ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন এবং পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও যারা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য আমরা জানিয়ে দিচ্ছে যে ঘরে বসে বর্তমান সময়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটা প্রসঙ্গে আমরা জানতে পারি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার পরেও এমন সময় তিনি হাতে পেয়েছেন যেটার মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়ে গিয়েছে।
তাই বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যাপারে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করছে এবং এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি আবেদনকারীর কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করার পাশাপাশি সেগুলো সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ঘরে বসে কিভাবে আপনার আবেদন করা এবং যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার পর স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পাবেন তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন।
আপনি যদি কোন ইঞ্জিন চালিত গাড়ি পরিচালনা করেন তাহলে রাস্তা দিয়ে চালানোর ক্ষেত্রে আপনার এই ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এটা যদি আপনি সঙ্গে না রাখেন তাহলে আপনার কাগজপত্রের একটি বড় অংশ আপনার কাছে অনুপস্থিত থাকবে। তাই আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এ প্রসঙ্গে জানাতে চাই যে আপনি যখন ইঞ্জিন চালিত গাড়ি পরিচালনা করবেন তখন অবশ্যই সাবধানে করবেন এবং এক্ষেত্রে যদি সার্জেন্টের সামনে পড়ে যান তাহলে আপনাকে জরিমানা করা হবে। যেহেতু আপনারা মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন চালিত গাড়ি পরিচালনা করে থাকেন সেহেতু আপনাদের কাছে এ বিষয়গুলো জানা আছে।
এখন প্রশ্ন হলো বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুসরণ করে আপনি যে আবেদন করেছেন সেই আবেদনের ভিত্তিতে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা যাবে কিনা। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বিআরটিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন ফিস প্রদান করার পাশাপাশি যেদিন আপনার পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে সেদিন আপনাকে সেই স্থানে উপস্থিত হতে হবে।
চারটি ধাপের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপনাদেরকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে। আর স্মার্ট কার্ড যখন হাতে পাবেন তখন আপনি গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে এই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে এবং অন্যান্য সেফটি অনুসরণ করার মাধ্যমে সার্জেন্টের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং নিজেও নিরাপত্তায় থাকতে পারবেন।
কিন্তু আমাদের এখানে বেশ সমস্যা হলে যে আপনারা যদি আবেদন করেন তাহলে আবেদন করার পর এবং পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পরেও উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স হতে পাননি। তাই হয়তো ভাবছেন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে হাতে পাওয়া যেতে পারে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স হতে পেলে সেটা ব্যবহার করে আপনি বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে চলাচল করতে পারবেন এবং সার্জেন্ট সামনে পড়লেও কোনো ধরনের সুযোগ পাবে না। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে প্রদান করা হবে এবং কিভাবে প্রদান করা হবে সে প্রসঙ্গে আমরা জানিয়ে দিয়ে থাকি এবং খুব বেশি প্রয়োজন হলে আপনাদের যে আঞ্চলিক বিআরটিএ অফিস রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করার কথা বলব।
বর্তমান সময়ের পরিচিতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ডকুমেন্টস এবং এই ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি যে কোন জায়গায় গাড়ি চালানো করতে পারবেন। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেন সে প্রসঙ্গে বলবো যে আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়ে থাকে তাহলে পূর্বের পেন্ডিং কাজ সম্পন্ন করার ভিত্তিতে অথবা সিরিয়ালে আপনাকে এই ড্রাইভিং লাইসেন্সের ডাকযোগের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। তাই আপনারা এটা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন এবং যাদের খুব বেশি প্রয়োজন তারা সরাসরি আঞ্চলিক বিআরটিএ এর অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলেই তারা আপনাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে এবং কবে নাগাদ হাতে পাবেন সে বিষয়েও ধারণা প্রদান করতে পারবে।
Leave a Reply