
জাতীয়তাবাদ প্রস্তুতির পূর্বে একটা জাতির ভেতরে জাতীয়তা থাকতে হবে। এই জাতীয়তা থাকবে তখনই যখন একটা দেশের মানুষের ভেতরে তাদের দেশ, ভাষা ও সাহিত্য , রীতি নীতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ঐক্য সূত্রে বাঁধন থাকবে। তবে বিভিন্ন পরীক্ষায় আপনাদের জাতীয়তাবাদের তিনটি উপাদানের নাম লিখতে বলা হয় অথবা এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে জাতীয়তার সম্পর্ক রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে একটি সঙ্গে আরেকটির যে ঐক্য তাকে কখনোই আলাদা করা যাবে না।
তবে জাতীয়তাবাদের অথবা জাতীয়তার যে ঐক্য বা উপাদান রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে এবং এখানে আমরা যদি বেশ কিছু তথ্য উল্লেখ করতে চাই তাহলে বলব যে বংশগত ঐক্য থাকতে হবে, ভৌগোলিক ঐক্য থাকার পাশাপাশি ধর্মের ঐক্য থাকতে হবে, ভাষাও সাহিত্যের একতা থাকতে হবে এবং আরো অন্যান্য সাধারণ রাজনৈতিক আশা আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। তবে যাই হোক এখানে জাতীয়তাবাদের প্রথম যে উপাদান রয়েছে সেটির প্রথম উপাদান আলোচনা করা হলো এবং সেটি হল বংশগত ঐক্য।
বংশগত ঐক্য জাতীয়তার অন্যতম উপাদান। বংশগত ঐক্যের দিক থেকে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জাতির যে সংমিশন ঘটছে তাতে দুইটি আলাদা জাতি একত্রিত হয়ে এক নতুন ধরনের জাতীয়তা উৎপাদন করছে। তাছাড়া রয়েছে ভৌগোলিক ঐক্য। ভৌগোলিক ঐক্য জাতীয়তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। একই ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে বহুকাল বাস করার ফলে জনসমষ্টির মধ্যে দিয়ে ঐক্যবোধক সৃষ্টি হয়।
আমরা যদি ধর্মের ঐক্য সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই তাহলে বলবে যে জাতীয়তাবাদের এটি হলো তৃতীয় নাম্বার উপাদান। তবে ধর্মের ঐক্য জাতীয়তা সৃষ্টিতে কখনো কখনো ভূমিকা পালন করে আবার কখনো কখনো ভূমিকা পালন করে না। এক ধর্মালম্বী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সহজেই এক ঐক্যফ ভাব জাগ্রত হয়। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়েই জাতি গঠিত হয়। এছাড়া যদি আমরা আরও একটি উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই তাহলে ভাষাও সাহিত্যের একতা সম্পর্কে আলোচনা করতে হয়।
তবে মূল কথা হলো যে জাতীয়তাবাদে তৈরি হওয়ার পেছনে জাতীয়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং জাতীয়তার যে সকল ঐক্য রয়েছে সেগুলোই হলো জাতীয়তাবাদের উপাদান। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ঐক্য বা উপাদান সম্পর্কে জেনে নেওয়ার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ এর ধারণা
পেয়ে গেলেন এবং এখান থেকে আপনারা এ সকল উত্তর পেয়ে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পারবেন।
Leave a Reply