতা করার জন্য আপনাদেরকে উপজেলা ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে এটা করতে হবে। আর আপনাদের যখন ওপরের উল্লেখিত বয়সসীমা পূর্ণ করা হবে অথবা এন আই ডি কার্ড এর তথ্য যাচাই করার মাধ্যমে সঠিকতা অবলম্বন করা হবে তখন আপনাদেরকে এই ভাতা প্রদান করার জন্য মনোনীত করা হবে। তবে অনেক সময় আপনাদের পরিবারের আয় যদি মাসে ৮ হাজার টাকা এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে সেটার ভিত্তিতেই ভাতা প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা বা অগ্রাধিকার বেশি প্রদান করা হয়।
তবে মহিলাদের গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মহিলা কাউন্সিলরের সুপারিশ। আপনারা যদি মহিলা কাউন্সিলরের থেকে সুপারিশ গ্রহণ করতে পারেন এবং সংসারের আর্থিক অবস্থার কন্ডিশন তুলে ধরতে পারেন তাহলে তাদের সুপারিশ করার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে এই ভাতা প্রাপ্ত হবেন। তাই মহিলা ভাতা যদি পেতে শুরু করেন তাহলে টানা দুই বছর আপনারা এই ভাতা পাবেন।
আর এই ক্ষেত্রে মহিলা ভাতা ২০২৪ সালে কত টাকা প্রদান করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গ জানানোর জন্য বলব যে প্রত্যেক ছয় মাস পর পর মাস ভিত্তিক ৮০০ টাকা করে মোট 4800 টাকা করে প্রদান করা হয়ে থাকে। আর যদি পরিবারের তিনটি সন্তান থেকে থাকে তাহলে আপনাদেরকে এই ভাতা ৩ বছর প্রদান করা হবে। তাই উপরের উল্লেখিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক মাসে ৮০০ টাকা করে ভাতা পাওয়ার জন্য আপনারা গর্ভবতী অবস্থায় চার থেকে ছয় মাসের ভেতরে অনলাইনে আবেদন করুন।
Leave a Reply