আমরা যারা জিলহজ মাসের প্রথম 10 দিনের আমল সম্পর্কে জানার জন্য এই ওয়েবসাইট ভিজিট করেছি তাদেরকে স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি এই আমল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করব। জিলহজ মাস কোন মাস এটা অনেকেই জানেন না বলে আপনারা হয়তো আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এটা জেনে নিতে পারবেন। জিলহজ মাস এমনই একটা মাস যে মাসে আমরা কোরবানির ঈদ পালন করে থাকে এবং কোরবানির ঈদ বলতে গেলে আমরা সকলেই ঈদুল আযহাকে বুঝে থাকি।
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যখন জিলহজ মাসে অর্থাৎ কোরবানির ঈদের মাসে কি কি ধরনের আমল করা হয়ে থাকে জানতে চেয়েছেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে এটা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। নিচের দিকে জিলহজ মাসের ১০ দিনের আমল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হলো এবং এই আমল সম্পর্কে আপনারা অবগত হওয়ার পর অবশ্যই তা পালন করার চেষ্টা করবেন।
জিলহজ মাস হলো আরবি বছরের শেষ মাস এবং মোহন সৃষ্টিকর্তার দিক থেকে যে মহীমান্বিত চারটি মাস রয়েছে অথবা ফজিলত পূর্ণ মাস রয়েছে সেই মাসের মধ্যে জিলহজ মাস হলো অন্যতম একটি। জিলহজ মাসে আমরা সকলেই জানি যে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর পুত্র সন্তানকে কোরবানি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি যে ত্যাগের মহিমা প্রদর্শন করেছেন তা আমরা এখন পর্যন্ত প্রত্যেক বছর কোরবানি দেওয়ার ভেতর দিয়ে পালন করে থাকি।এই কোরবানিতে আমরা সব সময় প্রিয় বস্তুকে কোরবানি দিয়ে থাকি এবং এই কোরবানি দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য সকল দেশের মুসলমানগণ সৌদি আরবে হজ করার জন্য গিয়ে থাকেন।
খুব স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা ইসলামের পাঁচটি খুঁটি সম্পর্কে জানি এবং এই পাঁচটি খুঁটির ভেতরে সবচাইতে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি এই মাসের মধ্যে রয়েছে। আপনি যখন ইসলামের পাঁচটি খুটির মধ্যে প্রধান কোন দুইটি খুঁটি এখানে রয়েছে তা জানতে চাইবেন তখন বলব যে হজ পালন করা হলো একটি খুঁটি এবং জিলহজ মাসে যাকাত প্রদান করা হলো আরেকটি খুঁটি। অর্থাৎ যারা হজ করতে যাবেন তারা সেখানে হজ পালন করার মাধ্যমে ইসলামের শেষ খুঁটি যেমন মেনে চলতে পারবেন তেমনি ভাবে সামর্থ্য অনুযায়ী যাকে প্রদান করলে সেটা আপনাদের আরেকটি নিয়ম পালন করা হবে। তাছাড়া এ সকল খুঁটি পালন করার পাশাপাশি আপনি যদি হজ পালন করতে নাও যেতে পারেন তাহলে দেশে অবস্থান করে রোজা রাখা এবং অন্যান্য ধরনের ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, “আপনারা যদি কোরবানি দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পূর্বে এবং কোরবানি শেষ হওয়ার পর চুল অথবা নখ কাটতে পারবেন।”তাই যখন আপনার কোরবানি দেওয়ার নিয়ত থাকবে তখন অবশ্যই হালাল পথে ইনকামের টাকা দিয়ে মনের ভেতরে সেই পশুর প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে আপনারা অবশ্যই কোরবানি দেবেন যাতে করে জিলহজ মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আপনারা পালন করতে পারেন। তাছাড়া অন্যান্য যে সকল বিষয় রয়েছে সেগুলো মেনে চলবেন এবং যে সকল মানুষ হজ করতে যাবেন তারা সেখানকার নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেকটি কাজ করবেন।
বিশেষ করে যারা হজ করতে যান তারা সেখানে রোজা রাখার পাশাপাশি যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো করবেন। তাছাড়া একটি হাদিসে জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন রোজা রাখার বিষয়ে তাগিদ প্রদান করা হয়েছে এবং এটি যদি আপনার পালন করা সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই করবেন। বিশেষ করে অষ্টম এবং নবম দিনে আপনারা যদি রোজা পালন করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে তাতে করে আপনাদেরকে অনেক সওয়াব প্রদান করা হবে।
জিলহজ মাসে যাকাত প্রদান করার পাশাপাশি হজ করা কোরবানি দেওয়া এবং নামাজ রোজা রাখার মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারেন। তাছাড়া স্বাভাবিক জীবনে যে সকল আমল আমাদেরকে প্রতিনিয়ত করতে হয় সেগুলো যদি আমরা বেশি বেশি করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
Leave a Reply