পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে বিতর নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আর এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দোয়া কুনুত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া। আমরা যারা মুসলমান তাদের প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শেষ ওয়াক্ত অর্থাৎ এশার নামাজের পরে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তি কে বিতর নামাজ আদায় করতে হয়।
আর বিতর নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ একটি দোয়ার প্রয়োজন হয় আর সেই বিশেষ দোয়াটি হল দোয়া কুনুত। আমরা অনেকেই এই দোয়া কুনুত জানি আবার অনেকে জানিনা তাই আমরা অনেকেই জানতে চাই বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কি হয় বা ইসলামের বিধান মোতাবেক সে নামাজ হয় কিনা এই বিষয় টি জানতে আমরা অনেকেই আগ্রহী। তাই আজ এই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জানুন আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি সম্পর্কে।
প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে এশার নামাজের পর বিতরের তিন রাকাআত নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজ ওয়াজিব।আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান রয়েছি যারা দোয়া কুনুত জানিনা বা দোয়া কুনুত মুখস্ত নেই। তাই আমরা অনেকেই দোয়া কুনুত এর পরিবর্তে সূরা ইখলাস পড়ে থাকি। বিতর নামাজে দোয়া কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সুরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, সুরা ইখলাস এর সঙ্গে দোয়া কুনুত এর কোন সম্পর্ক নেই তাই কোন অবস্থাতেই দোয়া কুনতের পরিবর্তে সূরা ইখলাস পড়া যাবে না। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা।
তাই আমারা দোয়া কুনুত না পারলেও আমরা বিতর নামাজের ক্ষেত্রে অন্য কোন সূরা পাঠ করবো না। যদিও বেতের নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দোয়া কুনতের বিশেষ প্রয়োজন। তবে কারো যদি মুখস্ত না থাকে সেক্ষেত্রে না পড়াটাই উত্তম কিন্তু অন্য কোন সূরা পড়া জায়েজ নয়। তাই আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে বেতের নামাজ আদায় করবেন। আমরা যারা দোয়া কুনুত পারিনা তাদের জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী।
বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে ও বিতর নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে। কারণ বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে আমরা বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে বিতর নামাজ পড়বো। ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা মোতাবেক বেতের নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দোয়া কুনুত পড়া ফরজ নয়। বেতের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব।
অতএব আমরা বলতে পারি, বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে নামাজ পড়া যাবে কিন্তু বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ফরজ না হলেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা পারো তো পক্ষে অবশ্যই বেতের নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দোয়া কুনুত পাঠ করব। কেউ বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে দোয়া কুনুতের স্থানে অন্য কোন দোয়া বা জিকির পড়ার নিয়ম নেই। বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে সে সরাসরি রুকুতে চলে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে তার নামাজের কোন ক্ষতি হয়ে যাবে না নামাজ হয়ে যাবে।
আশা করছি আপনারা যারা জেনে নিতে আগ্রহী ছিলেন বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পাঠ না করলে কি হবে এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের জন্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলাম। জানিয়ে দিলাম দোয়া কুনুত না পারলে কিভাবে আপনি বিতর নামাজ আদায় করবেন। আপনারা যারা দোয়া কুনুত পারেন না বা দোয়া কুনুত মুখস্ত নেই তবে অবশ্যই দোয়া কুনুত মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন। যতদিন পর্যন্ত দোয়া কুনুত মুখস্থ না হবে ততদিন দোয়া কুনুতের জায়গায় অন্য কিছু পড়া ঠিক হবে না।
আমাদের অবশ্যই দোয়া কুনুত মুখস্থ করতে হবে এবং মুখস্থ করার পর বিতর নামাজে দোয়া কুনুতের জায়গায় এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে। দোয়া কুনুত যতটুকু মুখস্থ ততটুকুই পড়বেন তারপর রুকুতে চলে যাবেন।
যেহেতু রাসুল (সা:) বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়েছেন। তাই তার উম্মত হিসেবে আমাদের বিতর নামাজ পাঠ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে অন্য কোন কিছু পাঠ করলে তা বিদআত হবে। কারণ নবী যেটা করেনি তা করলেই সেটা করলে বিদাআতে পরিণত হবে।
Leave a Reply